পরিচ্ছেদঃ ১৮
দিয়াতের বিভিন্ন বিধান
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৫৬৯
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৫৬৯
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَأَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ جَرْحُ الْعَجْمَاءِ جُبَارٌ وَالْبِئْرُ جُبَارٌ وَالْمَعْدِنُ جُبَارٌ وَفِي الرِّكَازِ الْخُمُسُ قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ الْجُبَارِ أَنَّهُ لَا دِيَةَ فِيهِو قَالَ مَالِك الْقَائِدُ وَالسَّائِقُ وَالرَّاكِبُ كُلُّهُمْ ضَامِنُونَ لِمَا أَصَابَتْ الدَّابَّةُ إِلَّا أَنْ تَرْمَحَ الدَّابَّةُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يُفْعَلَ بِهَا شَيْءٌ تَرْمَحُ لَهُ وَقَدْ قَضَى عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فِي الَّذِي أَجْرَى فَرَسَهُ بِالْعَقْلِ قَالَ مَالِك فَالْقَائِدُ وَالرَّاكِبُ وَالسَّائِقُ أَحْرَى أَنْ يَغْرَمُوا مِنْ الَّذِي أَجْرَى فَرَسَهُقَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الَّذِي يَحْفِرُ الْبِئْرَ عَلَى الطَّرِيقِ أَوْ يَرْبِطُ الدَّابَّةَ أَوْ يَصْنَعُ أَشْبَاهَ هَذَا عَلَى طَرِيقِ الْمُسْلِمِينَ أَنَّ مَا صَنَعَ مِنْ ذَلِكَ مِمَّا لَا يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَصْنَعَهُ عَلَى طَرِيقِ الْمُسْلِمِينَ فَهُوَ ضَامِنٌ لِمَا أُصِيبَ فِي ذَلِكَ مِنْ جَرْحٍ أَوْ غَيْرِهِ فَمَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ عَقْلُهُ دُونَ ثُلُثِ الدِّيَةِ فَهُوَ فِي مَالِهِ خَاصَّةً وَمَا بَلَغَ الثُّلُثَ فَصَاعِدًا فَهُوَ عَلَى الْعَاقِلَةِ وَمَا صَنَعَ مِنْ ذَلِكَ مِمَّا يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَصْنَعَهُ عَلَى طَرِيقِ الْمُسْلِمِينَ فَلَا ضَمَانَ عَلَيْهِ فِيهِ وَلَا غُرْمَ وَمِنْ ذَلِكَ الْبِئْرُ يَحْفِرُهَا الرَّجُلُ لِلْمَطَرِ وَالدَّابَّةُ يَنْزِلُ عَنْهَا الرَّجُلُ لِلْحَاجَةِ فَيَقِفُهَا عَلَى الطَّرِيقِ فَلَيْسَ عَلَى أَحَدٍ فِي هَذَا غُرْمٌو قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَنْزِلُ فِي الْبِئْرِ فَيُدْرِكُهُ رَجُلٌ آخَرُ فِي أَثَرِهِ فَيَجْبِذُ الْأَسْفَلُ الْأَعْلَى فَيَخِرَّانِ فِي الْبِئْرِ فَيَهْلِكَانِ جَمِيعًا أَنَّ عَلَى عَاقِلَةِ الَّذِي جَبَذَهُ الدِّيَةَقَالَ مَالِك فِي الصَّبِيِّ يَأْمُرُهُ الرَّجُلُ يَنْزِلُ فِي الْبِئْرِ أَوْ يَرْقَى فِي النَّخْلَةِ فَيَهْلِكُ فِي ذَلِكَ أَنَّ الَّذِي أَمَرَهُ ضَامِنٌ لِمَا أَصَابَهُ مِنْ هَلَاكٍ أَوْ غَيْرِهِقَالَ مَالِك الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَيْسَ عَلَى النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ عَقْلٌ يَجِبُ عَلَيْهِمْ أَنْ يَعْقِلُوهُ مَعَ الْعَاقِلَةِ فِيمَا تَعْقِلُهُ الْعَاقِلَةُ مِنْ الدِّيَاتِ وَإِنَّمَا يَجِبُ الْعَقْلُ عَلَى مَنْ بَلَغَ الْحُلُمَ مِنْ الرِّجَالِو قَالَ مَالِك فِي عَقْلِ الْمَوَالِي تُلْزَمُهُ الْعَاقِلَةُ إِنْ شَاءُوا وَإِنْ أَبَوْا كَانُوا أَهْلَ دِيوَانٍ أَوْ مُقْطَعِينَ وَقَدْ تَعَاقَلَ النَّاسُ فِي زَمَنِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفِي زَمَانِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ قَبْلَ أَنْ يَكُونَ دِيوَانٌ وَإِنَّمَا كَانَ الدِّيوَانُ فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَلَيْسَ لِأَحَدٍ أَنْ يَعْقِلَ عَنْهُ غَيْرُ قَوْمِهِ وَمَوَالِيهِ لِأَنَّ الْوَلَاءَ لَا يَنْتَقِلُ وَلِأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ قَالَ مَالِك وَالْوَلَاءُ نَسَبٌ ثَابِتٌقَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَا أُصِيبَ مِنْ الْبَهَائِمِ أَنَّ عَلَى مَنْ أَصَابَ مِنْهَا شَيْئًا قَدْرَ مَا نَقَصَ مِنْ ثَمَنِهَاقَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَكُونُ عَلَيْهِ الْقَتْلُ فَيُصِيبُ حَدًّا مِنْ الْحُدُودِ أَنَّهُ لَا يُؤْخَذُ بِهِ وَذَلِكَ أَنَّ الْقَتْلَ يَأْتِي عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِ إِلَّا الْفِرْيَةَ فَإِنَّهَا تَثْبُتُ عَلَى مَنْ قِيلَتْ لَهُ يُقَالُ لَهُ مَا لَكَ لَمْ تَجْلِدْ مَنْ افْتَرَى عَلَيْكَ فَأَرَى أَنْ يُجْلَدَ الْمَقْتُولُ الْحَدَّ مِنْ قَبْلِ أَنْ يُقْتَلَ ثُمَّ يُقْتَلَ وَلَا أَرَى أَنْ يُقَادَ مِنْهُ فِي شَيْءٍ مِنْ الْجِرَاحِ إِلَّا الْقَتْلَ لِأَنَّ الْقَتْلَ يَأْتِي عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِو قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ الْقَتِيلَ إِذَا وُجِدَ بَيْنَ ظَهْرَانَيْ قَوْمٍ فِي قَرْيَةٍ أَوْ غَيْرِهَا لَمْ يُؤْخَذْ بِهِ أَقْرَبُ النَّاسِ إِلَيْهِ دَارًا وَلَا مَكَانًا وَذَلِكَ أَنَّهُ قَدْ يُقْتَلُ الْقَتِيلُ ثُمَّ يُلْقَى عَلَى بَابِ قَوْمٍ لِيُلَطَّخُوا بِهِ فَلَيْسَ يُؤَاخَذُ أَحَدٌ بِمِثْلِ ذَلِكَقَالَ مَالِك فِي جَمَاعَةٍ مِنْ النَّاسِ اقْتَتَلُوا فَانْكَشَفُوا وَبَيْنَهُمْ قَتِيلٌ أَوْ جَرِيحٌ لَا يُدْرَى مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ بِهِ إِنَّ أَحْسَنَ مَا سُمِعَ فِي ذَلِكَ أَنَّ عَلَيْهِ الْعَقْلَ وَأَنَّ عَقْلَهُ عَلَى الْقَوْمِ الَّذِينَ نَازَعُوهُ وَإِنْ كَانَ الْجَرِيحُ أَوْ الْقَتِيلُ مِنْ غَيْرِ الْفَرِيقَيْنِ فَعَقْلُهُ عَلَى الْفَرِيقَيْنِ جَمِيعًا
আবূ হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পশুর যখম করার বদলা নেই। কূপে পড়ে মৃত্যুবরণ করার বদলা নেই। খনিতে পড়ে মৃত্যুবরণ করলে বদলা নেই আর মাটির নিচে প্রোথিত মালের পঞ্চমাংশ রয়েছে। (বুখারী ১৪৯৯, মুসলিম ১৭১০)মালিক (র) বলেন, জবার শব্দের ব্যাখ্যা হল যে, উহাতে দিয়াত নেই।মালিক (র) বলেন, যে ব্যক্তি কোন পশুকে সম্মুখ দিক হতে টেনে নেয় বা পিছন দিক হতে ধাওয়া করে নিয়ে যায় বা উহার উপর আরোহণ অবস্থায় থাকে, সেই জন্তু কাউকে যখম করলে ঐ ব্যক্তিকে উহার দিয়াত দিতে হবে। উক্ত জন্তু নিজেই কাউকে লাথি মারে বা শিং দিয়ে আঘাত করে, তবে ঐ জন্তুর মালিকের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না। যে ব্যক্তি ঘোড়ায় চড়ে দৌড়িয়ে যাবার কালে কাউকে পদদলিত করে, তাকে দিয়াত দিতে হবে। উমার (রা) উহার দিয়াত দেওয়ার ফায়সালা দিয়েছিলেন।মালিক (র) বলেন, যখন ঘোড়া দৌড়ানেওয়ালার দিয়াত দিতে হল, তখন সম্মুখ ও পিছনের দিক হতে হাঁকিয়ে নিয়ে গেলে তো তাকে দিয়াত দিতে হবেই।মালিক (র) বলেন, আমাদের কাছে এটা একটি সর্বসম্মত বিধান যে, যদি কেউ রাস্তায় কূপ খনন করে বা পশু বেঁধে রাখে বা কেউ এমন কাজ করে যা রাস্তায় করা অন্যায় মনে করা হয়। আর উহার কারণে কারো কোন কষ্ট হয় তবে এই ব্যক্তি দায়ী হবে, ১/৩ পর্যন্ত দিয়াত সে নিজের মাল হতে দিবে। আর দিয়াতের পরিমাণ এক তৃতীয়াংশের বেশি হলে তার নিকটাত্মীয়দের সম্পদ হতে দেয়া হবে। কিন্তু যদি এমন কোন কাজ করে, যা সাধারণত অন্যায় মনে করা হয় না, তবে তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না, যেমন বৃষ্টির জন্য গর্ত করল বা পশু হতে নেমে পশুটিকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখল।মালিক (র) বলেন, কোন ব্যক্তি কূপে অবতরণ করল, পরে আর এক ব্যক্তি অবতরণ করল, অতঃপর নিচের ব্যক্তি উপরের ব্যক্তিকে টানল। এতে উভয়ে পড়ে মারা গেল। এখন যে টেনেছিল, তার ওয়ারিসদের উপর দিয়াত দেয়া অনিবার্য হবে।মালিক (র) বলেন, যদি কেউ বাচ্চাকে কূপে নামায় কিংবা গাছে উঠায় এবং এতে বাচ্চাটি মারা যায় তবে তাকে দিয়াত দিতে হবে।মালিক (র) বলেন, আমাদের নিকট সর্বসম্মত বিধান এই যে, দিয়াতদাতা স্ত্রীলোক এবং বাচ্চা হবে না। শুধুমাত্র বালেগ পুরুষ হতে দিয়াত উশুল করা হবে।মালিক (র) বলেন, মুক্ত দাসের দিয়াত তার ওয়ারিসদের উপর বর্তাবে যদিও সে সরকারী দফতরে বেতনভোগী হোক না কেন, যেমন রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বাকর (রা)-এর সময়ে ছিল। কেননা দফতর উমার (রা)-এর আবিষ্কার। অতএব প্রত্যেকের দিয়াত তাদের মালিক এবং সম্প্রদায় আদায় করবে। কেননা এদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিও তারাই পেয়ে থাকে। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দাসের পরিত্যক্ত মাল তার মালিকই পাবে, যে তাকে মুক্ত করেছে।মালিক (র) বলেন, যদি কারো পশু কারো কোনরূপ অনিষ্ট সাধন করে, তবে এই অনিষ্ট সাধনের দ্বারা ঐ বস্তুর মূল্যে যে স্বল্পতা আসবে তা তাকে আদায় করতে হবে।মালিক (র) বলেন, যদি কোন ব্যক্তি কিসাসে অভিযুক্ত হয়, পরে সে আবার কোন এমন কাজ করে বসে যাতে তার উপর নির্দিষ্ট শাস্তি ওয়াজিব হয়, তবে তার জন্য মৃত্যুই যথেষ্ট, আর শাস্তি ভোগ করতে হবে না। তবে অপবাদের শাস্তি তাকে ভোগ করতে হবে। অতঃপর হত্যা করা হবে। যদি সে কাউকে ক্ষত করে দেয়, তবে ক্ষতের কিসাস নেয়া আবশ্যকীয় নয়, হত্যা করাই যথেষ্ট।মালিক (র) বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত এই যে, যদি কোন মৃতদেহ কোন গ্রামে পাওয়া যায় অথবা কারো দরজায় পাওয়া যায়, তবে ইহা আবশ্যকীয় নয় যে, ঐ লাশের আশেপাশের লোককে গ্রেফতার করতে হবে। কেননা প্রায়ই এরূপ হয়ে থাকে, কোন লোক কাউকে মেরে অন্যের দরজায় রেখে যায়, যেন সে গ্রেফতার হয়। মালিক (র) বলেন, কয়েকজন লোক পরস্পর ঝগড়া করল। পরে যখন ঝগড়া থেমে গেল, তখন তাদের মধ্যে একজনকে মৃত অথবা আহত অবস্থায় পাওয়া গেল। কিন্তু গোলমালের দরুন কে মেরেছে বা ক্ষত করেছে তা জানা গেল না। তবে দ্বিতীয় পক্ষের লোকের উপর উহার দিয়াত ওয়াজিব হবে। যদি এমন হয় যে, ঐ ব্যক্তি তৃতীয় পক্ষের লোক হয়, তবে উভয় পক্ষের উপর দিয়াত ওয়াজিব হবে। [১]
[১] দ্বিতীয় পক্ষ বলতে ঐ দলকে বুঝাবে ঐ লোকটি যে দলের নয়।