পরিচ্ছেদঃ ১৭
দিয়াত হতে মীরাস দেয়া এবং উহাতে কাঠিন্য করা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৫৬৭
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৫৬৭
و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍأَنَّ رَجُلًا مِنْ بَنِي مُدْلِجٍ يُقَالُ لَهُ قَتَادَةُ حَذَفَ ابْنَهُ بِالسَّيْفِ فَأَصَابَ سَاقَهُ فَنُزِيَ فِي جُرْحِهِ فَمَاتَ فَقَدِمَ سُرَاقَةُ بْنُ جُعْشُمٍ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ اعْدُدْ عَلَى مَاءِ قُدَيْدٍ عِشْرِينَ وَمِائَةَ بَعِيرٍ حَتَّى أَقْدَمَ عَلَيْكَ فَلَمَّا قَدِمَ إِلَيْهِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَخَذَ مِنْ تِلْكَ الْإِبِلِ ثَلَاثِينَ حِقَّةً وَثَلَاثِينَ جَذَعَةً وَأَرْبَعِينَ خَلِفَةً ثُمَّ قَالَ أَيْنَ أَخُو الْمَقْتُولِ قَالَ هَأَنَذَا قَالَ خُذْهَا فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ لِقَاتِلٍ شَيْءٌو حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ وَسُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ سُئِلَا أَتُغَلَّظُ الدِّيَةُ فِي الشَّهْرِ الْحَرَامِ فَقَالَا لَا وَلَكِنْ يُزَادُ فِيهَا لِلْحُرْمَةِ فَقِيلَ لِسَعِيدٍ هَلْ يُزَادُ فِي الْجِرَاحِ كَمَا يُزَادُ فِي النَّفْسِ فَقَالَ نَعَمْ قَالَ مَالِك أُرَاهُمَا أَرَادَا مِثْلَ الَّذِي صَنَعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فِي عَقْلِ الْمُدْلِجِيِّ حِينَ أَصَابَ ابْنَهُ
আমর ইব্নু শুআয়েব (র) হতে বর্ণিতঃ
বনী মুদলজের এক ব্যক্তি, যার নাম ছিল কাতাদা, নিজের ছেলেকে তলোয়ারে আঘাত করল, যাতে ঐ ছেলের পায়ে আঘাত লাগল। ক্ষতস্থান হতে রক্ত বন্ধ না হয়ে ছেলেটি মারা গেল। সুরাকা ইব্নু জু‘শুম উমার (রা)-এর কাছে এসে ঘটনা বর্ণনা করল। উমার (রা) তাকে বললেন, আমার আগমনের পূর্বেই তুমি কাদীদের কূপের কাছে ১২০টি উট যোগাড় করে রাখ। যখন তিনি তথায় এলেন ঐ উটের ৩০ হক্কা, ২০টি জাযআ, ৪০টি গর্ভবতী উটনী নিলেন এবং বললেন, নিহত ব্যক্তির ভাই কোথায় ? সে বলল, আমি উপস্থিত আছি। তিনি বললেন, তুমি এই উট নিয়ে যাও। কেননা রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হত্যাকারী কোন মীরাস পাবে না। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)সাঈদ ইব্নু মুসায়্যাব (র) ও সুলায়মান ইব্নু ইয়াসার (র)-কে জিজ্ঞেস করা হল, যদি কেউ হারাম মাসসমূহে কাউকেও হত্যা করে, তবে তার দিয়াতের ব্যাপারে কি কঠোরতা অবলম্বন করা হবে? তিনি বললেন, না, বরং ঐ সকল মাস হারাম মাস হওয়ার দরুন দিয়াত বাড়িয়ে নিয়ে হবে। অতঃপর সাঈদের কাছে জিজ্ঞেস করা হল, যদি কেউ এই মাসে কাউকেও আহত করে দেয়, তবু সেই হত্যার মতো উহার দিয়াতও বৃদ্ধি পাবে? সাঈদ বললেন, হ্যাঁ। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন, আমার মনে হয় বাড়িয়ে দেয়ারও উহাই উদ্দেশ্য যেমন মুদলজীর দিয়াত উমার (রা) করেছেন, যখন সে তার ছেলেকে মেরেছিল। [২]
[১] তার পিতা উপস্থিত থাকলেও যেহেতু সে-ই হত্যা করেছে সেইজন্য মীরাস হতে বঞ্চিত রইল, শুধু ভাই-ই পেল।[২] অর্থাৎ দিয়াতের একশত উট ঠিকই রইল, কিন্তু তিন প্রকারের উট নিয়ে তাতে কাঠিন্য করা হল।