পরিচ্ছেদঃ ৫
অপবাদের শাস্তি, নসব অস্বীকার, ইশারায় কাউকে গালি দেয়া সম্পর্কিত মাস‘আলা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৫২৫
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৫২৫
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ زُرَيْقِ بْنِ حَكِيمٍ الْأَيْلِيِّأَنَّ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ مِصْبَاحٌ اسْتَعَانَ ابْنًا لَهُ فَكَأَنَّهُ اسْتَبْطَأَهُ فَلَمَّا جَاءَهُ قَالَ لَهُ يَا زَانٍ قَالَ زُرَيْقٌ فَاسْتَعْدَانِي عَلَيْهِ فَلَمَّا أَرَدْتُ أَنْ أَجْلِدَهُ قَالَ ابْنُهُ وَاللهِ لَئِنْ جَلَدْتَهُ لَأَبُوءَنَّ عَلَى نَفْسِي بِالزِّنَا فَلَمَّا قَالَ ذَلِكَ أَشْكَلَ عَلَيَّ أَمْرُهُ فَكَتَبْتُ فِيهِ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَهُوَ الْوَالِي يَوْمَئِذٍ أَذْكُرُ لَهُ ذَلِكَ فَكَتَبَ إِلَيَّ عُمَرُ أَنْ أَجِزْ عَفْوَهُقَالَ زُرَيْقٌ وَكَتَبْتُ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَيْضًا أَرَأَيْتَ رَجُلًا افْتُرِيَ عَلَيْهِ أَوْ عَلَى أَبَوَيْهِ وَقَدْ هَلَكَا أَوْ أَحَدُهُمَا قَالَ فَكَتَبَ إِلَيَّ عُمَرُ إِنْ عَفَا فَأَجِزْ عَفْوَهُ فِي نَفْسِهِ وَإِنْ افْتُرِيَ عَلَى أَبَوَيْهِ وَقَدْ هَلَكَا أَوْ أَحَدُهُمَا فَخُذْ لَهُ بِكِتَابِ اللهِ إِلَّا أَنْ يُرِيدَ سِتْرًاقَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَا لِكًا يَقُولُ وَذَلِكَ أَنْ يَكُونَ الرَّجُلُ الْمُفْتَرَى عَلَيْهِ يَخَافُ إِنْ كُشِفَ ذَلِكَ مِنْهُ أَنْ تَقُومَ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ فَإِذَا كَانَ عَلَى مَا وَصَفْتُ فَعَفَا جَازَ عَفْوُهُ
যুরাইক ইব্নু হাকিম আইলী (র) হতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি, যার নাম মিসবাহ, স্বীয় ছেলেকে কোন কাজে ডাকলেন। সে আসতে বিলম্ব করল। সে যখন এল, তখন মিসবাহ তাকে বলল, হে ব্যভিচারী! যুরাইক বলেন, এ ছেলেটি আমার কাছে ফরিয়াদ করল। আমি যখন তার পিতাকে শাস্তি দিতে চাইলাম, সে বলতে লাগল, যদি তুমি আমার পিতাকে বেত্রাঘাত কর, তা হলে আমি ব্যভিচারের স্বীকারোক্তি করব। এটা শুনে আমি মুশকিলে পড়ে গেলাম আর এই ঝগড়ার ফয়সালা করা কষ্টকর হয়ে পড়ল। বিষয়টি আমি উমার ইব্নু আবদুল আযীয (র)-কে লিখে জানালাম। ঐ সময় তিনি মদীনার শাসনকর্তা ছিলেন। উমার ইব্নু আবদুল আযীয (র) উত্তরে লিখলেন, ছেলেকে ক্ষমা কর। যুরাইক বলেন, আমি উমারকে ইহাও লিখলাম, যদি কোন ব্যক্তি কাউকে অথবা তার পিতাকে অথবা তার মাতাকে ব্যভিচারের অপবাদ দেয় আর তার মাতাপিতা মৃত্যুবরণ করে অথবা তাদের একজন মৃত্যুবরণ করে থাকে (তা হলে এর বিধান কি?), তখন উমার (রা) উত্তরে লিখলেন, যাকে অপবাদ দেয়া হয়েছে, যদি সে ক্ষমা করে, তবে ক্ষমা ঠিকই হবে। হ্যাঁ, যদি তার মাতাপিতা উভয়ে অথবা কোন একজন মৃত্যুবরণ করে থাকে, তবে আল্লাহ্র কিতাবের বিধান মতে তার শাস্তি হবে। হ্যাঁ, যদি ছেলে স্বীয় পিতার অবস্থা লুকাবার জন্য ক্ষমা করে তবে ক্ষমা বৈধ হবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)ইয়াহইয়া বলেন, আমি মালিক (র)-কে বলতে শুনেছি ইহা এজন্য যে, যাকে অপবাদ দেয়া হয়েছে, যদি অপবাদের কথা প্রকাশ পায় শাস্তি দেয়ার কারণে এবং আশংকা করা হয় যে, এতে ব্যভিচারের সাক্ষী প্রকাশ পেয়ে যাবে আর ছেলে তা লুকাতে চাইবে। তাকে ক্ষমা করে দেয়া বৈধ।