পরিচ্ছেদ ০১.
নামাযের প্রতি আহ্বান
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৫২
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৫২
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي حَازِمِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّهُ قَالَ، سَاعَتَانِ يُفْتَحُ لَهُمَا أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَقَلَّ دَاعٍ تُرَدُّ عَلَيْهِ دَعْوَتُهُ حَضْرَةُ النِّدَاءِ لِلصَّلَاةِ وَالصَّفُّ فِي سَبِيلِ اللهِ ২২৫و سُئِلَ مَالِك عَنْ النِّدَاءِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ هَلْ يَكُونُ قَبْلَ أَنْ يَحِلَّ الْوَقْتُ فَقَالَ لَا يَكُونُ إِلَّا بَعْدَ أَنْ تَزُولَ الشَّمْسُ ২২৬و سُئِلَ مَالِك عَنْ تَثْنِيَةِ الْأَذَانِ وَالْإِقَامَةِ وَمَتَى يَجِبُ الْقِيَامُ عَلَى النَّاسِ حِينَ تُقَامُ الصَّلَاةُ فَقَالَ لَمْ يَبْلُغْنِي فِي النِّدَاءِ وَالْإِقَامَةِ إِلَّا مَا أَدْرَكْتُ النَّاسَ عَلَيْهِ فَأَمَّا الْإِقَامَةُ فَإِنَّهَا لَا تُثَنَّى وَذَلِكَ الَّذِي لَمْ يَزَلْ عَلَيْهِ أَهْلُ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا وَأَمَّا قِيَامُ النَّاسِ حِينَ تُقَامُ الصَّلَاةُ فَإِنِّي لَمْ أَسْمَعْ فِي ذَلِكَ بِحَدٍّ يُقَامُ لَهُ إِلَّا أَنِّي أَرَى ذَلِكَ عَلَى قَدْرِ طَاقَةِ النَّاسِ فَإِنَّ مِنْهُمْ الثَّقِيلَ وَالْخَفِيفَ وَلَا يَسْتَطِيعُونَ أَنْ يَكُونُوا كَرَجُلٍ وَاحِدٍ ২২৭و سُئِلَ مَالِك عَنْ قَوْمٍ حُضُورٍ أَرَادُوا أَنْ يَجْمَعُوا الْمَكْتُوبَةَ فَأَرَادُوا أَنْ يُقِيمُوا وَلَا يُؤَذِّنُوا قَالَ مَالِك ذَلِكَ مُجْزِئٌ عَنْهُمْ وَإِنَّمَا يَجِبُ النِّدَاءُ فِي مَسَاجِدِ الْجَمَاعَاتِ الَّتِي تُجْمَعُ فِيهَا الصَّلَاةُ ২২৮و سُئِلَ مَالِك عَنْ تَسْلِيمِ الْمُؤَذِّنِ عَلَى الْإِمَامِ وَدُعَائِهِ إِيَّاهُ لِلصَّلَاةِ وَمَنْ أَوَّلُ مَنْ سُلِّمَ عَلَيْهِ فَقَالَ لَمْ يَبْلُغْنِي أَنَّ التَّسْلِيمَ كَانَ فِي الزَّمَانِ الْأَوَّلِ ২২৯قَالَ يَحْيَى و سُئِلَ مَالِك عَنْ مُؤَذِّنٍ أَذَّنَ لِقَوْمٍ ثُمَّ انْتَظَرَ هَلْ يَأْتِيهِ أَحَدٌ فَلَمْ يَأْتِهِ أَحَدٌ فَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَصَلَّى وَحْدَهُ ثُمَّ جَاءَ النَّاسُ بَعْدَ أَنْ فَرَغَ أَيُعِيدُ الصَّلَاةَ مَعَهُمْ قَالَ لَا يُعِيدُ الصَّلَاةَ وَمَنْ جَاءَ بَعْدَ انْصِرَافِهِ فَلْيُصَلِّ لِنَفْسِهِ وَحْدَهُ ২৩قَالَ يَحْيَى و سُئِلَ مَالِك عَنْ مُؤَذِّنٍ أَذَّنَ لِقَوْمٍ ثُمَّ تَنَفَّلَ فَأَرَادُوا أَنْ يُصَلُّوا بِإِقَامَةِ غَيْرِهِ فَقَالَ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ إِقَامَتُهُ وَإِقَامَةُ غَيْرِهِ سَوَاءٌ ২৩১قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك لَمْ تَزَلْ الصُّبْحُ يُنَادَى لَهَا قَبْلَ الْفَجْرِ فَأَمَّا غَيْرُهَا مِنْ الصَّلَوَاتِ فَإِنَّا لَمْ نَرَهَا يُنَادَى لَهَا إِلَّا بَعْدَ أَنْ يَحِلَّ وَقْتُهَا.
সাহ্ল ইবনু সা’আদ সায়েদী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
দুটি মুহূর্ত এরূপ আছে সে সময় অসমানের দরওয়াজা খোলা হয় এবং সে মুহূর্তদ্বয়ে প্রার্থনাকারীর প্রার্থনা ক্বচিৎ ফেরত দেয়া হয়; নামাযের আযানের মুহূর্ত এবং আল্লাহর পথে জিহাদের কাতার ঠিক করার মুহূর্ত। (সহীহ, আবূ দাঊদ ২৪৫০, আল্লামা আলবানী সহীহ ও যঈফ সুনানে আবূ দাঊদ গ্রন্থে হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন)ইয়াহ্ইয়া (র) বলেছেন, মালিক (র)-কে প্রশ্ন করা হল জুম’আর দিন সময়ের পূর্বে আযান দেয়া যায় কি? তিনি উত্তর দিলেন, না, যায় না। সূর্য পশ্চিম দিকে ঝুঁকার পরই আযানের সময় হয়।ইয়াহ্ইয়া (র) বর্ণনা করেন, মালিক (র)-কে প্রশ্ন করা হল আযান ও ইকামত-এর (বাক্যগুলি) দুই দুইবার বলা প্রসঙ্গে এবং ইকামতের সময় মানুষের কোন সময় দাঁড়াতে হবে সে প্রসঙ্গে। তিনি উত্তর দিলেন আযান ও ইকামতের বিষয় আমি লোকজনক যে পর্যায়ে পেয়েছি এর চেয়ে বেশি কিছু আমার কাছে পৌঁছেনি। ইকামত অবশ্য দুই দুইবার বলতে নাই। আমাদের শহরের (মদীনা শরীফ) বিজ্ঞ আলিমগণ এই মতই পোষণ করতেন। ইকামতের সময় দাঁড়ানোর সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন সীমা আমি জ্ঞাত নই। তবে আমার মতে এটা অনেকটা লোকের শক্তি-সামর্থ্যরে উপর নির্ভর করে। কারণ সব লোক এক রকমের নয়; তাদের মধ্যে সবল ও দুর্বল সকল প্রকারের লোকই থাকে।ইয়াহ্ইয়া (র) হতে বর্ণিত; মালিক (র)-কে প্রশ্ন করা হল, যারা প্রবাসী নয় বরং মুকীম (স্বদেশে বা বিদেশে শরীয়তসম্মত স্থায়ী বসবাসকারী) তারা ফরয নামায জামাত সহকারে আযান ছাড়া শুধু ইকামত বলে আদায় করতে চাইলে-এই বিষয়ে আপনার মত কি? তিনি বললেন, কেবল ইকামত বললেও চলবে। কেননা আযান ওয়াজিব হয় সেই মসজিদের জন্য যেসব মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয় এবং লোকজনকে নামাযের জন্য আহ্বান করা হয়।ইয়াহ্ইয়া (র) হতে বর্ণিত; মুয়াযযিন কর্তৃক ইমামকে সালাম দেওয়া, নামাযের জন্য তাকে আহ্বান করা এবং সর্বপ্রথম কোন আমীরের প্রতি এইরূপ করা হয়েছিল এই বিষয়ে মালিক (র)-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, এইরূপ সালাম দেওয়ার রীতি প্রথম যুগে ছিল বলে আমি অবগত নই।ইয়াহ্ইয়া (র) হতে বর্ণিত; মুয়াযযিন আযান দিয়ে অপেক্ষা করল, কিন্তু নামায আদায়ের জন্য কেউ আসল না। অতএব, সে ইকামত বলে একা একাই নামায আদায় করল। নামায শেষ হলে কিছু লোক আসল। এমতাবস্তায় সে কি পুনরায় আগন্তুকদের সাথে নামায আদায় করবে? মালিক (র)-এর নিকট এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, না, পরে যারা আসবে তারা পৃথক পৃথকভাবে নামায আদায় করবে ।ইয়াহ্ইয়া (র) হতে বর্ণিত; মালিক (র) কে প্রশ্ন করা হলো মুয়াযযিন আযান দেবার পর নফল নামায শুরু করল। লোকজন এসে অন্যের দ্বারা ইকামত বলে জামাত সহকারে নামায আদায়ের ইচ্ছা করল, এইরূপ করা চলে কি ? তিনি উত্তর দিলেন যায়, এটা বৈধ। ইকামত বলার ব্যাপারে মুয়াযযিন এবং অন্য ব্যক্তি এক সমান।ইয়াহ্ইয়া (র) হতে বর্ণিত; মালিক (র) কে প্রশ্ন করা হলো ফজরের আযান প্রায়ই ‘সুবহে-সাদিক’-এর আগে দেয়া হত। কিন্তু অন্যসব নামাযের আযান আমরা সময় হওয়ার পূর্বে দিতে দেখিনি।