পরিচ্ছেদঃ ৭
মুকাতাবের আযাদী যখন সে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে “বদলে কিতাবাত” পরিশোধ করে
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৪৯৩
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৪৯৩
حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ رَبِيعَةَ بْنَ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَغَيْرَهُ يَذْكُرُوْنَ أَنَّ مُكَاتَبًا كَانَ لِلْفُرَافِصَةِ بْنِ عُمَيْرٍ الْحَنَفِيِّ وَأَنَّهُ عَرَضَ عَلَيْهِ أَنْ يَدْفَعَ إِلَيْهِ جَمِيعَ مَا عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ فَأَبَى الْفُرَافِصَةُ فَأَتَى الْمُكَاتَبُ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَدَعَا مَرْوَانُ الْفُرَافِصَةَ فَقَالَ لَهُ ذَلِكَ فَأَبَى فَأَمَرَ مَرْوَانُ بِذَلِكَ الْمَالِ أَنْ يُقْبَضَ مِنْ الْمُكَاتَبِ فَيُوضَعَ فِي بَيْتِ الْمَالِ وَقَالَ لِلْمُكَاتَبِ اذْهَبْ فَقَدْ عَتَقْتَ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ الْفُرَافِصَةُ قَبَضَ الْمَالَ.قَالَ مَالِك فَالْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ الْمُكَاتَبَ إِذَا أَدَّى جَمِيعَ مَا عَلَيْهِ مِنْ نُجُومِهِ قَبْلَ مَحِلِّهَا جَازَ ذَلِكَ لَهُ وَلَمْ يَكُنْ لِسَيِّدِهِ أَنْ يَأْبَى ذَلِكَ عَلَيْهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ يَضَعُ عَنْ الْمُكَاتَبِ بِذَلِكَ كُلَّ شَرْطٍ أَوْ خِدْمَةٍ أَوْ سَفَرٍ لِأَنَّهُ لَا تَتِمُّ عَتَاقَةُ رَجُلٍ وَعَلَيْهِ بَقِيَّةٌ مِنْ رِقٍّ وَلَا تَتِمُّ حُرْمَتُهُ وَلَا تَجُوزُ شَهَادَتُهُ وَلَا يَجِبُ مِيرَاثُهُ وَلَا أَشْبَاهُ هَذَا مِنْ أَمْرِهِ وَلَا يَنْبَغِي لِسَيِّدِهِ أَنْ يَشْتَرِطَ عَلَيْهِ خِدْمَةً بَعْدَ عَتَاقَتِهِ.قَالَ مَالِك فِي مُكَاتَبٍ مَرِضَ مَرَضًا شَدِيدًا فَأَرَادَ أَنْ يَدْفَعَ نُجُومَهُ كُلَّهَا إِلَى سَيِّدِهِ لِأَنْ يَرِثَهُ وَرَثَةٌ لَهُ أَحْرَارٌ وَلَيْسَ مَعَهُ فِي كِتَابَتِهِ وَلَدٌ لَهُ.قَالَ مَالِك ذَلِكَ جَائِزٌ لَهُ لِأَنَّهُ تَتِمُّ بِذَلِكَ حُرْمَتُهُ وَتَجُوزُ شَهَادَتُهُ وَيَجُوزُ اعْتِرَافُهُ بِمَا عَلَيْهِ مِنْ دُيُونِ النَّاسِ وَتَجُوزُ وَصِيَّتُهُ وَلَيْسَ لِسَيِّدِهِ أَنْ يَأْبَى ذَلِكَ عَلَيْهِ بِأَنْ يَقُولَ فَرَّ مِنِّي بِمَالِهِ.
মালিক (র) হতে বর্ণিতঃ
তিনি রবী‘আ ইব্নু আবি ‘আবদির রহমান এবং আরও কিছু ‘আলিমকে বলতে শুনেছেন ফুরাফিসা ইব্নু উমাইর আল হানাফী (র)-এর একজন মুকাতাব ছিল। সে “বদলে কিতাবাতের” সম্পূর্ণ অর্থ যা তাহার জিম্মায় রয়েছে, তা এক সঙ্গে তার নিকট পেশ করল। ফুরাফিসা উহা গ্রহণ করতে অস্বীকার করল। মুকাতাব লোকটি আমীরে মদীনা মারওয়ান ইব্নু হাকামের কাছে উপস্থিত হল এবং বিষয়টি তাঁকে জানাল। মারওয়ান ফুরাফিসা ইব্নু উমাইরকে ডেকে পাঠালেন। তিনি উপস্থিত হলে তাঁকে উহা গ্রহণ করার কথা বললেন, কিন্তু ফুরাফিসা অস্বীকার করল, মারওয়ান সেই মাল মুকাতাব হতে গ্রহণ করে বায়তুলমালে রাখার নির্দেশ দিলেন; এবং (সাথে সাথে) মুকাতাবকে বলে দিলেন যাও, তুমি আযাদ হয়ে গিয়েছ। ফুরাফিসা ইহা লক্ষ্য করে মাল (নিজে) গ্রহণ করল। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন আমাদের নিকট এর মীমাংসা এই- মুকাতাব যদি তার জিম্মার সব কিস্তি উহার (নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে) আদায় করে দেয় তা তার জন্য জায়েয হবে, তার কর্তার পক্ষে তা অস্বীকার করবার অধিকার নাই। ইহা এইজন্য যে, কর্তা এর দ্বারা মুকাতাবকে সর্বপ্রকার শর্ত অথবা খেদমত অথবা সফর হতে অব্যাহতি প্রদান করিতেছে। কারণ সামান্য দাসত্ব বহাল থাকলেও কোন ব্যক্তির আযাদী পূর্ণ হয় না এবং (এমতাবস্থায়) উহার ব্যক্তিমর্যাদা পূর্ণতা লাভ করে না, আর উহার সাক্ষ্যও বৈধ হয় না, উহার জন্য মীরাস ওয়াজিব হয় না এবং এই জাতীয় আরও অন্যান্য আহকাম যা মুকাতাব সম্পর্কে রয়েছে। পক্ষান্তরে (ইহার পর) মুকাতাবের কর্তা কর্তৃক মুকাতাবের উপর কোন শর্ত আরোপ করা এবং আযাদীর পর কোন খেদমত গ্রহণ করা সঙ্গত নয়।মালিক (র) বলেন যে মুকাতাব গুরুতর অসুস্থ হয়েছে সে তার যাবতীয় কিস্তি একত্রে কর্তাকে দেবার ইচ্ছা করল, যেন তার আযাদ উত্তরাধিকারিগণ তার মীরাস লাভ করে এবং তার কোন সন্তান কিতাবাতে তার সঙ্গে শামিল নাই।মালিক (র) বলেন ইহা তার জন্য জায়েয হবে। কেননা এর দ্বারা তার ব্যক্তিমর্যাদা পূর্ণত্ব লাভ করবে এবং তার সাক্ষ্য জায়েয হবে, আর তার উপর লোকের যে সকল ঋণ রয়েছে সেই সকল ঋণের স্বীকারোক্তি করাও জায়েজ হবে এবং তার পক্ষে ওসীয়ত করাও জায়েয হবে তার কর্তার পক্ষে ইহা অস্বীকার করার অধিকার নাই “এ দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে যে, (মুকাতাব) তার মাল বাঁচাবার প্রচেষ্টা করেছে।”