পরিচ্ছেদঃ ৩
এক-তৃতীয়াংশের অধিক ওসীয়াতের ফয়সালা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৪৫৪
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৪৫৪
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ جَاءَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُنِي عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ مِنْ وَجَعٍ اشْتَدَّ بِي فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ قَدْ بَلَغَ بِي مِنْ الْوَجَعِ مَا تَرَى وَأَنَا ذُو مَالٍ وَلَا يَرِثُنِي إِلَّا ابْنَةٌ لِي أَفَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثَيْ مَالِي قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا فَقُلْتُ فَالشَّطْرُ قَالَ لَا ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ إِنَّكَ أَنْ تَذَرَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَذَرَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ وَإِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً تَبْتَغِي بِهَا وَجْهَ اللهِ إِلَّا أُجِرْتَ حَتَّى مَا تَجْعَلُ فِي فِي امْرَأَتِكَ قَالَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ أَأُخَلَّفُ بَعْدَ أَصْحَابِي فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّكَ لَنْ تُخَلَّفَ فَتَعْمَلَ عَمَلًا صَالِحًا إِلَّا ازْدَدْتَ بِهِ دَرَجَةً وَرِفْعَةً وَلَعَلَّكَ أَنْ تُخَلَّفَ حَتَّى يَنْتَفِعَ بِكَ أَقْوَامٌ وَيُضَرَّ بِكَ آخَرُونَ اللهُمَّ أَمْضِ لِأَصْحَابِي هِجْرَتَهُمْ وَلَا تَرُدَّهُمْ عَلَى أَعْقَابِهِمْ لَكِنْ الْبَائِسُ سَعْدُ بْنُ خَوْلَةَ يَرْثِي لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ مَاتَ بِمَكَّةَ. قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَا لِكًا يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يُوصِي بِثُلُثِ مَالِهِ لِرَجُلٍ وَيَقُولُ غُلَامِي يَخْدُمُ فُلَانًا مَا عَاشَ ثُمَّ هُوَ حُرٌّ فَيُنْظَرُ فِي ذَلِكَ فَيُوجَدُ الْعَبْدُ ثُلُثَ مَالِ الْمَيِّتِ قَالَ فَإِنَّ خِدْمَةَ الْعَبْدِ تُقَوَّمُ ثُمَّ يَتَحَاصَّانِ يُحَاصُّ الَّذِي أُوصِيَ لَهُ بِالثُّلُثِ بِثُلُثِهِ وَيُحَاصُّ الَّذِي أُوصِيَ لَهُ بِخِدْمَةِ الْعَبْدِ بِمَا قُوِّمَ لَهُ مِنْ خِدْمَةِ الْعَبْدِ فَيَأْخُذُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِنْ خِدْمَةِ الْعَبْدِ أَوْ مِنْ إِجَارَتِهِ إِنْ كَانَتْ لَهُ إِجَارَةٌ بِقَدْرِ حِصَّتِهِ فَإِذَا مَاتَ الَّذِي جُعِلَتْ لَهُ خِدْمَةُ الْعَبْدِ مَا عَاشَ عَتَقَ الْعَبْدُ.قَالَ و سَمِعْت مَا لِكًا يَقُولُ فِي الَّذِي يُوصِي فِي ثُلُثِهِ فَيَقُولُ لِفُلَانٍ كَذَا وَكَذَا وَلِفُلَانٍ كَذَا وَكَذَا يُسَمِّي مَالًا مِنْ مَالِهِ فَيَقُولُ وَرَثَتُهُ قَدْ زَادَ عَلَى ثُلُثِهِ فَإِنَّ الْوَرَثَةَ يُخَيَّرُونَ بَيْنَ أَنْ يُعْطُوا أَهْلَ الْوَصَايَا وَصَايَاهُمْ وَيَأْخُذُوا جَمِيعَ مَالِ الْمَيِّتِ وَبَيْنَ أَنْ يَقْسِمُوا لِأَهْلِ الْوَصَايَا ثُلُثَ مَالِ الْمَيِّتِ فَيُسَلِّمُوا إِلَيْهِمْ ثُلُثَهُ فَتَكُونُ حُقُوقُهُمْ فِيهِ إِنْ أَرَادُوا بَالِغًا مَا بَلَغَ.
সা‘আদ ইব্নু আবি ওয়াক্কাস (রা) হতে বর্ণিতঃ
বিদায় হজ্জের বৎসর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার অসুখের সময় আমাকে দেখতে আসেন, আমার অসুখ খুব কঠিন ছিল। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি দেখতেছেন যে, আমার অবস্থা কি এবং আমি খুব সম্পদশালী, আমার কোন ওয়ারিস নেই এক মেয়ে ব্যতীত। এখন আমি আমার সম্পদের দুই-তৃতীয়াংশ সাদাকাহ্ করে দিতে পারব কি? রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘না’। আমি বললাম, তা হলে অর্ধেক দান করে দেই? রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, না। অতঃপর তিনি নিজেই বললেন এক-তৃতীয়াংশ দান কর। যদিও এটাও অনেক। মনে রেখ, তুমি তোমার ওয়ারিসদেরকে ধনী রেখে যাওয়া উত্তম তাদেরকে দরিদ্র এবং লোকের কাছে ভিক্ষা করুক এমন অবস্থায় রেখে যাওয়ার চাইতে। তুমি যা কিছু আল্লাহ্ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্য খরচ করবে তার বিনিময় পাবে, চাই নিজ স্ত্রীর মুখে লোকমা উঠিয়ে দাও না কেন। অতঃপর আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমি কি আমার সঙ্গীদের পিছনে থেকে যাব? রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি তুমি তাদের পেছনে থেকে যাও এবং সাওয়াবের কাজ করতে থাক তবে তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। এমনও হতে পারে যে, তুমি জীবিত থাকবে এবং তোমার দ্বারা আল্লাহ্ তা‘আলা বহু লোককে উপকৃত করবেন, আর এক দল তোমার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। (বুখারী ১২৯৬, মুসলিম ১৬২৮)হে আল্লাহ্! আমার সাহাবীগণের হিজরত পূর্ণ কর এবং তাদেরকে পশ্চাদপসরণ করো না। কিন্তু বেচারা সা‘আদ ইব্নু খাওলা যার জন্য রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অন্তর ব্যথিত হয়েছিল, কেননা তিনি মক্কায় ইন্তিকাল করেছিলেন।মালিক (র) বলেন যদি কেউ কারো জন্য এক-তৃতীয়াংশ সম্পত্তির ওসীয়্যত করে যায় এবং এটাও বলে যে, আমার অমুক গোলাম আজীবন অমুকের খেদমত করবে, অতঃপর সে আযাদ। তার পর যদি গোলামের মূল্য সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ হয় তবে গোলামের খেদমত গ্রহণ করা হবে এবং গোলামের ভাগ বন্টন করা হবে; যার জন্য সম্পদের ওসীয়্যত করা হয়েছে তার হিস্যা হবে এবং যার জন্য খেদমত করার ওসীয়্যত করা হয়েছে তারও হিস্যা খেদমতের মূল্য অনুযায়ী হবে এবং এই দুইজন লোকই ঐ গোলামের কামাই ও খেদমত হতে নিজ হিস্যা প্রাপ্ত হবে। যখন ঐ ব্যক্তি মারা যাবে যার খেদমতের কথা বলা হয়েছে, তখন গোলাম আযাদ হয়ে যাবে।মালিক (র) বলেন যদি কেউ কয়েক ব্যক্তির নাম নিয়ে বলে যে, অমুককে এত ‘অমুককে এত দিনার ওসীয়্যত করলাম; অতঃপর তার ওয়ারিসগণ বলে যে, ওসীয়্যত এক-তৃতীয়াংশের চাইতে অধিক হয়েছে তবে ওয়ারিসগণের ইখতিয়ার থাকবে, হয় তারা যাদের জন্য ওসীয়্যত করা হয়েছে তাদের প্রত্যেককেই ঐ পরিমাণ বিনিময় দেবে এবং পূর্ণ সম্পদ নিজেরা নিয়ে নিবে অথবা তাদেরকে এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ দিয়ে দেবে যেন তারা বন্টন করে নিতে পারে।