পরিচ্ছেদঃ ২২
যে সন্তানকে পিতার সাথে মিলানো হয়েছে তার মীরাসের ফয়সালা
আমাদের কাছে এটা একটি সর্বসম্মত মাসআলা। কোন ব্যক্তি মারা যাওয়ার সময় কয়েকটি সন্তান রেখে গেল। তাদের মধ্য হতে কেউ বলল, আমার পিতা বলে গিয়েছেন অমুক ব্যক্তি আমার ছেলে। এই অবস্থায় একজনের সাক্ষ্যে পুত্রের সম্পর্ক প্রমাণিত হবে না এবং সম্পত্তিও সে পাবে না। তবে যে ছেলে স্বীকার করেছে তার অংশ হতে সে অংশ পাবে।মালিক (র) এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, এক ব্যক্তি দুই ছেলে রেখে মারা গেল এবং ছয়শত দীনার রেখে গেল। দুই ছেলে এখান হতে তিনশত করে পেল। তার পর এক ছেলে বলল আমাদের মৃত পিতা বলেছিলেন যে, ঐ ব্যক্তি তার ছেলে। তখন যে স্বীকার করল তার তিনশত দীনার হতে একশত দীনার সেই ব্যক্তি পাবে, কেননা, সে মৃত ব্যক্তির ছেলে হিসেবে এই অর্ধেক অংশ পাবে। অর্থাৎ সে ছেলে প্রমাণিত হলে দুইশত দীনার পেত, এখন একশত দীনার পেয়েছে। আর যদি দ্বিতীয় ছেলেও স্বীকার করে তবে তার নিকট হতেও একশত পাবে এবং তার হক পূর্ণ হবে এবং তার বংশও মৃত ব্যক্তি হতে প্রমাণিত হল। তার আর একটি উদাহরণ এই কোন স্ত্রীলোক তার পিতা অথবা স্বামীর ঋণের কথা স্বীকার করে আর অন্যান্য অংশীদার অস্বীকার করে, এ অবস্থায় সে নিজ অংশ অনুপাতে নিজ হতে কর্জ আদায় করবে। স্ত্রীলোকটি যদি এক-অষ্টমাংশ পায় তবে ঋণেরও এক-অষ্টমাংশ আদায় করবে, আর যদি পিতার সম্পত্তি অর্ধেক পায় তবে ঋণেরও অর্ধাংশ আদায় করবে।মালিক (র) বলেন যদি কোন পুরুষ ঋণের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয় যেমন স্ত্রীলোকটি স্বীকার করেছে, যথা এই মৃতের নিকট তার এই পরিমাণ পাওনা আছে তবে ঋণদাতার নিকট হতে কসম গ্রহণ করা হবে এবং ঋণদাতার পূর্ণ কর্জ শোধ করা হবে। কেননা এই ব্যাপার স্ত্রীলোকটির ব্যাপারের মতো নয়, কেননা পুরুষের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য। আর যদি কর্জদার কসম না করে, তবে যে স্বীকার করেছে শুধু তার অংশ হতে কর্জদারকে দেয়া হবে তার হিস্যা (অংশ) অনুযায়ী।
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৪২০
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৪২০
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ: مَا بَالُ رِجَالٍ يَطَئُونَ وَلَائِدَهُمْ ثُمَّ يَعْزِلُوهُنَّ لَا تَأْتِينِي وَلِيْدَةٌ يَعْتَرِفُ سَيِّدُهَا أَنْ قَدْ أَلَمَّ بِهَا إِلَّا أَلْحَقْتُ بِهِ وَلَدَهَا فَاعْزِلُوا بَعْدُ أَوْ اتْرُكُوْا.
ইব্নু উমার (রা) হতে বর্ণিতঃ
উমার (রা) বলেন যে, লোকদের হল কি, তারা দাসীদের সাথে সহবাস করে এবং আযল [১] করে। ভবিষ্যতে যদি কোন দাসী আমার নিকট আসে এবং তার মনিব তার সাথে সঙ্গম করার স্বীকারোক্তি করে তবে আমি ঐ সন্তানকে মনিবের সাথে মিলিত করে দিব, এখন তোমরা চাই আযল কর, চাই আযল না কর। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)
[১] সঙ্গম করার কালে সন্তান না জন্মাবার উদ্দেশ্যে বীর্যপাত ভিতরে না করে বাহিরে করাকে আযল বলে।