পরিচ্ছেদ ৩ :
অবৈধ মুযারাবা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩৭২
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩৭২
قَالَ مَالِك إِذَا كَانَ لِرَجُلٍ عَلَى رَجُلٍ دَيْنٌ فَسَأَلَهُ أَنْ يُقِرَّهُ عِنْدَهُ قِرَاضًا إِنَّ ذَلِكَ يُكْرَهُ حَتَّى يَقْبِضَ مَالَهُ ثُمَّ يُقَارِضُهُ بَعْدُ أَوْ يُمْسِكُ وَإِنَّمَا ذَلِكَ مَخَافَةَ أَنْ يَكُونَ أَعْسَرَ بِمَالِهِ فَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُؤَخِّرَ ذَلِكَ عَلَى أَنْ يَزِيدَهُ فِيْهِ ২৫৪৩-قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا فَهَلَكَ بَعْضُهُ قَبْلَ أَنْ يَعْمَلَ فِيهِ ثُمَّ عَمِلَ فِيهِ فَرَبِحَ فَأَرَادَ أَنْ يَجْعَلَ رَأْسَ الْمَالِ بَقِيَّةَ الْمَالِ بَعْدَ الَّذِي هَلَكَ مِنْهُ قَبْلَ أَنْ يَعْمَلَ فِيهِ قَالَ مَالِك لَا يُقْبَلُ قَوْلُهُ وَيُجْبَرُ رَأْسُ الْمَالِ مِنْ رِبْحِهِ ثُمَّ يَقْتَسِمَانِ مَا بَقِيَ بَعْدَ رَأْسِ الْمَالِ عَلَى شَرْطِهِمَا مِنْ الْقِرَاضِ.قَالَ مَالِك لَا يَصْلُحُ الْقِرَاضُ إِلَّا فِي الْعَيْنِ مِنْ الذَّهَبِ أَوْ الْوَرِقِ وَلَا يَكُونُ فِي شَيْءٍ مِنْ الْعُرُوضِ وَالسِّلَعِ وَمِنْ الْبُيُوعِ مَا يَجُوزُ إِذَا تَفَاوَتَ أَمْرُهُ وَتَفَاحَشَ رَدُّهُ فَأَمَّا الرِّبَا فَإِنَّهُ لَا يَكُونُ فِيهِ إِلَّا الرَّدُّ أَبَدًا وَلَا يَجُوزُ مِنْهُ قَلِيلٌ وَلَا كَثِيرٌ وَلَا يَجُوزُ فِيهِ مَا يَجُوزُ فِي غَيْرِهِ لِأَنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ فِي كِتَابِهِ { وَإِنْ تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَالِكُمْ لَا تَظْلِمُونَ وَلَا تُظْلَمُونَ }.
মালিক (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
যদি কেউ কারো নিকট করযের টাকা পাওনা থাকে আর যার নিকট টাকা পাওনা রয়েছে সে বলল, তোমার যে টাকা আমার নিকট রয়েছে, তা আমার নিকট শরীকী কারবারে থাকতে দাও ইহা অবৈধ বরং প্রথমে টাকা উশুল করে নেয়া উচিত, পরে তার ইচ্ছা হলে শরীকী কারবারে ঐ টাকা দিতেও পারে, নাও দিতে পারে। কেননা টাকা উশুল করার পূর্বে উহাকে শরীকী কারবারে দিলে উহাতে সুদ হওয়ার আশংকা রয়েছে, যেমন দাতা তাকে সময় দেয়ার পরিবর্তে ঋণ বাড়িয়ে দিল।মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কেউ কাউকেও শরীকী কারবারের জন্য টাকা দেয় এবং ব্যবসা আরম্ভ করবার পূর্বেই কিছু টাকা নষ্ট হয়ে যায়, অতঃপর বাকী টাকা দ্বারা ব্যবসা করে ঐ অবশিষ্ট টাকাকেই মূলধন ধরে লভ্যাংশের আধা-আধি ভাগ করে নেয়, তবে ইহা অবৈধ বরং প্রথমে সম্পূর্ণ মূলধন তার পরিশোধ করতে হবে, পরে যদি কিছু টাকা অবশিষ্ট থাকে উহাকে মুনাফা ধরে ভাগ করে নিবে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ শরীকী কারবার স্বর্ণ, রৌপ্য ইত্যাদিতে জায়েয, অন্য আসবাব বৈধ নয়, কিন্তু যদি কারবারে বা ক্রয়-বিক্রয়ে কিছু অসুবিধা দেখা দেয় যা শোধরান কষ্টকর হয়, তবে বৈধ হবে, কিন্তু সুদ এর ব্যতিক্রম, কেননা উহার কম-বেশি সবই হারাম, কোন প্রকারেই জায়েয নয় আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেনঃঅর্থাৎ যদি তোমরা সুদের কারবার হতে তওবা কর, তবে তোমাদের জন্য মূলধন রয়েছে। না তোমরা কারো উপর জুলুম করবে, আর না কেউ তোমাদের উপর জুলুম করবে।