পরিচ্ছেদ ৪২ :
ঋণ গ্রহীতার দরিদ্র হওয়া
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩৫৫
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩৫৫
و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَيُّمَا رَجُلٍ أَفْلَسَ فَأَدْرَكَ الرَّجُلُ مَالَهُ بِعَيْنِهِ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ مِنْ غَيْرِهِ.قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ بَاعَ مِنْ رَجُلٍ مَتَاعًا فَأَفْلَسَ الْمُبْتَاعُ فَإِنَّ الْبَائِعَ إِذَا وَجَدَ شَيْئًا مِنْ مَتَاعِهِ بِعَيْنِهِ أَخَذَهُ وَإِنْ كَانَ الْمُشْتَرِي قَدْ بَاعَ بَعْضَهُ وَفَرَّقَهُ فَصَاحِبُ الْمَتَاعِ أَحَقُّ بِهِ مِنْ الْغُرَمَاءِ لَا يَمْنَعُهُ مَا فَرَّقَ الْمُبْتَاعُ مِنْهُ أَنْ يَأْخُذَ مَا وَجَدَ بِعَيْنِهِ فَإِنْ اقْتَضَى مِنْ ثَمَنِ الْمُبْتَاعِ شَيْئًا فَأَحَبَّ أَنْ يَرُدَّهُ وَيَقْبِضَ مَا وَجَدَ مِنْ مَتَاعِهِ وَيَكُونَ فِيمَا لَمْ يَجِدْ أُسْوَةَ الْغُرَمَاءِ فَذَلِكَ لَهُ.قَالَ مَالِك وَمَنْ اشْتَرَى سِلْعَةً مِنْ السِّلَعِ غَزْلًا أَوْ مَتَاعًا أَوْ بُقْعَةً مِنْ الْأَرْضِ ثُمَّ أَحْدَثَ فِي ذَلِكَ الْمُشْتَرَى عَمَلًا بَنَى الْبُقْعَةَ دَارًا أَوْ نَسَجَ الْغَزْلَ ثَوْبًا ثُمَّ أَفْلَسَ الَّذِي ابْتَاعَ ذَلِكَ فَقَالَ رَبُّ الْبُقْعَةِ أَنَا آخُذُ الْبُقْعَةَ وَمَا فِيهَا مِنْ الْبُنْيَانِ إِنَّ ذَلِكَ لَيْسَ لَهُ وَلَكِنْ تُقَوَّمُ الْبُقْعَةُ وَمَا فِيهَا مِمَّا أَصْلَحَ الْمُشْتَرِي ثُمَّ يُنْظَرُ كَمْ ثَمَنُ الْبُقْعَةِ وَكَمْ ثَمَنُ الْبُنْيَانِ مِنْ تِلْكَ الْقِيمَةِ ثُمَّ يَكُونَانِ شَرِيكَيْنِ فِي ذَلِكَ لِصَاحِبِ الْبُقْعَةِ بِقَدْرِ حِصَّتِهِ وَيَكُونُ لِلْغُرَمَاءِ بِقَدْرِ حِصَّةِ الْبُنْيَانِقَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنْ تَكُونَ قِيمَةُ ذَلِكَ كُلِّهِ أَلْفَ دِرْهَمٍ وَخَمْسَ مِائَةِ دِرْهَمٍ فَتَكُونُ قِيمَةُ الْبُقْعَةِ خَمْسَ مِائَةِ دِرْهَمٍ وَقِيمَةُ الْبُنْيَانِ أَلْفَ دِرْهَمٍ فَيَكُونُ لِصَاحِبِ الْبُقْعَةِ الثُّلُثُ وَيَكُونُ لِلْغُرَمَاءِ الثُّلُثَانِقَالَ مَالِك وَكَذَلِكَ الْغَزْلُ وَغَيْرُهُ مِمَّا أَشْبَهَهُ إِذَا دَخَلَهُ هَذَا وَلَحِقَ الْمُشْتَرِيَ دَيْنٌ لَا وَفَاءَ لَهُ عِنْدَهُ وَهَذَا الْعَمَلُ فِيهِقَالَ مَالِك فَأَمَّا مَا بِيعَ مِنْ السِّلَعِ الَّتِي لَمْ يُحْدِثْ فِيهَا الْمُبْتَاعُ شَيْئًا إِلَّا أَنَّ تِلْكَ السِّلْعَةَ نَفَقَتْ وَارْتَفَعَ ثَمَنُهَا فَصَاحِبُهَا يَرْغَبُ فِيهَا وَالْغُرَمَاءُ يُرِيدُونَ إِمْسَاكَهَا فَإِنَّ الْغُرَمَاءَ يُخَيَّرُونَ بَيْنَ أَنْ يُعْطُوا رَبَّ السِّلْعَةِ الثَّمَنَ الَّذِي بَاعَهَا بِهِ وَلَا يُنَقِّصُوهُ شَيْئًا وَبَيْنَ أَنْ يُسَلِّمُوا إِلَيْهِ سِلْعَتَهُ وَإِنْ كَانَتْ السِّلْعَةُ قَدْ نَقَصَ ثَمَنُهَا فَالَّذِي بَاعَهَا بِالْخِيَارِ إِنْ شَاءَ أَنْ يَأْخُذَ سِلْعَتَهُ وَلَا تِبَاعَةَ لَهُ فِي شَيْءٍ مِنْ مَالِ غَرِيمِهِ فَذَلِكَ لَهُ وَإِنْ شَاءَ أَنْ يَكُونَ غَرِيمًا مِنْ الْغُرَمَاءِ يُحَاصُّ بِحَقِّهِ وَلَا يَأْخُذُ سِلْعَتَهُ فَذَلِكَ لَهُ و قَالَ مَالِك فِيمَنْ اشْتَرَى جَارِيَةً أَوْ دَابَّةً فَوَلَدَتْ عِنْدَهُ ثُمَّ أَفْلَسَ الْمُشْتَرِي فَإِنَّ الْجَارِيَةَ أَوْ الدَّابَّةَ وَوَلَدَهَا لِلْبَائِعِ إِلَّا أَنْ يَرْغَبَ الْغُرَمَاءُ فِي ذَلِكَ فَيُعْطُونَهُ حَقَّهُ كَامِلًا وَيُمْسِكُونَ ذَلِكَ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দরিদ্র হয়েছে এবং কোন ব্যক্তি তার মাল হুবহু তার নিকট পায় তবে সে অন্যের তুলনায় সেই মালের অধিক হকদার হবে। (বুখারী ২৪০২, মুসলিম ১৫৯৯)মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তির নিকট কোন পণ্য বা খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করেছে। অতঃপর ক্রেতা দরিদ্র হয়ে গিয়েছে, তবে বিক্রেতা তার পণ্যের হুবহু কিছু পেলে সে এই পণ্য গ্রহণ করবে। যদি ক্রেতা উহার কিছু অংশ বিক্রয় করে থাকে এবং উহাকে পৃথক করে দিয়ে থাকে তবে পণ্যের মালিক অন্যান্য ঋণদাতা বা মহাজনদের অপেক্ষা এই পণ্যের অধিক হকদার হবে। ক্রেতা কর্তৃক উহা হতে কিছু অংশ পৃথক করার কারণে তার পণ্যের যা হুবহু সে পেয়েছে তা আয়ত্তে আনতে কোন বাধা হবে না। আর যদি বিক্রেতা পণ্যের মূল্যের কিছু তলব করেছে অতঃপর বিক্রেতা পণ্যের যে মূল্য গ্রহণ করেছে উহা ফেরত দিতে এবং যে পণ্য পাওয়া গিয়েছে উহা আয়ত্তে আনতে পছন্দ করে এবং যা আদায় হয়নি তাতে অন্যান্য মহাজনের সমান হয়ে যায় তবে এটা জায়েয আছে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি কিছু পণ্য খরিদ করল উহা পশম হোক বা অন্য কোন ব্যবসায়ের মাল বা এক টুকরা জমি। অতঃপর যে খরিদ করেছে সে উহাতে নতুন কোন কাজ করল, যেমন জমিতে ঘর বানাল বা পশম দ্বারা কাপড় তৈয়ার করল। অতঃপর যে খরিদ করেছিল সে গরীব হয়ে গেল, জমিওয়ালা তাকে বলল, আমি ঐ জমি এবং উহাতে যা নির্মাণ করা হয়েছে তা সমস্তই নিয়ে নিব, তবে ইহা তার জন্য বৈধ হবে না বরং ঐ জমি এবং জমিতে যে ঘর ক্রেতা তৈয়ার করেছিল উহার মূল্য নির্ণয় করতে হবে। অতঃপর দেখতে হবে ঐ জমির মূল্য কত পড়ে এবং ঘরের মূল্য কত হয়। অতঃপর ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে তাতে অংশীদার হবে। জমির মালিকের জন্য হবে তার জমির অংশ অনুযায়ী এবং ঋণগ্রস্তদের জন্য হবে নির্মিত গৃহাদির অংশ পরিমাণ।মালিক (রহঃ) বলেনঃ এর ব্যাখ্যা এই যে, যেমন ঐ জমি ও ঘরের একত্রে মূল্য হবে এক হাজার পাঁচ শত দিরহাম। এমতাবস্থায় জমির মূল্য হবে পাঁচ শত দিরহাম এবং ঘরের মূল্য হবে এক হাজার দিরহাম। জমির মালিকের জন্য হবে এক-তৃতীয়াংশ এবং ঋণগ্রস্তদের জন্য হবে দুই-তৃতীয়াংশ।মালিক (রহঃ) বলেনঃ এইরূপেই পশম ইত্যাদি মূল্য ধরতে হবে যদি খরিদ্দার ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে আর মূল্য আদায় করতে অপারগ হয়।মালিক (রহঃ) বলেনঃ আর ঐ সমস্ত ব্যবসায়ের মাল যাতে খরিদ্দার কোন কাজ করেনি বরং এমনি ঐ মালের যোগ্যতা তথা গুণাগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে আর উহার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন ঐ মালওয়ালা উহা পেতে ইচ্ছা করিতেছে। কিন্তু খাতক উহা রাখতে চাচ্ছে। এমতাবস্থায় ঋণদাতাদের ইচ্ছানুযায়ী তারা মালওয়ালাকে উহার মূল্যও দিয়ে দিতে পারে, যে দামে উহা বিক্রয় হয়েছিল। উহা হতে কমাতে পারবে না বা তাকে তার মালও দিয়ে দিতে পারে। আর যদি ঐ মালের মূল্য কমে গিয়ে থাকে তবে যে বিক্রয় করেছে সে যদি ইচ্ছা করে তবে তার মাল নিয়ে নিতে পারে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি কোন দাসী বা কোন পশু খরিদ করল এবং উহা তার নিকট বাচ্চা দিল অতঃপর ক্রেতা গরীব হয়ে গেল, ঐ দাসী বা পশু যে বাচ্চা প্রসব করেছে উহা বিক্রেতার হবে। যদি খাতকের উহা রাখবার ইচ্ছা হয়, তবে তার পূর্ণ প্রাপ্য দিয়ে উহা রাখতে পারে।