পরিচ্ছেদ ২৬ :
পশুর অবৈধ বিক্রয়
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩৩০
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩৩০
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ: لَا رِبًا فِي الْحَيَوَانِ وَإِنَّمَا نُهِيَ مِنْ الْحَيَوَانِ عَنْ ثَلَاثَةٍ عَنْ الْمَضَامِينِ وَالْمَلَاقِيحِ وَحَبَلِ الْحَبَلَةِ وَالْمَضَامِينُ بَيْعُ مَا فِي بُطُونِ إِنَاثِ الْإِبِلِ وَالْمَلَاقِيحُ بَيْعُ مَا فِي ظُهُورِ الْجِمَالِ. قَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي أَنْ يَشْتَرِيَ أَحَدٌ شَيْئًا مِنْ الْحَيَوَانِ بِعَيْنِهِ إِذَا كَانَ غَائِبًا عَنْهُ وَإِنْ كَانَ قَدْ رَآهُ وَرَضِيَهُ عَلَى أَنْ يَنْقُدَ ثَمَنَهُ لَا قَرِيبًا وَلَا بَعِيدًا قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا كُرِهَ ذَلِكَ لِأَنَّ الْبَائِعَ يَنْتَفِعُ بِالثَّمَنِ وَلَا يُدْرَى هَلْ تُوجَدُ تِلْكَ السِّلْعَةُ عَلَى مَا رَآهَا الْمُبْتَاعُ أَمْ لَا فَلِذَلِكَ كُرِهَ ذَلِكَ وَلَا بَأْسَ بِهِ إِذَا كَانَ مَضْمُونًا مَوْصُوفًا.
সা’ঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
পশুতে সুদ নাই। তিন প্রকারের পশু [-এর ক্রয়-বিক্রয়] হতে নিষেধ করা হয়েছে “মাযামীন, মালাকীহ, হাবালুল হাবালা” [এই তিন প্রকারের ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ] । উষ্ট্রীদের উদরের বাচ্চারা হচ্ছে মাযামীন। আর উটদের টিপঠের বীর্য হচ্ছে মালাকী আর “হাবালুল-হাবালা” হচ্ছে জাহিলী যুগের লোকেরা পরস্পর [উষ্ট্রীর পেটের বাচ্চার] যে বেচাকেনা করত তা।মালিক (রহঃ) বলেনঃ নির্দিষ্ট কোন জানোয়ার কারো পক্ষে ক্রয় করা জায়েয নয় যদি উক্ত পশু তার মওজুদ না থাকে। যদিও ক্রেতা (পূর্বে) উহাকে দেখে থাকে এবং (দেখার সময়) নগদ মূল্য পরিশোধ করতে রাজী হয়ে থাকে। এই বিক্রয় জায়েয হবে না? বিক্রীত পশুর অনুপস্থিতি অল্পদিনে হোক কিংবা বেশি দিনের হোক। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (রহঃ) বলেনঃ এটা এজন্য মাকরূহ যে, বিক্রেতা তার মূল্য দ্বারা উপকৃত হবে। অথচ সেই নির্দিষ্ট জানোয়ারটিকে ক্রেতা যেই অবস্থায় দেখেছিল সেই অবস্থায় পাওয়া যাবে কি যাবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এই কারণেই এটা মাকরূহ্ হয়েছে। তবে যদি বিক্রীত বস্তুর (ভালরূপে) গুণাগুণ বিশ্লেষণ করে দেয়া হয় এবং যথাসময়ে ক্রেতার নিকট উহাকে সোপর্দ করার ব্যাপারে বিক্রেতা দায়ী থাকে, তা হলে এই বিক্রয় জায়েয হবে।