পরিচ্ছেদ ২২ :
পরস্পরে বৃদ্ধি বতীত খাদ্যদ্রব্যের বিনিময়ে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করা
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩১৯
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩১৯
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ ابْنِ مُعَيْقِيبٍ الدَّوْسِيِّ مِثْلُ ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَهُوَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنْ لَا تُبَاعَ الْحِنْطَةُ بِالْحِنْطَةِ وَلَا التَّمْرُ بِالتَّمْرِ وَلَا الْحِنْطَةُ بِالتَّمْرِ وَلَا التَّمْرُ بِالزَّبِيبِ وَلَا الْحِنْطَةُ بِالزَّبِيبِ وَلَا شَيْءٌ مِنْ الطَّعَامِ كُلِّهِ إِلَّا يَدًا بِيَدٍ فَإِنْ دَخَلَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ الْأَجَلُ لَمْ يَصْلُحْ وَكَانَ حَرَامًا وَلَا شَيْءَ مِنْ الْأُدْمِ كُلِّهَا إِلَّا يَدًا بِيَدٍقَالَ مَالِك وَلَا يُبَاعُ شَيْءٌ مِنْ الطَّعَامِ وَالْأُدْمِ إِذَا كَانَ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ فَلَا يُبَاعُ مُدُّ حِنْطَةٍ بِمُدَّيْ حِنْطَةٍ وَلَا مُدُّ تَمْرٍ بِمُدَّيْ تَمْرٍ وَلَا مُدُّ زَبِيبٍ بِمُدَّيْ زَبِيبٍ وَلَا مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الْحُبُوبِ وَالْأُدْمِ كُلِّهَا إِذَا كَانَ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ وَإِنْ كَانَ يَدًا بِيَدٍ إِنَّمَا ذَلِكَ بِمَنْزِلَةِ الْوَرِقِ بِالْوَرِقِ وَالذَّهَبِ بِالذَّهَبِ لَا يَحِلُّ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ الْفَضْلُ وَلَا يَحِلُّ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ يَدًا بِيَدٍقَالَ مَالِك وَإِذَا اخْتَلَفَ مَا يُكَالُ أَوْ يُوزَنُ مِمَّا يُؤْكَلُ أَوْ يُشْرَبُ فَبَانَ اخْتِلَافُهُ فَلَا بَأْسَ أَنْ يُؤْخَذَ مِنْهُ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ يَدًا بِيَدٍ وَلَا بَأْسَ أَنْ يُؤْخَذَ صَاعٌ مِنْ تَمْرٍ بِصَاعَيْنِ مِنْ حِنْطَةٍ وَصَاعٌ مِنْ تَمْرٍ بِصَاعَيْنِ مِنْ زَبِيبٍ وَصَاعٌ مِنْ حِنْطَةٍ بِصَاعَيْنِ مِنْ سَمْنٍ فَإِذَا كَانَ الصِّنْفَانِ مِنْ هَذَا مُخْتَلِفَيْنِ فَلَا بَأْسَ بِاثْنَيْنِ مِنْهُ بِوَاحِدٍ أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ يَدًا بِيَدٍ فَإِنْ دَخَلَ فِي ذَلِكَ الْأَجَلُ فَلَا يَحِلُّقَالَ مَالِك وَلَا تَحِلُّ صُبْرَةُ الْحِنْطَةِ بِصُبْرَةِ الْحِنْطَةِ وَلَا بَأْسَ بِصُبْرَةِ الْحِنْطَةِ بِصُبْرَةِ التَّمْرِ يَدًا بِيَدٍ وَذَلِكَ أَنَّهُ لَا بَأْسَ أَنْ يُشْتَرَى الْحِنْطَةُ بِالتَّمْرِ جِزَافًاقَالَ مَالِك وَكُلُّ مَا اخْتَلَفَ مِنْ الطَّعَامِ وَالْأُدْمِ فَبَاناخْتِلَافُهُ فَلَا بَأْسَ أَنْ يُشْتَرَى بَعْضُهُ بِبَعْضٍ جِزَافًا يَدًا بِيَدٍ فَإِنْ دَخَلَهُ الْأَجَلُ فَلَا خَيْرَ فِيهِ وَإِنَّمَا اشْتِرَاءُ ذَلِكَ جِزَافًا كَاشْتِرَاءِ بَعْضِ ذَلِكَ بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ جِزَافًا قَالَ مَالِك وَذَلِكَ أَنَّكَ تَشْتَرِي الْحِنْطَةَ بِالْوَرِقِ جِزَافًا وَالتَّمْرَ بِالذَّهَبِ جِزَافًا فَهَذَا حَلَالٌ لَا بَأْسَ بِهِقَالَ مَالِك وَمَنْ صَبَّرَ صُبْرَةَ طَعَامٍ وَقَدْ عَلِمَ كَيْلَهَا ثُمَّ بَاعَهَا جِزَافًا وَكَتَمَ عَلَى الْمُشْتَرِيَ كَيْلَهَا فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَصْلُحُ فَإِنْ أَحَبَّ الْمُشْتَرِي أَنْ يَرُدَّ ذَلِكَ الطَّعَامَ عَلَى الْبَائِعِ رَدَّهُ بِمَا كَتَمَهُ كَيْلَهُ وَغَرَّهُ وَكَذَلِكَ كُلُّ مَا عَلِمَ الْبَائِعُ كَيْلَهُ وَعَدَدَهُ مِنْ الطَّعَامِ وَغَيْرِهِ ثُمَّ بَاعَهُ جِزَافًا وَلَمْ يَعْلَمْ الْمُشْتَرِي ذَلِكَ فَإِنَّ الْمُشْتَرِيَ إِنْ أَحَبَّ أَنْ يَرُدَّ ذَلِكَ عَلَى الْبَائِعِ رَدَّهُ وَلَمْ يَزَلْ أَهْلُ الْعِلْمِ يَنْهَوْنَ عَنْ ذَلِكَقَالَ مَالِك وَلَا خَيْرَ فِي الْخُبْزِ قُرْصٍ بِقُرْصَيْنِ وَلَا عَظِيمٍبِصَغِيرٍ إِذَا كَانَ بَعْضُ ذَلِكَ أَكْبَرَ مِنْ بَعْضٍ فَأَمَّا إِذَا كَانَ يُتَحَرَّى أَنْ يَكُونَ مِثْلًا بِمِثْلٍ فَلَا بَأْسَ بِهِ وَإِنْ لَمْ يُوزَنْقَالَ مَالِك لَا يَصْلُحُ مُدُّ زُبْدٍ وَمُدُّ لَبَنٍ بِمُدَّيْ زُبْدٍ وَهُوَ مِثْلُ الَّذِي وَصَفْنَا مِنْ التَّمْرِ الَّذِي يُبَاعُ صَاعَيْنِ مِنْ كَبِيسٍ وَصَاعًا مِنْ حَشَفٍ بِثَلَاثَةِ أَصْوُعٍ مِنْ عَجْوَةٍ حِينَ قَالَ لِصَاحِبِهِ إِنَّ صَاعَيْنِ مِنْ كَبِيسٍ بِثَلَاثَةِ أَصْوُعٍ مِنْ الْعَجْوَةِ لَا يَصْلُحُ فَفَعَلَ ذَلِكَ لِيُجِيزَ بَيْعَهُ وَإِنَّمَا جَعَلَ صَاحِبُ اللَّبَنِ اللَّبَنَ مَعَ زُبْدِهِ لِيَأْخُذَ فَضْلَ زُبْدِهِ عَلَى زُبْدِ صَاحِبِهِ حِينَ أَدْخَلَ مَعَهُ اللَّبَنَقَالَ مَالِك وَالدَّقِيقُ بِالْحِنْطَةِ مِثْلًا بِمِثْلٍ لَا بَأْسَ بِهِ وَذَلِكَ لِأَنَّهُ أَخْلَصَ الدَّقِيقَ فَبَاعَهُ بِالْحِنْطَةِ مِثْلًا بِمِثْلٍ وَلَوْ جَعَلَ نِصْفَ الْمُدِّ مِنْ دَقِيقٍ وَنِصْفَهُ مِنْ حِنْطَةٍ فَبَاعَ ذَلِكَ بِمُدٍّ مِنْ حِنْطَةٍ كَانَ ذَلِكَ مِثْلَ الَّذِي وَصَفْنَا لَا يَصْلُحُ لِأَنَّهُ إِنَّمَا أَرَادَ أَنْ يَأْخُذَ فَضْلَ حِنْطَتِهِ الْجَيِّدَةِ حَتَّى جَعَلَ مَعَهَا الدَّقِيقَ فَهَذَا لَا يَصْلُحُ
মালিক (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, কাসেম ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) সূত্রে ইবনু মুয়াইকীব দাওসী (রহঃ) হতেও অনুরূপ রেওয়ায়ত বর্ণিত হয়েছে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকটও হুকুম অনুরূপ। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত মাসআলা হল- গমের বিনিময়ে গম, খুর্মার বিনিময়ে খুর্মা, খুর্মার বিনিময়ে গম, কিশমিশের বিনিময়ে খুর্মা এবং যাবতীয় খাদ্যশস্য নগদ ছাড়া বিক্রয় করা বৈধ হবে না, (উল্লেখিত বস্তুর) কোন একটিতে যদি মেয়াদ প্রবেশ করে অর্থাৎ ধারে বিক্রয় করা হয় তবে এটা বৈধ হবে না (বরং) এটা হারাম হবে। (অনুরূপ) ব্যঞ্জনে ব্যবহৃত যাবতীয় বস্তুকেও নগদ ছাড়া বিক্রয় করা যাবে না।মালিক (রহঃ) বলেনঃ খাদ্যদ্রব্য ব্যঞ্জনসমূহ হতে কোন খাদ্যদ্রব্য কিংবা ব্যঞ্জন যদি তা এক জাতীয় হয় তবে একের বিনিময়ে দুইটি বিক্রয় করা যাবে না এবং এক মুদ্ গমের বিনিময়ে দুই মুদ গম বিক্রয় করা যাবে না। (অনুরূপ) এক মুদ খুর্মা বিক্রয় করা যাবে না দুই মুদ খুর্মার বিনিময়ে, আর এক মুদ কিশমিশকে দুই মুদ কিশমিশের বিনিময়ে বিক্রয় করা যাবে না। (উপরে বর্ণিত বস্তুসমূহের) সদৃশ যাবতীয় শস্য ও ব্যঞ্জনাদি যদি এক জাতীয় হয় (উহাকেও) (অনুরূপ)-বিক্রয় করা যাবে না, নগদ বিক্রি হলেও। কারণ এটা হচ্ছে চাঁদির বিনিময়ে চাঁদির, স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ বিক্রয় করার মতো, এইসব ব্যাপারে কমবেশ করা জায়েয নয়, একমাত্র সমান সমান ও নগদ হলেই এটা হালাল হবে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ পরিমাপ পাত্র দ্বারা মাপা হয় কিংবা ওজন করে দেয়া হয় এরূপ খাদ্য কিংবা পানীয় দ্রব্যের মধ্যে পার্থক্য পাওয়া গেলে এবং (জাতের) এই পার্থক্য প্রকাশ্য হলে, তবে নগদ বিক্রয় হলে উহার একটির বিনিময়ে দুইটি গ্রহণ করাতে কোন দোষ নেই। আর দুই সা’ গমের পরিবর্তে এক সা’ খুর্মা এবং দুই সা’ কিশমিশের বিনিময়ে এক সা’ খুর্মা এবং দুই সা’ ঘি-এর বিনিময়ে এক সা’ গম নেয়াতে কোন দোষ নেই। এই সবের মধ্য হতে পরস্পর দুই জাতের দুইটি বস্তু উভয়ে পরস্পর ভিন্ন জাতের হলে তবে সেই জাতীয় বস্তু হতে একের বিনিময়ে দুই কিংবা ততোধিক নগদ বিক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। কিন্তু ধারে হলে তা বৈধ হবে না।মালিক (রহঃ) বলেনঃ গমের স্তূপের বিনিময়ে গমের স্তূপ (ক্রয় করা) হালাল হবে না, খুর্মার স্তূপের বিনিময়ে গমের স্তূপ নগদ ক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। কারণ খেজুরের বিনিময়ে গম অনুমানে ক্রয় করাতে কোন দোষ নেই।মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে কোন খাদ্যদ্রব্য ও ব্যঞ্জনের জাত পরস্পর বিরোধী হলে এবং পার্থক্য স্পষ্ট হলে তবে (সেইরূপ দ্রব্যের) এক অংশকে আর এক অংশের বিনিময়ে আন্দাজে (কিন্তু) নগদে ক্রয় করাতে কোন দোষ নেই, যদি উহাতে মেয়াদ (ধারে বিক্রয়) প্রবেশ করে তবে সেই বিক্রয়ে মঙ্গল নেই। ইহা আন্দাজে ক্রয় করা (এইরূপ) যেমন এহার কিছু অংশকে চাঁদি বা স্বর্ণের বিনিময়ে অনুমানে বিক্রয় করা।মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি খাদ্যশস্যের স্তূপ করেছে এবং উহার পরিমাপ কার্য সম্পাদন করেছে, অতঃপর উহাকে অনুমানে বিক্রয় করেছে এবং ক্রেতার নিকট উহার পরিমাপ গোপন করেছে। এটা জাায়েয হবে না। তারপর ক্রেতা যদি ফেরত দিতে ইচ্ছা করে, তবে এই খাদ্যশস্য বিক্রেতাকে ফেরত দিবে, কেননা, বিক্রেতা তার নিকট উহার পরিমাপ গোপন করেছে, (এইভাবে) সে ক্রেতাকে ধোঁকা দিয়েছে। অনুরূপ খাদ্যদ্রব্য হোক বা অন্য কিছু বিক্রেতা যে বস্তুর পরিমাপ ও সংখ্যা জানে অতঃপর উহাকে (ক্রেতার কাছে) আন্দাজে বিক্রয় করে, (অথচ) ক্রেতা উহা অবগত নয়, তবে ক্রেতা ইচ্ছা করলে উক্ত বস্তু বিক্রেতার নিকট ফেরত দিবে। এইরূপ বিক্রয় হতে আহলে ‘ইলম (‘উলামা) সর্বদা নিষেধ করতেন।মালিক (রহঃ) বলেনঃ দুই রুটির বিনিময়ে এক রুটি, ছোট রুটির বিনিময়ে বড় রুটি, যার একটি অপরটি হতে বড়, গ্রহণ করা জায়েয নয়। তবে যদি উভয়ে সমান সমান হবে বলে প্রবল ধারণা হয় তবে ওজন করা না হলেও উহাতে কোন দোষ নেই।মালিক (রহঃ) বলেনঃ দুই মুদ পনিরের বিনিময়ে এক মুদ পনির এবং এক মুদ দুধ গ্রহণ করা জায়েয নয়। এটা এইরূপ যেইরূপ আমরা পূর্বে বর্ণনা করেছিঃ খেজুরের ব্যাপারে যার তিন সা’ আজওয়ার বিনিময়ে বিক্রয় করা হয়েছে দুই সা’ কাবীস আর এক সা’ রদ্দী খেজুর। যখন তাদের একজন অপর জনকে বলল তিন সা’ ‘আজওয়ার বিনিময়ে দুই সা’ কাবীস বিক্রয় করা জায়েয নয় তখন তিনি এটা [আর এক সা’ রদ্দী খেজুর মিশাইবার কাজ] করলেন বিক্রি শুদ্ধ করার জন্য। দুধওয়ালা পনিরের সঙ্গে দুধ মিশাইয়াছে। এহা এই জন্য যে, তার সাথীর পনিরের তুলনায় তার পনীরের বাড়তিটুকু উশুল করবে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ গমের বিনিময়ে আটা সমান সমান হলে কোন দোষ নেই। আর যদি অর্ধ মুদ আটা এবং অর্ধ মুদ গম একত্র করে উহাকে এক মুদ গমের বিনিময়ে বিক্রয় করা হয় তবে এটা যেইরূপ আমরা পূর্বে বর্ণনা করেছি সেইরূপ হবে। ইহা জায়েয হবে না। কারণ সে গমের সাথে আটা মিশাইয়া উৎকৃষ্ট গমের বাড়তিটুকু [শ্রেষ্ঠত্বের মূল্য] আদায় করল। কাজেই ইহা জায়েয হবে না।