পরিচ্ছেদ ১৮ :
মুরাতালা’[১]র বিধান
[১] মুরাতালা হচ্ছে ওজন করে স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ এবং চাঁদির ক্রয়-বিক্রয়।
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩০৬
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১৩০৬
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ قُسَيْطٍ اللَّيْثِيِّ أَنَّهُ رَأَى سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يُرَاطِلُ الذَّهَبَ بِالذَّهَبِ فَيُفْرِغُ ذَهَبَهُ فِي كِفَّةِ الْمِيزَانِ وَيُفْرِغُ صَاحِبُهُ الَّذِي يُرَاطِلُهُ ذَهَبَهُ فِي كِفَّةِ الْمِيزَانِ الْأُخْرَى فَإِذَا اعْتَدَلَ لِسَانُ الْمِيزَانِ أَخَذَ وَأَعْطَـى ২৩৪৯-قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي بَيْعِ الذَّهَبِ بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ بِالْوَرِقِ مُرَاطَلَةً أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ أَنْ يَأْخُذَ أَحَدَ عَشَرَ دِينَارًا بِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ يَدًا بِيَدٍ إِذَا كَانَ وَزْنُ الذَّهَبَيْنِ سَوَاءً عَيْنًا بِعَيْنٍ وَإِنْ تَفَاضَلَ الْعَدَدُ وَالدَّرَاهِمُ أَيْضًا فِي ذَلِكَ بِمَنْزِلَةِ الدَّنَانِيْرِ.قَالَ مَالِك مَنْ رَاطَلَ ذَهَبًا بِذَهَبٍ أَوْ وَرِقًا بِوَرِقٍ فَكَانَ بَيْنَ الذَّهَبَيْنِ فَضْلُ مِثْقَالٍ فَأَعْطَى صَاحِبَهُ قِيمَتَهُ مِنْ الْوَرِقِ أَوْ مِنْ غَيْرِهَا فَلَا يَأْخُذُهُ فَإِنَّ ذَلِكَ قَبِيحٌ وَذَرِيعَةٌ إِلَى الرِّبَا لِأَنَّهُ إِذَا جَازَ لَهُ أَنْ يَأْخُذَ الْمِثْقَالَ بِقِيمَتِهِ حَتَّى كَأَنَّهُ اشْتَرَاهُ عَلَى حِدَتِهِ جَازَ لَهُ أَنْ يَأْخُذَ الْمِثْقَالَ بِقِيمَتِهِ مِرَارًا لِأَنْ يُجِيزَ ذَلِكَ الْبَيْعَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ صَاحِبِه. قَالَ مَالِك وَلَوْ أَنَّهُ بَاعَهُ ذَلِكَ الْمِثْقَالَ مُفْرَدًا لَيْسَ مَعَهُ غَيْرُهُ لَمْ يَأْخُذْهُ بِعُشْرِ الثَّمَنِ الَّذِي أَخَذَهُ بِهِ لِأَنْ يُجَوِّزَ لَهُ الْبَيْعَ فَذَلِكَ الذَّرِيعَةُ إِلَى إِحْلَالِ الْحَرَامِ وَالْأَمْرُ الْمَنْهِيُّ عَنْهُ.قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يُرَاطِلُ الرَّجُلَ وَيُعْطِيهِ الذَّهَبَ الْعُتُقَ الْجِيَادَ وَيَجْعَلُ مَعَهَا تِبْرًا ذَهَبًا غَيْرَ جَيِّدَةٍ وَيَأْخُذُ مِنْ صَاحِبِهِ ذَهَبًا كُوفِيَّةً مُقَطَّعَةً وَتِلْكَ الْكُوفِيَّةُ مَكْرُوهَةٌ عِنْدَ النَّاسِ فَيَتَبَايَعَانِ ذَلِكَ مِثْلًا بِمِثْلٍ إِنَّ ذَلِكَ لَا يَصْلُحُقَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ مَا كُرِهَ مِنْ ذَلِكَ أَنَّ صَاحِبَ الذَّهَبِ الْجِيَادِ أَخَذَ فَضْلَ عُيُونِ ذَهَبِهِ فِي التِّبْرِ الَّذِي طَرَحَ مَعَ ذَهَبِهِ وَلَوْلَا فَضْلُ ذَهَبِهِ عَلَى ذَهَبِ صَاحِبِهِ لَمْ يُرَاطِلْهُ صَاحِبُهُ بِتِبْرِهِ ذَلِكَ إِلَى ذَهَبِهِ الْكُوفِيَّةِ فَامْتَنَعَ وَإِنَّمَا مَثَلُ ذَلِكَ كَمَثَلِ رَجُلٍ أَرَادَ أَنْ يَبْتَاعَ ثَلَاثَةَ أَصْوُعٍ مِنتَمْرٍ عَجْوَةٍ بِصَاعَيْنِ وَمُدٍّ مِنْ تَمْرٍ كَبِيسٍ فَقِيلَ لَهُ هَذَا لَا يَصْلُحُ فَجَعَلَ صَاعَيْنِ مِنْ كَبِيسٍ وَصَاعًا مِنْ حَشَفٍ يُرِيدُ أَنْ يُجِيزَ بِذَلِكَ بَيْعَهُ فَذَلِكَ لَا يَصْلُحُ لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ صَاحِبُ الْعَجْوَةِ لِيُعْطِيَهُ صَاعًا مِنْ الْعَجْوَةِ بِصَاعٍ مِنْ حَشَفٍ وَلَكِنَّهُ إِنَّمَا أَعْطَاهُ ذَلِكَ لِفَضْلِ الْكَبِيسِ أَوْ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ بِعْنِي ثَلَاثَةَ أَصْوُعٍ مِنْ الْبَيْضَاءِ بِصَاعَيْنِ وَنِصْفٍ مِنْ حِنْطَةٍ شَامِيَّةٍ فَيَقُولُ هَذَا لَا يَصْلُحُ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ فَيَجْعَلُ صَاعَيْنِ مِنْ حِنْطَةٍ شَامِيَّةٍ وَصَاعًا مِنْ شَعِيرٍ يُرِيدُ أَنْ يُجِيزَ بِذَلِكَ الْبَيْعَ فِيمَا بَيْنَهُمَا فَهَذَا لَا يَصْلُحُ لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ لِيُعْطِيَهُ بِصَاعٍ مِنْ شَعِيرٍ صَاعًا مِنْ حِنْطَةٍ بَيْضَاءَ لَوْ كَانَ ذَلِكَ الصَّاعُ مُفْرَدًا وَإِنَّمَا أَعْطَاهُ إِيَّاهُ لِفَضْلِ الشَّامِيَّةِ عَلَى الْبَيْضَاءِ فَهَذَا لَا يَصْلُحُ وَهُوَ مِثْلُ مَا وَصَفْنَا مِنْ التِّبْرِقَالَ مَالِك فَكُلُّ شَيْءٍ مِنْ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ وَالطَّعَامِ كُلِّهِ الَّذِي لَا يَنْبَغِي أَنْ يُبَاعَ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ فَلَا يَنْبَغِي أَنْ يُجْعَلَ مَعَ الصِّنْفِ الْجَيِّدِ مِنْ الْمَرْغُوبِ فِيهِ الشَّيْءُ الرَّدِيءُ الْمَسْخُوطُ لِيُجَازَ الْبَيْعُ وَلِيُسْتَحَلَّ بِذَلِكَ مَا نُهِيَ عَنْهُ مِنْ الْأَمْرِ الَّذِي لَا يَصْلُحُ إِذَا جُعِلَ ذَلِكَ مَعَالصِّنْفِ الْمَرْغُوبِ فِيهِ وَإِنَّمَا يُرِيدُ صَاحِبُ ذَلِكَ أَنْ يُدْرِكَ بِذَلِكَ فَضْلَ جَوْدَةِ مَا يَبِيعُ فَيُعْطِي الشَّيْءَ الَّذِي لَوْ أَعْطَاهُ وَحْدَهُ لَمْ يَقْبَلْهُ صَاحِبُهُ وَلَمْ يَهْمُمْ بِذَلِكَ وَإِنَّمَا يَقْبَلُهُ مِنْ أَجْلِ الَّذِي يَأْخُذُ مَعَهُ لِفَضْلِ سِلْعَةِ صَاحِبِهِ عَلَى سِلْعَتِهِ فَلَا يَنْبَغِي لِشَيْءٍ مِنْ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ وَالطَّعَامِ أَنْ يَدْخُلَهُ شَيْءٌ مِنْ هَذِهِ الصِّفَةِ فَإِنْ أَرَادَ صَاحِبُ الطَّعَامِ الرَّدِيءِ أَنْ يَبِيعَهُ بِغَيْرِهِ فَلْيَبِعْهُ عَلَى حِدَتِهِ وَلَا يَجْعَلُ مَعَ ذَلِكَ شَيْئًا فَلَا بَأْسَ بِهِ إِذَا كَانَ كَذَلِكَ ِ
ইয়াযিদ ইবন আবদিল্লাহ্ ইবন কুসাইত (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ)-কে স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণের মুরাতালা করতে দেখেছেন। তিনি দাঁড়িপাল্লার এক হাতে স্বর্ণ ঢালতেন, তার সাথে মুরাতালাকারী অপর পক্ষ তার স্বর্ণ ঢালতেন পাল্লার অপর হাতে। পাল্লার কাঁটা বরাবর হলে (পাল্লার এক হাত হতে) তিনি গ্রহণ করতেন এবং (অপর হাত হতে) সাথীকে দিতেন। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাসাআলা এই, ওজন করে স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ এবং চাঁদির বিনিময়ে চাঁদি বিক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। যদিও বা নগদ দশ দীনারের বিনিময়ে এগার দীনার গ্রহণ করা হয়। উভয় স্বর্ণের ওজন সমপরিমাণ হলে। মুদ্রার বিনিময়ে মুদ্রা। (ওজন করে বিক্রয় করা বৈধ) সংখ্যায় যদিও বাড়তি হয়। এই ব্যাপারে দিরহামও দীনারের মতো। [২]মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণের মুরাতালা করেছে কিংবা চাঁদির বিনিময়ে চাঁদির মুরাতালা করেছে, উভয় স্বর্ণের মধ্যে একটিতে এক মিসকাল (স্বর্ণ) বাড়তি রয়েছে [৩], অতঃপর তার সাথী (যার অংশের স্বর্ণ ওজনে কম) চাঁদি অথবা অন্য বস্তুর দ্বারা উহার মূল্য আদায় করল। তবে সে (বর্ধিত স্বর্ণের মালিক) এই মূল্য কবুল করবে না। কারণ এটা ভাল নয় এবং এটা সুদের উসীলা মাত্র। কারণ (অতিরিক্ত) এক মিসকাল যদি উহার মূল্য আদায় করে গ্রহণ করা তার জন্য জায়েয হয়, তবে সে যেন এই এক মিসকাল স্বর্ণ পৃথকভাবে (নূতন) খরিদ করল। এইরূপে এক মিসকালকে উহার মূল্য আদায় করে কয়েকবার গ্রহণ করা হল। এইভাবে সেও তার সাথীর [৪] মধ্যে বিক্রয়কে জায়েয করার জন্য [এটা করা হল]।মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি সেই ব্যক্তি [যে বর্ধিত এক মিসকাল বিক্রয় করল] সেই মিসকাল [৫] বিক্রয় করে পৃথকভাবে, যার সাথে অন্য কিছু না থাকে তা হলে (ক্রেতা) বিক্রয়কে হালাল করবার উদ্দেশ্যে যেই মূল্যে সে উহা ক্রয় করেছে সেই মূল্য ব্যতীত অন্য মূল্যে সে উহা ক্রয় করবে না, এটা হচ্ছে হারামকে হালাল করার একটি পন্থা বটে। আর এটা নিষিদ্ধ।মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তির সাথে মুরাতালা [৬] করিতেছে এবং উহাকে খাঁটি ও উন্নতমানের স্বর্ণ দিচ্ছে, তৎসঙ্গে দিচ্ছে কতকটা কৃত্রিম সোনা। এর বদলে তার সাথী হতে সে নিচ্ছে কুফী মধ্যম মানের সোনা। যে কুফী-স্বর্ণ লোকের নিকট অপছন্দনীয়। এবং তারা উভয়ে উহা বেচা-কেনা করিতেছে সমান সমান ওজনে। এইরূপ বেচা-কেনা জায়েয হবে না।মালিক (রহঃ) বলেনঃ এটা মাকরূহ্ হওয়ার বিশ্লেষণ এই, বিশুদ্ধ স্বর্ণওয়ালা তার বিশুদ্ধ স্বর্ণের অতিরিক্ত মূল্য আদায় করেছে যে কতকটা নিম্নমানের স্বর্ণ উহার সাথে মিশ্রিত করেছে তাতে। তার সাথী [কুফী স্বর্ণ ওয়ালা]-র স্বর্ণের তুলনায় তার স্বর্ণের মান উচ্চ না হত, তবে তার সাথী কুফী-স্বর্ণের বিনিময়ে তার নিম্নমানের স্বর্ণের সাথে মুরাতালা করত না। এর দৃষ্টান্ত সেই ব্যক্তির মতো যেই ব্যক্তি তিন সা’ আজওয়াহ্ খুর্মা ক্রয় করার ইচ্ছা করল দুই সা’ এবং দুই মুদ্ কাবীস খুর্মার বিনিময়ে। তাকে যখন বলা হলঃ এটা জায়েয নয়। তখন বিক্রয় বৈধ করার জন্য দুই সা’ কাবীস খুর্মার সাথে এক সা’ নিকৃষ্ট খুর্মা মিলিয়ে দিল। এটা জায়েয হবে না। কারণ ‘আজওয়াহ্ খুর্মাওয়ালা এক সা’ নিকৃষ্ট খুর্মার বিনিময়ে এক সা’ আজওয়াহ্ খুর্মা দিতে রাজী হবে না। তবুও তিনি (এইখানে) কাবীসের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য প্রদান করলেন।কিংবা এর (দৃষ্টান্ত) এই যে, একজন লোক আর একজন লোককে বলল, আপনি আমার নিকট তিন সা’ গম বিক্রয় করুন আড়াই সা’ শামী গমের [৭] বিনিময়ে। সে লোক বলল, এটা বৈধ নয়। কিন্তু (বৈধ হবে) যদি (ওজনে) সমান সমান হয়। তখন দুই সা’ শামী (সিরীয়া) গমের সাথে এক সা’ যব মিলানো হল। উদ্দেশ্য এর দ্বারা উভয়ের মধ্যকার বিক্রয় বৈধ করা। এটা জায়েয হবে না। কারণ এক সা’ যবের বিনিময়ে এক সা’ গম সে উহাকে কখনো দিবে না, যদি পৃথকভাবে এক সা, বিক্রয় করা হয়। (এখানে) সে এ জন্য দিয়েছে যে, তা সাধারণ গমের তুলনায় শামী গম শ্রেষ্ঠ। এটা বৈধ নয়। নিম্নমানের স্বর্ণের বেলায় আমরা যেইরূপ বর্ণনা করেছি, এটাও সেইরূপ বৈধ নয়। মালিক (রহঃ) বলেনঃ সর্বপ্রকার স্বর্ণ চাঁদি এবং সব খাদ্যদ্রব্য যেই সব বস্তু বরাবর ছাড়া ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। সেই সবের উৎকৃষ্ট প্রকারের পছন্দীয় বস্তুর সাথে অপছন্দীয় রদ্দী [৮] প্রকারের বস্তু মিলিত করা যাতে ক্রয়-বিক্রয় জায়েয করার উদ্দেশ্যে এবং অবৈধ নিষিদ্ধ ব্যাপারকে হালাল করার মতলবে। যেমন নিকৃষ্ট বস্তুকে উৎকৃষ্ট বস্তুর সাথে মিশ্রিত করা হল। এর দ্বারা সে [উৎকৃষ্টের সাথে নিকৃষ্ট মিশ্রয়কারী] যে উৎকৃষ্ট মাল বিক্রয় করছে উহার উৎকৃষ্টতার (অতিরিক্ত) মূল্য উশুল করে নিচ্ছে। তাই তিনি এমন নিকৃষ্ট বস্তু (অপর পক্ষকে) দিচ্ছে। যদি উহাকে আলাদা বিক্রয় করে তার অপর পক্ষ উহাকে গ্রহণ করবে না এবং এই দিকে খেয়ালও করবে না। এখন সে তা গ্রহণ করছে এই (নিকৃষ্ট মানের) মালের সাথে যে (উৎকৃষ্ট মানের) মাল সে পাচ্ছে উহার আকর্ষণে। কারণ তার মালের তুলনায় তার সাথীর মাল উৎকৃষ্ট, কাজেই স্বর্ণ বা চাঁদি কিংবা খাদ্যদ্রব্যে কোনটিতেই অন্য কোন (নিকৃষ্ট) বস্তু মিশ্রিত করা জায়েয হবে না; তবে যদি রদ্দী (খারাপ) খাদ্যদ্রব্যের মালিক উহাকে অন্য (উত্তম) খাদ্যদ্রব্যের বিনিময়ে বিক্রয় করতে চায় তবে পৃথকভাবে তা বিক্রয় করবে। এবং উহার সাথে (উৎকৃষ্ট) অন্য কোন দ্রব্য মিশ্রিত করবে না, এইরূপ করলে তবে এতে কোন দোষ নেই, যদি এইরূপ (পৃথকভাবে বিক্রয়) হয়ে থাকে।
[১] ওজন বরাবর হলে সংখ্যার কম-বেশি কোন দোষ নেই।[২] দিরহামের বিনিময়ে দিরহাম ওজনে বিক্রয় করলে ওজনে সমান হয়েছে কিনা তাই দেখতে হবে। সংখ্যার কম-বেশির প্রতি লক্ষ্য করা হবে না।[৩] চাঁদির বিনিময়ে চাঁদির মুরতালার হুকুমও অনুরূপ।[৪] বিক্রেতা ও ক্রেতা।[৫] মিস্কাল-সাড়ে চার মাশা পরিমাণ ওজন।[৬] পরস্পর স্বর্ণ ওজন করা[৭] শামী-গম সাধারণ গম হতে উৎকৃষ্ট মানের হয়।[৮] খারাপ।