পরিচ্ছেদঃ ২৩
তাইয়াম্মুম
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১১৯
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১১৯
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْبَيْدَاءِ أَوْ بِذَاتِ الْجَيْشِ انْقَطَعَ عِقْدٌ لِي فَأَقَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْتِمَاسِهِ وَأَقَامَ النَّاسُ مَعَهُ وَلَيْسُوا عَلَى مَاءٍ وَلَيْسَ مَعَهُمْ مَاءٌ فَأَتَى النَّاسُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ فَقَالُوا أَلَا تَرَى مَا صَنَعَتْ عَائِشَةُ أَقَامَتْ بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِالنَّاسِ وَلَيْسُوا عَلَى مَاءٍ وَلَيْسَ مَعَهُمْ مَاءٌ قَالَتْ عَائِشَةُ فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاضِعٌ رَأْسَهُ عَلَى فَخِذِي قَدْ نَامَ فَقَالَ حَبَسْتِ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالنَّاسَ وَلَيْسُوا عَلَى مَاءٍ وَلَيْسَ مَعَهُمْ مَاءٌ قَالَتْ عَائِشَةُ فَعَاتَبَنِي أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ مَا شَاءَ اللهُ أَنْ يَقُولَ وَجَعَلَ يَطْعُنُ بِيَدِهِ فِي خَاصِرَتِي فَلَا يَمْنَعُنِي مِنْ التَّحَرُّكِ إِلَّا مَكَانُ رَأْسِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى فَخِذِي فَنَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَصْبَحَ عَلَى غَيْرِ مَاءٍ فَأَنْزَلَ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى آيَةَ التَّيَمُّمِ فَتَيَمَّمُوا فَقَالَ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ مَا هِيَ بِأَوَّلِ بَرَكَتِكُمْ يَا آلَ أَبِي بَكْرٍ قَالَتْ فَبَعَثْنَا الْبَعِيرَ الَّذِي كُنْتُ عَلَيْهِ فَوَجَدْنَا الْعِقْدَ تَحْتَهُ ১৭و سُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ تَيَمَّمَ لِصَلَاةٍ حَضَرَتْ ثُمَّ حَضَرَتْ صَلَاةٌ أُخْرَى أَيَتَيَمَّمُ لَهَا أَمْ يَكْفِيهِ تَيَمُّمُهُ ذَلِكَ فَقَالَ بَلْ يَتَيَمَّمُ لِكُلِّ صَلَاةٍ لِأَنَّ عَلَيْهِ أَنْ يَبْتَغِيَ الْمَاءَ لِكُلِّ صَلَاةٍ فَمَنْ ابْتَغَى الْمَاءَ فَلَمْ يَجِدْهُ فَإِنَّهُ يَتَيَمَّم ১৭১و سُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ تَيَمَّمَ أَيَؤُمُّ أَصْحَابَهُ وَهُمْ عَلَى وُضُوءٍ قَالَ يَؤُمُّهُمْ غَيْرُهُ أَحَبُّ إِلَيَّ وَلَوْ أَمَّهُمْ هُوَ لَمْ أَرَ بِذَلِكَ بَأْسًا ُُُ.ُ ১৭২قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ تَيَمَّمَ حِينَ لَمْ يَجِدْ مَاءً فَقَامَ وَكَبَّرَ وَدَخَلَ فِي الصَّلَاةِ فَطَلَعَ عَلَيْهِ إِنْسَانٌ مَعَهُ مَاءٌقَالَ لَا يَقْطَعُ صَلَاتَهُ بَلْ يُتِمُّهَا بِالتَّيَمُّمِ وَلْيَتَوَضَّأْ لِمَا يُسْتَقْبَلُ مِنْ الصَّلَوَاتِ، ১৭৩قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك مَنْ قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ فَلَمْ يَجِدْ مَاءً فَعَمِلَ بِمَا أَمَرَهُ اللهُ بِهِ مِنْ التَّيَمُّمِ فَقَدْ أَطَاعَ اللهَ وَلَيْسَ الَّذِي وَجَدَ الْمَاءَ بِأَطْهَرَ مِنْهُ وَلَا أَتَمَّ صَلَاةً لِأَنَّهُمَا أُمِرَا جَمِيعًا فَكُلٌّ عَمِلَ بِمَا أَمَرَهُ اللهُ بِهِ وَإِنَّمَا الْعَمَلُ بِمَا أَمَرَ اللهُ بِهِ مِنْ الْوُضُوءِ لِمَنْ وَجَدَ الْمَاءَ وَالتَّيَمُّمِ لِمَنْ لَمْ يَجِدْ الْمَاءَ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ فِي الصَّلَاةِ ১৭৪و قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ الْجُنُبِ إِنَّهُ يَتَيَمَّمُ وَيَقْرَأُ حِزْبَهُ مِنْ الْقُرْآنِ وَيَتَنَفَّلُ مَا لَمْ يَجِدْ مَاءً وَإِنَّمَا ذَلِكَ فِي الْمَكَانِ الَّذِ يَجُوزُ لَهُ أَنْ يُصَلِّيَ فِيهِ بِالتَّيَمُّمِ.
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
আমরা রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সফরে গেলাম। যখন আমরা বায়দা অথবা (তিনি বলেছেন) যাতুল-জাইশ (নামক স্থান)-এ পৌঁছালাম, তখন আমার একটি মালা হারিয়ে গেল। সেটা খোঁজার জন্য রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সেখানে) অবস্থান করলেন এবং লোকজনও তাঁর সাথে অবস্থান করলেন। তাঁরা কোন পানির (কৃপ বা নহর) কাছে ছিলেন না এবং তাঁদের সাথেও পানি ছিল না। লোকজন আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর কাছে আসলেন এবং ঘটনা বিবৃত করলেন। তাঁরা বললেন, ‘আয়েশা (রা) কি করেন তা কি আপনি জানেন না? (তিনি) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এবং অন্য লোকদেরকে অবস্থানে বাধ্য করেন। অথচ তাঁরা পানির কাছে নাই এবং তাঁদের সাথে পানিও নাই। ‘আয়েশা (রাঃ) বলেন, তারপর আবূ বাকর (রাঃ) আমার কাছে এলেন। তখন রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর (পবিত্র) শির আমার উরুর উপর স্থাপন করে ঘুমাচ্ছিলেন। তিনি (আবূ বাকর (রাঃ)) বললেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং লোকদেরকে তুমি আটকে রেখেছ। অথচ তাঁরা পানির পাশে নাই এবং তাঁদের সাথে পানিও নাই। আয়েশা (রাঃ) বললেন, তারপর আবূ বাকর (রাঃ) আমার প্রতি ক্রোধ প্রকাশ করলেন এবং আমাকে তিরস্কার করলেন। আর তাঁর হাত দিয়ে আমার কোমরে খোঁচা মারতে লাগলেন। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর (পবিত্র) শির আমার উরুর উপর স্থাপিত থাকার কারণে আমি (খোঁচা মারা সত্ত্বেও) নড়াচড়া করছিলাম না। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অতঃপর ঘুমিয়ে পড়লেন এমন কি এই পানিহীন অবস্থায় ভোর হল। তারপর আল্লাহ তা’আলা তাইয়াম্মুমের আয়াত অবতীর্ণ করলেন। তারপর তাঁরা সকলে তাইয়াম্মুম করলেন। উসায়দ ইবনু হূযায়র (রাঃ) বললেন হে আবূ বাকরের পরিজন! এটা (অর্থাৎ তাইয়াম্মুমের আয়াত অবতীর্ণ হওয়া) আপনাদের প্রথম বরকত নয়। (অর্থাৎ মুসলিমগণ আপনাদের দ্বারা নানাভাবে উপকৃত হয়েছেন। ‘আয়েশা (রাঃ) বললেন, তারপর আমি যে উটের উপর আরোহণ করেছিলাম উহাকে তুললাম এবং উহার নিচে মালা পেলাম।মালিক (র)-কে এক ব্যক্তি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হল, যে ব্যক্তি উপস্থিত নামাযের জন্য তাইয়াম্মুম করেছ। অতঃপর পরবর্তী নামাযের সময় হলো, ঐ লোক কি সেই নামাযের জন্য (পুনরায়) তাইয়াম্মুম করবে, না সেই (পূর্ববর্তী) তাইয়াম্মুম তাঁর জন্য যথেষ্ট হবে? উত্তরে তিনি বললেন, প্রত্যেক (ফরয) নামাযের জন্য তাইয়াম্মুম করবে। কারণ (সময় উপস্থিত হলে) প্রত্যেক নামাযের জন্য পানির খোঁজ করা তার ওয়াজিব। যে ব্যক্তি পানির খোঁজ করল কিন্তু পানি পেল না সে তাইয়াম্মুম করবে।মালিক (র)-কে এক ব্যক্তি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হল এমন, যে ব্যক্তি তাইয়াম্মুম করেছে এবং তার সাথিগণ যারা ওযূ করেন সে তাদের ইমামতি করতে পারবে কি? (উত্তরে) তিনি বললেন, সে ব্যতীত অন্য কেউ ইমামতি করলে তা আমার কাছে পছন্দনীয়, আর যদি সে তাদের ইমামতি করে থাকে, তবে তাতেও আমি কোন দোষ দেখি না।মালিক (র) বলেছেন, এক ব্যক্তি পানি না পেয়ে তাইয়াম্মুম করেছে, তারপর সে নামাযে দাঁড়িয়েছে এবং তাকবীর বলে নামায শুরু করেছে। অতঃপর একজন লোক পানিসহ তার কাছে আসলো। তিনি বললেন, সে নামায ছাড়বে না, বরং তাইয়াম্মুম দ্বারা সেই নামায পূর্ণ করবে এবং আগামী নামাযের জন্য ওযূ করবে।মালিক (র) বলেছেন, যে ব্যক্তি নামাযের (প্রস্তুতির) জন্য দাঁড়িয়েছে: কিন্তু সে পানি না পেয়ে আল্লাহর নির্দেশ মুতাবিক তাইয়াম্মুমের আমল করেছে তবে সেই ব্যক্তি মহান আল্লাহর আনুগত্যই করেছে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি পানি পেয়েছে (ও ওযূ করেছে) তা (উপরিউক্ত তাইয়াম্মুমকারী) অপেক্ষা সেই ব্যক্তি বেশি পবিত্র ও নামাযের পূর্ণতাকারী বলে গণ্য হবে না; কারণ তারা দু’জনেই নির্দেশপ্রাপ্ত এবং প্রত্যেকে মহিমান্বিত আল্লাহর পক্ষ হতে যা নির্দেশ পেয়েছে সেই মুতাবিক আমল করেছে। যে ব্যক্তি পানি পেয়েছে সে ব্যক্তির আমল হল ওযূ, যেমন আল্লাহ তা’আলা তাকে নির্দেশ করেন, আর যে ব্যক্তি নামায শুরুর পূর্বে পানি পায়নি সে ব্যক্তির জন্য (নির্দেশ) হল তাইয়াম্মুম।মালিক (র) বলেছেন, জুনুবী ব্যক্তি তাইয়াম্মুম করবে এবং কুরআন হতে তার নির্ধারিত অংশ তিলাওয়াত করবে এবং নফল নামায আদায় করবে যতক্ষণ পর্যন্ত পানি না পায়। তবে এটা সেই স্থানের জন্য যে স্থানে তার জন্য তাইয়াম্মুম দ্বারা নামায আদায় বৈধ। (বুখারী ৩৩৪, মুসলিম ৩৬৭)