পরিচ্ছেদ ৯
আপন স্ত্রীর জননীর সাথে বিবাহ বৈধ না হওয়া
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১১০৫
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১১০৫
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُودٍ اسْتُفْتِيَ وَهُوَ بِالْكُوفَةِ عَنْ نِكَاحِ الْأُمِّ بَعْدَ الْابْنَةِ إِذَا لَمْ تَكُنْ الِابْنَةُ مُسَّتْ فَأَرْخَصَ فِي ذَلِكَ ثُمَّ إِنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَسَأَلَ عَنْ ذَلِكَ فَأُخْبِرَ أَنَّهُ لَيْسَ كَمَا قَالَ وَإِنَّمَا الشَّرْطُ فِي الرَّبَائِبِ فَرَجَعَ ابْنُ مَسْعُودٍ إِلَى الْكُوفَةِ فَلَمْ يَصِلْ إِلَى مَنْزِلِهِ حَتَّى أَتَى الرَّجُلَ الَّذِي أَفْتَاهُ بِذَلِكَ فَأَمَرَهُ أَنْ يُفَارِقَ امْرَأَتَهُ১৯৫২-قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ تَكُونُ تَحْتَهُ الْمَرْأَةُ ثُمَّ يَنْكِحُ أُمَّهَا فَيُصِيبُهَا إِنَّهَا تَحْرُمُ عَلَيْهِ امْرَأَتُهُ وَيُفَارِقُهُمَا جَمِيعًا وَيَحْرُمَانِ عَلَيْهِ أَبَدًا إِذَا كَانَ قَدْ أَصَابَ الْأُمَّ فَإِنْ لَمْ يُصِبْ الْأُمَّ لَمْ تَحْرُمْ عَلَيْهِ امْرَأَتُهُ وَفَارَقَ الْأُمَّ১৯৫৩-و قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَتَزَوَّجُ الْمَرْأَةَ ثُمَّ يَنْكِحُ أُمَّهَا فَيُصِيبُهَا إِنَّهُ لَا تَحِلُّ لَهُ أُمُّهَا أَبَدًا وَلَا تَحِلُّ لِأَبِيهِ وَلَا لِابْنِهِ وَلَا تَحِلُّ لَهُ ابْنَتُهَا وَتَحْرُمُ عَلَيْهِ امْرَأَتُهُ১৯৫৪-قَالَ مَالِك فَأَمَّا الزِّنَا فَإِنَّهُ لَا يُحَرِّمُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ لِأَنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ { وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ }فَإِنَّمَا حَرَّمَ مَا كَانَ تَزْوِيجًا وَلَمْ يَذْكُرْ تَحْرِيمَ الزِّنَا فَكُلُّ تَزْوِيجٍ كَانَ عَلَى وَجْهِ الْحَلَالِ يُصِيبُ صَاحِبُهُ امْرَأَتَهُ فَهُوَ بِمَنْزِلَةِ التَّزْوِيجِ الْحَلَالِ فَهَذَا الَّذِي سَمِعْتُ وَالَّذِي عَلَيْهِ أَمْرُ النَّاسِ عِنْدَنَا
মালিক (র) হতে বর্ণিতঃ
একাধিক শায়খ হতে বর্ণনা করেন, আবদুল্লাহ ইব্নু মাসউদ (রা)-এর নিকট কুফাতে ফতোয়া জিজ্ঞেস করা হল, কোন মহিলার কন্যাকে বিবাহ করার পর উহার সহিত সহবাস না করা হলে, সেই কন্যার মাতাকে বিবাহ করা যাবে কিনা ? তিনি এই বিবাহের ব্যাপারে অনুমতি দিলেন। অতঃপর ইব্নু মাসঊদ (রা) যখন মদীনাতে আগমন করলেন তখন তিনি এই বিষয়ে (অন্যান্য সাহাবীর নিকট) জিজ্ঞেস করলেন। তাঁকে বলা হল যে, তিনি (কুফাতে) যেরূপ বলেছেন আসল ব্যাপার সেরূপ নয়। (শর্ত আরোপ করা হয়েছে কেবলমাত্র পোষ্য কন্যাদের ব্যাপারে।) তারপর ইব্নু মাসঊদ কুফাতে প্রত্যাবর্তন করলেন এবং নিজ গৃহে না গিয়ে যে ব্যক্তিকে এরূপ ফতোয়া দিয়েছিলেন সে ব্যক্তির নিকট গমন করলেন। অতঃপর সে ব্যক্তিকে তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন : যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করেছে, অতঃপর সেই মহিলার মাতাকেও বিবাহ করেছে এবং তার (স্ত্রীর মাতার) সহিত সহবাস করেছে, সেই ব্যক্তির জন্য তার স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে। সে স্ত্রী ও স্ত্রীর মাতা উভয়কে পরিত্যাগ করবে। উভয়ে তার জন্য সর্বদা হারাম হবে। ইহা তখন হবে যখন সে স্ত্রীর মাতার সহিত সহবাস করে। আর যদি সহবাস না করে থাকে তবে তার স্ত্রী তার জন্য হারাম হইবে না। (কেবলমাত্র) স্ত্রীর মাতাকে পরিত্যাগ করবে।মালিক (র) বলেন : যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করে, অতঃপর সেই স্ত্রীর মাতাকেও বিবাহ করে এবং তার সাথে সহবাস করে, সে ব্যক্তির জন্য তার স্ত্রীর মাতা কখনো হালাল হবে না। আর হালাল হবে না তার ছেলের জন্য এবং হালাল হবে না তার পিতার জন্য। আর সে ব্যক্তির জন্য উহার কন্যাও হালাল হবে না এবং তার স্ত্রী তার জন্য হারাম হয়ে যাবে।মালিক (র) বলেন : ব্যভিচার ইহার কোনটিকেই হারাম করবে না। কারণ আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন : وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ “তোমাদের স্ত্রীগণের মাতাগণও তোমাদের জন্য হারাম।” উক্ত আয়াতে বিবাহের কারণে (স্ত্রীর মাতাকে) হারাম করা হয়েছে। ব্যভিচারের দ্বারা হারাম হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়নি। ফলে যে কোন বিবাহ হালাল পন্থায় অনুষ্ঠিত হবে এবং স্বামী স্ত্রীর সহিত মিলিত হবে। সেই বিবাহ হালাল বিবাহের মত গণ্য হবে। এটাই আমি শুনেছি। মদীনাবাসীদের নিকট ইহাই গৃহীত মত।