পরিচ্ছেদ ১৪

যার নিহত হওয়া ইত্যাদি অজ্ঞাত থাকে

মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১০৮১

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ عُلَمَائِهِمْ أَنَّهُ لَمْ يَتَوَارَثْ مَنْ قُتِلَ يَوْمَ الْجَمَلِ وَيَوْمَ صِفِّينَ وَيَوْمَ الْحَرَّةِ ثُمَّ كَانَ يَوْمَ قُدَيْدٍ فَلَمْ يُوَرَّثْ أَحَدٌ مِنْ صَاحِبِهِ شَيْئًا إِلَّا مَنْ عُلِمَ أَنَّهُ قُتِلَ قَبْلَ صَاحِبِهِ ১৯قَالَ مَالِك وَذَلِكَ الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ وَلَا شَكَّ عِنْدَ أَحَدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا وَكَذَلِكَ الْعَمَلُ فِي كُلِّ مُتَوَارِثَيْنِ هَلَكَا بِغَرَقٍ أَوْ قَتْلٍ أَوْ غَيْرِ ذَلِكَ مِنْ الْمَوْتِ إِذَا لَمْ يُعْلَمْ أَيُّهُمَا مَاتَ قَبْلَ صَاحِبِهِ لَمْ يَرِثْ أَحَدٌ مِنْهُمَا مِنْ صَاحِبِهِ شَيْئًا وَكَانَ مِيرَاثُهُمَا لِمَنْ بَقِيَ مِنْ وَرَثَتِهِمَا يَرِثُ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا وَرَثَتُهُ مِنْ الْأَحْيَاء ১৯و قَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي أَنْ يَرِثَ أَحَدٌ أَحَدًا بِالشَّكِّ وَلَا يَرِثُ أَحَدٌ أَحَدًا إِلَّا بِالْيَقِينِ مِنْ الْعِلْمِ وَالشُّهَدَاءِ وَذَلِكَ أَنَّ الرَّجُلَ يَهْلَكُ هُوَ وَمَوْلَاهُ الَّذِي أَعْتَقَهُ أَبُوهُ فَيَقُولُ بَنُو الرَّجُلِ الْعَرَبِيِّ قَدْ وَرِثَهُ أَبُونَا فَلَيْسَ ذَلِكَ لَهُمْ أَنْ يَرِثُوهُ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَلَا شَهَادَةٍ إِنَّهُ مَاتَ قَبْلَهُ وَإِنَّمَا يَرِثُهُ أَوْلَى النَّاسِ بِهِ مِنْ الْأَحْيَاءِ.قَالَ مَالِك وَمِنْ ذَلِكَ أَيْضًا الْأَخَوَانِ لِلْأَبِ وَالْأُمِّ يَمُوتَانِ وَلِأَحَدِهِمَا وَلَدٌ وَالْآخَرُ لَا وَلَدَ لَهُ وَلَهُمَا أَخٌ لِأَبِيهِمَا فَلَا يُعْلَمُ أَيُّهُمَا مَاتَ قَبْلَ صَاحِبِهِ فَمِيرَاثُ الَّذِي لَا وَلَدَ لَهُ لِأَخِيهِ لِأَبِيهِ وَلَيْسَ لِبَنِي أَخِيهِ لِأَبِيهِ وَأُمِّهِ شَيْءٌ.قَالَ مَالِك وَمِنْ ذَلِكَ أَيْضًا أَنْ تَهْلَكَ الْعَمَّةُ وَابْنُ أَخِيهَا أَوْ ابْنَةُ الْأَخِ وَعَمُّهَا فَلَا يُعْلَمُ أَيُّهُمَا مَاتَ قَبْلُ فَإِنْ لَمْ يُعْلَمْ أَيُّهُمَا مَاتَ قَبْلُ لَمْ يَرِثْ الْعَمُّ مِنْ ابْنَةِ أَخِيهِ شَيْئًا وَلَا يَرِثُ ابْنُ الْأَخِ مِنْ عَمَّتِهِ شَيْئًا ِِِِ

রবীয়া’ ইবনু আবূ আবদুর রহমান (র) হতে বর্ণিতঃ

একাধিক আলেম সূত্রে বর্ণনা করেন যে, জামাল যুদ্ধে, সিফফীন যুদ্ধে এবং হাররা দিবসে যারা নিহত হয়েছেন তারা মীরাস পাননি। এরপর ফুদাইদ দিবসে যারা নিহত হয়েছে তারাও একে অপরের মীরাস পাননি।কিন্তু মীরাস পাবে সেই ক্ষেত্রে যেই ক্ষেত্রে নিশ্চিত জানা গিয়েছে যে, তিনি তার সাথির পূর্বে নিহত হয়েছেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)ইয়াহইয়া (র) বলেন : আমি মালিক (র)-কে বলতে শুনেছি, আমাদের ‘উলামায়ে কিরামের মধ্যে এ ব্যাপারে কোন বিরোধ নাই।মালিক (র) বলেন : যদি কয়েকজন পানিতে ডুবে অথবা মাটিতে ধ্বসে মৃত্যুবরণ করে অথবা নিহত হয়, আর কে আগে কে পরে মৃত্যুবরণ করেছে তা অজ্ঞাত থাকে তবে তারা এক অন্যের ওয়ারিস হবে না, বরং প্রত্যেকের মাল তাদের ওয়ারিসগণ পাবে, যারা জীবিত রয়েছে।মালিক (র) বলেন : কেউ সন্দেহস্থলে কারো ওয়ারিস হবে না, ওয়ারিস হওয়ার জন্য নিঃসন্দেহ হওয়া প্রয়োজন। যেমন কেউ মৃত্যুবরণ করলে, আর সে তার যে দাসকে মুক্ত করেছিল সেও মৃত্যুবরণ করল, এখন যদি এই সন্তান বলে যে, আমার পিতা এই দাসের ওয়ারিস হবে তবে তা ততক্ষণ পর্যন্ত সাব্যস্ত হবে না যতক্ষণ না সে সাক্ষী দ্বারা প্রমাণ করবে যে, ঐ দাস তার পিতার পূর্বে মারা গিয়েছে। যদি প্রমাণ করতে না পারে তবে ঐ দাসের জীবিত ওয়ারিসগণ তার মাল পাবে।মালিক (র) বলেন, অনুরূপভাবে যদি দুই সহোদর ভাই মারা যায় যাদের একজনের সন্তান রয়েছে অন্যজন নিঃসন্তান, আর তাদের উভয়ের একজন সৎ ভাইও রয়েছে। কিন্তু এটা জানা যায়নি যে, প্রথমে কোন ভাই মরেছে। এখন নিঃসন্তান ভাই-এর মাল তার সৎ ভাই পাবে, তার ভাতিজারা পাবে না। এইরূপে ফুফু ভাতিজা একত্রে মারা গেলে বা চাচা ভাতিজা একত্রে মারা গেলে আর কে আগে মারা গিয়েছে তা জানা নাই, তবে চাচা স্বীয় ভাতিজার এবং ভাতিজা স্বীয় ফুফুর ওয়ারিস হবে না।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন