পরিচ্ছেদ ৯
‘কালালা’র [১] মীরাস
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১০৭৩
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১০৭৩
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ سَأَلَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الْكَلَالَةِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكْفِيكَ مِنْ ذَلِكَ الْآيَةُ الَّتِي أُنْزِلَتْ فِي الصَّيْفِ آخِرَ سُورَةِ النِّسَاءِ ১৮৭৯-قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ وَالَّذِي أَدْرَكْتُ عَلَيْهِ أَهْلَ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا أَنَّ الْكَلَالَةَ عَلَى وَجْهَيْنِ فَأَمَّا الْآيَةُ الَّتِي أُنْزِلَتْ فِي أَوَّلِ سُورَةِ النِّسَاءِ الَّتِي قَالَ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فِيهَا { وَإِنْ كَانَ رَجُلٌ يُورَثُ كَلَالَةً أَوْ امْرَأَةٌ وَلَهُ أَخٌ أَوْ أُخْتٌ فَلِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا السُّدُسُ فَإِنْ كَانُوا أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ فَهُمْ شُرَكَاءُ فِي الثُّلُثِ }.فَهَذِهِ الْكَلَالَةُ الَّتِي لَا يَرِثُ فِيهَا الْإِخْوَةُ لِلْأُمِّ حَتَّى لَا يَكُونَ وَلَدٌ وَلَا وَالِدٌ وَأَمَّا الْآيَةُ الَّتِي فِي آخِرِ سُورَةِ النِّسَاءِ الَّتِي قَالَ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فِيْهَا { يَسْتَفْتُونَكَ قُلْ اللهُ يُفْتِيكُمْ فِي الْكَلَالَةِ إِنْ امْرُؤٌ هَلَكَ لَيْسَ لَهُ وَلَدٌ وَلَهُ أُخْتٌ فَلَهَا نِصْفُ مَا تَرَكَ وَهُوَ يَرِثُهَا إِنْ لَمْ يَكُنْ لَهَا وَلَدٌ فَإِنْ كَانَتَا اثْنَتَيْنِ فَلَهُمَا الثُّلُثَانِ مِمَّا تَرَكَ وَإِنْ كَانُوا إِخْوَةً رِجَالًا وَنِسَاءً فَلِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ يُبَيِّنُ اللهُ لَكُمْ أَنْ تَضِلُّوا وَاللهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ }قَالَ مَالِك فَهَذِهِ الْكَلَالَةُ الَّتِي تَكُونُ فِيهَا الْإِخْوَةُ عَصَبَةً إِذَا لَمْ يَكُنْ وَلَدٌ فَيَرِثُونَ مَعَ الْجَدِّ فِي الْكَلَالَةِ১৮৮০-فَالْجَدُّ يَرِثُ مَعَ الْإِخْوَةِ لِأَنَّهُ أَوْلَى بِالْمِيرَاثِ مِنْهُمْ وَذَلِكَ أَنَّهُ يَرِثُ مَعَ ذُكُورِ وَلَدِ الْمُتَوَفَّى السُّدُسَ وَالْإِخْوَةُ لَا يَرِثُونَ مَعَ ذُكُورِ وَلَدِ الْمُتَوَفَّى شَيْئًا وَكَيْفَ لَا يَكُونُ كَأَحَدِهِمْ وَهُوَ يَأْخُذُ السُّدُسَ مَعَ وَلَدِ الْمُتَوَفَّى فَكَيْفَ لَا يَأْخُذُ الثُّلُثَ مَعَ الْإِخْوَةِ وَبَنُو الْأُمِّ يَأْخُذُونَ مَعَهُمْ الثُّلُثَ فَالْجَدُّ هُوَ الَّذِي حَجَبَ الْإِخْوَةَ لِلْأُمِّ وَمَنَعَهُمْ مَكَانُهُ الْمِيرَاثَ فَهُوَ أَوْلَى بِالَّذِي كَانَ لَهُمْ لِأَنَّهُمْ سَقَطُوا مِنْ أَجْلِهِ وَلَوْ أَنَّ الْجَدَّ لَمْ يَأْخُذْ ذَلِكَ الثُّلُثَ أَخَذَهُ بَنُو الْأُمِّ فَإِنَّمَا أَخَذَ مَا لَمْ يَكُنْ يَرْجِعُ إِلَى الْإِخْوَةِ لِلْأَبِ وَكَانَ الْإِخْوَةُ لِلْأُمِّ هُمْ أَوْلَى بِذَلِكَ الثُّلُثِ مِنْ الْإِخْوَةِ لِلْأَبِ وَكَانَ الْجَدُّ هُوَ أَوْلَى بِذَلِكَ مِنْ الْإِخْوَةِ لِلْأُمِّ.
যায়দ ইবনু আসলাম (রর) হতে বর্ণিতঃ
উমার ইবনু খাত্তাব (রা) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কালালাহ্ [২] সম্বন্ধে প্রশ্ন করলেন। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, গ্রীষ্ম মওসুমে সূরা নিসার শেষ যেই আয়াত নাযিল হয়েছে তাই তোমাদের জন্য যথেষ্ট। (সহীহ, মুসলিম ১৬১৭, তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল)মালিক (র) বলেন : আমাদের নিকট এটা একটি বিরোধবিহীন মাসআলা যে, কালালাহ দুই প্রকার। প্রথম সূরা নিসার প্রারম্ভে নাযিল হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, যদি কোন স্ত্রী বা পুরুষ কালালাহ অবস্থায় মারা যায় এবং তার কোন বৈপিত্রেয় ভাই কিংবা বোন থাকে, তবে প্রত্যেক ষষ্ঠাংশ হিস্যা মীরাস পাবে। যদি বেশি ভাই-বোন থাকে, তবে সকলে এক-তৃতীয়াংশ মালে শরীক হবে। এইরূপ কালালাহ যার পিতা এবং সন্তান না থাকে, তবে বৈপিত্রেয় ভাইবোন মীরাস পবে। (সূরা নিসা - ১৭৬)এটা ঐ কালালাহ যার ভাইবোন ‘আসাবা হয়, যখন মৃতের কোন ছেলে না থাকে, তখন তারা দাদার সাথে মিলিয়ে কালালার ওয়ারিস হবে।মালিক (র) বলেন, দাদা ভাইদের সাথে মিলিয়ে এজন্য ওয়ারিস হবে যে. দাদা ভাইদের চেয়ে মৃতের অতি নিকটবর্তী হন। কেননা দাদা ছেলে বিদ্যমান থাকাকালীনও ষষ্ঠাংশের মালিক হয়।আর দাদা ভাইবোনদের সঙ্গে থেকে এক-তৃতীয়াংশ পাবার কারণ হল সহোদর ভাই-বোন থাকাকালীন বৈপিত্রেয় ভাই-বোন এক-তৃতীয়াংশ মাল পায়। বরং দাদা ঐ মালের মীরাস পাবে যা সহোদর এবং বিমাতা ভাই-বোনগণ পায় না। বরং তা বৈপিত্রেয় ভাই-বোনদের হক ছিল। দাদার কারণে তারা মাহরূম হল।
[১] কালালাহ্ বলে ঐ লোককে যার পিতা এবং সন্তানাদি না থাকে। এটাই জামহূরের মাযহাব। কেউ বলেন যে, যার কোন সন্তান নাই তাকে কালালাহ্ বলা হয়।[২] যার ছেলে সন্তান নেই তাকে কালালাহ বলে।