পরিচ্ছেদ ২
বায়তুল্লাহ্ পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার মানত করা এবং পরে অক্ষম হওয়া
মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১০০৬
মুয়াত্তা ইমাম মালিকহাদিস নম্বর ১০০৬
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ: كَانَ عَلَيَّ مَشْيٌ فَأَصَابَتْنِي خَاصِرَةٌ فَرَكِبْتُ حَتَّى أَتَيْتُ مَكَّةَ فَسَأَلْتُ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ وَغَيْرَهُ فَقَالُوا عَلَيْكَ هَدْيٌ فَلَمَّا قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ سَأَلْتُ عُلَمَاءَهَا فَأَمَرُونِي أَنْ أَمْشِيَ مَرَّةً أُخْرَى مِنْ حَيْثُ عَجَزْتُ فَمَشَيْتُ ১৭১৭-قَالَ يَحْيَى و سَمِعْت قَوْله تَعَالَى يَقُولُ فَالْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَنْ يَقُولُ عَلَيَّ مَشْيٌ إِلَى بَيْتِ اللهِ أَنَّهُ إِذَا عَجَزَ رَكِبَ ثُمَّ عَادَ فَمَشَى مِنْ حَيْثُ عَجَزَ فَإِنْ كَانَ لَا يَسْتَطِيعُ الْمَشْيَ فَلْيَمْشِ مَا قَدَرَ عَلَيْهِ ثُمَّ لْيَرْكَبْ وَعَلَيْهِ هَدْيُ بَدَنَةٍ أَوْ بَقَرَةٍ أَوْ شَاةٍ إِنْ لَمْ يَجِدْ إِلَّا هِيَ ১৭১৮-و سُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يَقُولُ لِلرَّجُلِ أَنَا أَحْمِلُكَ إِلَى بَيْتِ اللهِ فَقَالَ مَالِك إِنْ نَوَى أَنْ يَحْمِلَهُ عَلَى رَقَبَتِهِ يُرِيدُ بِذَلِكَ الْمَشَقَّةَ وَتَعَبَ نَفْسِهِ فَلَيْسَ ذَلِكَ عَلَيْهِ وَلْيَمْشِ عَلَى رِجْلَيْهِ وَلْيُهْدِ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ نَوَى شَيْئًا فَلْيَحْجُجْ وَلْيَرْكَبْ وَلْيَحْجُجْ بِذَلِكَ الرَّجُلِ مَعَهُ وَذَلِكَ أَنَّهُ قَالَ أَنَا أَحْمِلُكَ إِلَى بَيْتِ اللهِ فَإِنْ أَبَى أَنْ يَحُجَّ مَعَهُ فَلَيْسَ عَلَيْهِ شَيْءٌ وَقَدْ قَضَى مَا عَلَيْهِ.১৭১৯-قَالَ يَحْيَى سُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يَحْلِفُ بِنُذُورٍ مُسَمَّاةٍ مَشْيًا إِلَى بَيْتِ اللهِ أَنْ لَا يُكَلِّمَ أَخَاهُ أَوْ أَبَاهُ بِكَذَا وَكَذَا نَذْرًا لِشَيْءٍ لَا يَقْوَى عَلَيْهِ وَلَوْ تَكَلَّفَ ذَلِكَ كُلَّ عَامٍ لَعُرِفَ أَنَّهُ لَا يَبْلُغُ عُمْرُهُ مَا جَعَلَ عَلَى نَفْسِهِ مِنْ ذَلِكَ فَقِيلَ لَهُ هَلْ يُجْزِيهِ مِنْ ذَلِكَ نَذْرٌ وَاحِدٌ أَوْ نُذُورٌ مُسَمَّاةٌ فَقَالَ مَالِك مَا أَعْلَمُهُ يُجْزِئُهُ مِنْ ذَلِكَ إِلَّا الْوَفَاءُ بِمَا جَعَلَ عَلَى نَفْسِهِ فَلْيَمْشِ مَا قَدَرَ عَلَيْهِ مِنْ الزَّمَانِ وَلْيَتَقَرَّبْ إِلَى اللهِ تَعَالَى بِمَا اسْتَطَاعَ مِنْ الْخَيْرِ.
ইয়াহইয়া ইবনু সা’ঈদ (রা) হতে বর্ণিতঃ
আমি বায়তুল্লাহ্ পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার মানত করেছিলাম, কিন্তু কোমরের ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে পড়ি। তাই বাহনে চড়ে আমাকে মক্কায় আসতে হল। আতা ইবনু আবূ রাবাহ (র) অন্যদেরকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বললেন, তোমাকে একটা কুরবানী দিতে হবে। মদীনায় এসে সেখানকার আলিমদের নিকটও এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করলাম। তাঁরা বললেন, যে স্থান হতে সওয়ার হয়েছিলে সেই স্থান হতে তোমাকে আবার হেঁটে যেতে হবে। শেষে আমি তাই করলাম। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)মালিক (র) বলেন, বায়তুল্লাহ্ পর্যন্ত পায়ে হেঁটে যাওয়া আমার ওপর ওয়াজিব। এই কথা বলে যদি কেউ হেঁটে যাত্রা শুরু করে এবং পরে অপারগ হয়ে যায় তবে সে সওয়ার হয়ে যাবে এবং পরবর্তী সময়ে যে স্থান হতে সে অপারগ হয়েছিল সেই স্থান হতে পুনরায় হেঁটে যাবে। হেঁটে না পারলে যতদূর সামর্থ্যে কুলায় হেঁটে যাবে আর বাকীটুকু সওয়ার হয়ে যাবে এবং একটি উট বা গরু কুরবানী করবে। সম্ভব না হলে একটি বকরী কুরবানী করবে।মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যদি কেউ অন্য একজনকে বলে : তোমাকে আমি বায়তুল্লাহ্ পর্যন্ত বহন করে নিয়ে যাব, তবে কি হুকুম হবে? তিনি বললেন, যদি এই কথা বলার সময় কথকের এই নিয়্যত হয়ে থাকে যে, তার ঘাড়ে উঠিয়ে নিয়ে যাবে এবং এভাবে নিজেকে কষ্টে ফেলে তার উদ্দেশ্য হয়, তবে তার উপর কিছুই ওয়াজিব হবে না বরং সে পায়ে হেঁটে যাবে এবং একটি কুরবানী দিবে। আর বলার সময় যদি তার কিছু নিয়্যত না থাকে, তবে সে সওয়ার হয়ে যাবে এবং ঐ ব্যক্তিকেও সঙ্গে নিয়ে যাবে। কারণ সে তাকে বহন করে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছিল। ঐ ব্যক্তি যদি সঙ্গে যেতে না চায় তবে তার উপর কিছুই ওয়াজিব হবে না। কেননা সে আপন অঙ্গীকার রক্ষা করেছে।মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল- কেউ যদি নির্দিষ্ট কতিপয় মানতের শপথ করে যা প্রতি বৎসর চেষ্টা করলেও সারা জীবনে পূরণ করা অসম্ভব, যেমন সে বলল, পায়ে হেঁটে বায়তুল্লাহ্ যাব বা এক হাজার বার হজ্জ করব, ভাই অথবা পিতার সাথে কথা বলব না ইত্যাদি। সে কি একটি মানতই পূরণ করবে না সবগুলোই তাকে পূরণ করতে হবে?মালিক (র) বললেন, আমার মতে সবগুলোই তাকে পূরণ করতে হবে, যতদিন এবং যতদূর পর্যন্ত সম্ভব হয় সে উহা পূরণ করতে থাকবে এবং নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করে যাবে।