৯৭/২৪. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ্র বাণীঃ কতক মুখ সেদিন উজ্জ্বল হবে। তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে। (সূরা আল-ক্বিয়ামাহ ৭৫/২২-২৩)
সহিহ বুখারী : ৭৪৪৭
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৭৪৪৭
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ ابْنِ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الزَّمَانُ قَدْ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ اللهُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ثَلاَثٌ مُتَوَالِيَاتٌ ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحَجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ وَرَجَبُ مُضَرَ الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ أَيُّ شَهْرٍ هَذَا قُلْنَا اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ يُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ قَالَ أَلَيْسَ ذَا الْحَجَّةِ قُلْنَا بَلَى قَالَ أَيُّ بَلَدٍ هَذَا قُلْنَا اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ قَالَ أَلَيْسَ الْبَلْدَةَ قُلْنَا بَلَى قَالَ فَأَيُّ يَوْمٍ هَذَا قُلْنَا اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ قَالَ أَلَيْسَ يَوْمَ النَّحْرِ قُلْنَا بَلَى قَالَ فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ قَالَ مُحَمَّدٌ وَأَحْسِبُهُ قَالَ وَأَعْرَاضَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا وَسَتَلْقَوْنَ رَبَّكُمْ فَيَسْأَلُكُمْ عَنْ أَعْمَالِكُمْ أَلاَ فَلاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي ضُلاَّلاً يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ أَلاَ لِيُبْلِغْ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ فَلَعَلَّ بَعْضَ مَنْ يَبْلُغُهُ أَنْ يَكُونَ أَوْعَى لَهُ مِنْ بَعْضِ مَنْ سَمِعَهُ فَكَانَ مُحَمَّدٌ إِذَا ذَكَرَهُ قَالَ صَدَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ
আবূ বাকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
আবূ বাকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ আসমান ও যমীনকে যেদিন সৃষ্টি করেছিলেন, সেদিনের অবস্থায় যামানা আবার ফিরে এসেছে। বার মাসে এক বছর হয়। তার মধ্যে চারটি মাস মর্যাদাসম্পন্ন। যুলকাদা, যুলহাজ্জা ও মুহাররম- এ তিন মাস এক নাগাড়ে আসে। আর মুযার গোত্রের রজব মাস যা জুমাদা ও শা’বান মাসের মধ্যে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এটি কোন্ মাস? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলই ভালো জানেন। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চুপ থাকলেন যার জন্য আমরা ভেবেছিলাম, তিনি এই নামটি পাল্টিয়ে অন্য কোন নাম রাখবেন। তিনি বললেন, এটি কি যুলহাজ্জা নয়? আমরা উত্তর করলাম, হ্যাঁ, এটি যুলহাজ্জার মাস। তিনি বললেনঃ এটি কোন্ শহর? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলই অধিক জানেন। তিনি নীরব রইলেনঃ আমরা ভেবেছিলাম, তিনি হয়ত শহরটির নাম বদলিয়ে অন্য নাম রাখবেন। তিনি বললেনঃ এটি কি সেই শহরটি নয়? আমরা উত্তর করলাম, হ্যাঁ। তারপর তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, আজকের এ দিনটি কোন্ দিন? আমরা উত্তর করলাম, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলই অধিক জানেন। তিনি চুপ থাকলেন, যার জন্য আমরা ভাবলাম তিনি সম্ভবত এর নামটা বদলে দেবেন। তিনি বললেনঃ এটা কি কুরবানীর দিন নয়? আমরা বললাম, হ্যাঁ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন বললেনঃ তোমাদের রক্ত এবং সম্পদ বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইব্নু সীরীন (রহঃ) বলেছেন, আমার ধারণা হচ্ছে, আবূ বকরা (রাঃ) ‘তোমাদের ইয্যত’ কথাটিও বর্ণনা করেছিলেন, অর্থাৎ ওসব এ পবিত্র দিনে, এ পবিত্র শহরে, এ পবিত্র মাসটির মত পবিত্র ও মর্যাদাসম্পন্ন। শীঘ্রই তোমরা তোমাদের রব্বের সাক্ষাত লাভ করবে। তখন তিনি তোমাদেরকে তোমাদের ‘আমাল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন। সাবধান, আমার মৃত্যুর পর তোমরা পথভ্রষ্ট হয়ে একে অপরকে হত্যা করো না। সাবধান! উপস্থিতগণ অনুপস্থিত লোকদের কাছে (কথাগুলো) পৌছে দেবে। কেননা, হয়ত যার কাছে পৌছে দেয়া হবে, তাদের মাঝে এমন ব্যক্তিও থাকবে, যারা শ্রবণকারীর চেয়ে অধিক সংরক্ষণকারী হবে। মুহাম্মাদ ইব্নু সীরীন (রহঃ) যখন এ হাদীসটি বর্ণনা করতেন, তখন বলতেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্যিই বলেছিলেন। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ জেনে রেখো, আমি পৌছিয়ে দিয়েছি কি? জেনে রেখো পৌছিয়ে দিয়েছি কি?(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৩৯)