৪৭/১. অধ্যায়ঃ
খাদ্য, পাথেয় এবং দ্রব্য সামগ্রীতে অংশ গ্রহণ।
মাপ ও ওজনের দ্রব্য কিরূপে বিতরণ করা হবে। অনুমানের ভিত্তিতে নাকি মুঠো মুঠো করে? যেহেতু মুসলমানেরা সফরের জিনিসপত্রে এটা কোন দূষণীয় মনে করেন না যে, কোন দ্রব্য সে খাবে, (অর্থাৎ যার যেটা পছন্দ সে তা ভক্ষণ করবে এতে দোষের কিছু নেই। তেমনিভাবে স্বর্ণ রৌপ্য অনুমানের ভিত্তিতে বন্টন ও এক সাথে জোড়া খেজুর ভক্ষণ করা)।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّهُ قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْثًا قِبَلَ السَّاحِلِ، فَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ وَهُمْ ثَلاَثُمِائَةٍ وَأَنَا فِيهِمْ، فَخَرَجْنَا حَتَّى إِذَا كُنَّا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ فَنِيَ الزَّادُ، فَأَمَرَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِأَزْوَادِ ذَلِكَ الْجَيْشِ فَجُمِعَ ذَلِكَ كُلُّهُ فَكَانَ مِزْوَدَىْ تَمْرٍ، فَكَانَ يُقَوِّتُنَا كُلَّ يَوْمٍ قَلِيلاً قَلِيلاً، حَتَّى فَنِيَ فَلَمْ يَكُنْ يُصِيبُنَا إِلاَّ تَمْرَةٌ تَمْرَةٌ. فَقُلْتُ وَمَا تُغْنِي تَمْرَةٌ فَقَالَ لَقَدْ وَجَدْنَا فَقْدَهَا حِينَ فَنِيَتْ. قَالَ ثُمَّ انْتَهَيْنَا إِلَى الْبَحْرِ فَإِذَا حُوتٌ مِثْلُ الظَّرِبِ، فَأَكَلَ مِنْهُ ذَلِكَ الْجَيْشُ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ لَيْلَةً، ثُمَّ أَمَرَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِضِلَعَيْنِ مِنْ أَضْلاَعِهِ فَنُصِبَا، ثُمَّ أَمَرَ بِرَاحِلَةٍ فَرُحِلَتْ ثُمَّ مَرَّتْ تَحْتَهُمَا فَلَمْ تُصِبْهُمَا.
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সমুদ্র তীর অভিমুখে বাহিনী প্রেরণ করেন এবং আবূ উবায়দা ইবনু জাররাহ (রাঃ)-কে তাদের সেনাপতি নিয়োগ করলেন। এ বাহিনীতে তিনশ’ লোক ছিলেন। আমি তাদের মধ্যে ছিলাম। আমরা রওয়ানা হলাম। কিন্তু মাঝপথেই আমাদের পাথেয় শেষ হয়ে গেল। তখন আবূ উবায়দা (রাঃ) দলের সকলকে নিজ নিজ খাদ্যদ্রব্য এক জায়গায় জমা করার নির্দেশ দিলেন। তাই সমস্ত খাদ্যদ্রব্য জমা করা হল। এতে মোট দু’থলে খেজুর জমা হল। আবূ উবায়দা (রাঃ) প্রতিদিন আমাদের এই খেজুর হতে কিছু কিছু করে খেতে দিলেন। অবশেষে তাও শেষ হওয়ার উপক্রম হল এবং জনপ্রতি একটা করে খেজুর ভাগে পড়তে লাগল। (রাবী বলেন) আমি [জাবির (রাঃ)-কে] বললাম, একটা খেজুর কি যথেষ্ট হত। তিনি বললেন, তার মূল্য তখন বুঝতে পারলাম যখন তাও শেষ হয়ে গেল। তিনি বলেন, এরপর আমরা সমুদ্র পর্যন্ত পৌঁছে গেলাম। হঠাৎ ছোট পাহাড়ের ন্যায় একটা মাছ আমরা পেয়ে গেলাম এবং এ বাহিনী আঠারো দিন পর্যন্ত এই মাছ হতে খেল। তারপর আবূ উবায়দা (রাঃ)-এর আদেশে সে মাছের পাঁজর হতে দুটো কাঁটা দাঁড় করানো হল। তারপর তিনি হাওদা লাগাতে বললেন। হাওদা লাগানো হল। এরপর উট তার পাঁজরের নীচ দিয়ে চলে গেল কিন্তু উটের দেহ সে দু’টো কাঁটা স্পর্শ করল না।
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مَرْحُومٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ خَفَّتْ أَزْوَادُ الْقَوْمِ وَأَمْلَقُوا، فَأَتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي نَحْرِ إِبِلِهِمْ فَأَذِنَ لَهُمْ، فَلَقِيَهُمْ عُمَرُ فَأَخْبَرُوهُ فَقَالَ مَا بَقَاؤُكُمْ بَعْدَ إِبِلِكُمْ، فَدَخَلَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا بَقَاؤُهُمْ بَعْدَ إِبِلِهِمْ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نَادِ فِي النَّاسِ فَيَأْتُونَ بِفَضْلِ أَزْوَادِهِمْ ". فَبُسِطَ لِذَلِكَ نِطَعٌ، وَجَعَلُوهُ عَلَى النِّطَعِ. فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَعَا وَبَرَّكَ عَلَيْهِ ثُمَّ دَعَاهُمْ بِأَوْعِيَتِهِمْ فَاحْتَثَى النَّاسُ حَتَّى فَرَغُوا، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ ".
সালামা ইবনু আকওয়া (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন এক সফরে লোকেদের পাথেয় কমে গিয়েছিল এবং তারা অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়লেন। তখন তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট তাদের উট যবেহ করার অনুমতি নেয়ার জন্য এলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের অনুমতি দিলেন। তারপর তাদের সঙ্গে ‘উমর (রাঃ)-এর সাক্ষাৎ হলে তারা তাঁকে এ খবর দিলেন। তিনি বললেন, উট শেষ হয়ে যাবার পর তোমাদের বাঁচার কি উপায় থাকবে? তারপর ‘উমর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! উট শেষ হয়ে যাবার পর তাদের বাঁচার কী উপায় হবে? তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, লোকেদের কাছে ঘোষণা করে দাও যে, যাদের কাছে অতিরিক্ত যে খাদ্য সামগ্রী আছে, তা যেন আমার কাছে নিয়ে আসে। এর জন্য একটা চামড়া বিছিয়ে দেয়া হল। তারা সেই চামড়ার উপর তা রাখলেন। তারপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে তাতে বরকতের জন্য দু‘আ করলেন। এরপর তিনি তাদেরকে তাদের পাত্রগুলো নিয়ে আসতে বললেন, লোকেরা দু’হাত ভর্তি করে করে নিল। সবার নেয়া শেষ হলে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই এবং নিশ্চয়ই আমি আল্লাহর রসূল।