২৫/১. অধ্যায়ঃ
হজ্জ ফর্য হওয়া ও এর ফযীলত।
মহান আল্লাহ্র বাণীঃ মানুষের উপর আল্লাহ্র জন্য বাইতুল্লাহর হজ্জ করা ফরয যারা সেথায় যাওয়ার সামর্থ্য রাখে এবং কেউ প্রত্যাখ্যান করলে সে জেনে রাখুক আল্লাহ্ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষীহীন। (আল ‘ইমরানঃ ৯৭)
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ الْفَضْلُ رَدِيفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَتِ امْرَأَةٌ مِنْ خَثْعَمَ، فَجَعَلَ الْفَضْلُ يَنْظُرُ إِلَيْهَا وَتَنْظُرُ إِلَيْهِ، وَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصْرِفُ وَجْهَ الْفَضْلِ إِلَى الشِّقِّ الآخَرِ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ فَرِيضَةَ اللَّهِ عَلَى عِبَادِهِ فِي الْحَجِّ أَدْرَكَتْ أَبِي شَيْخًا كَبِيرًا، لاَ يَثْبُتُ عَلَى الرَّاحِلَةِ، أَفَأَحُجُّ عَنْهُ قَالَ " نَعَمْ ". وَذَلِكَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
‘আবদুল্লাহ ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ফযল ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) একই বাহনে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে আরোহণ করেছিলেন। এরপর খাশ‘আম গোত্রের জনৈক মহিলা উপস্থিত হল। তখন ফযল (রাঃ) সেই মহিলার দিকে তাকাতে থাকে এবং মহিলাটিও তার দিকে তাকাতে থাকে। আর আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফযলের চেহারা অন্যদিকে ফিরিয়ে দিতে থাকে। মহিলাটি বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল ! আল্লাহ্র বান্দার উপর ফর্যকৃত হজ্জ আমার বয়োঃবৃদ্ধ পিতার উপর ফর্য হয়েছে। কিন্তু তিনি বাহনের উপর স্থির থাকতে পারেন না, আমি কি তাঁর পক্ষ হতে হজ্জ আদায় করবো? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ (আদায় কর)। ঘটনাটি বিদায় হজ্জের সময়ের।
২৫/২. অধ্যায়ঃ
মহান আল্লাহ্র বাণীঃ “তারা তোমার নিকট আসবে পদব্রজে ও সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উষ্ট্রে আরোহণ করে, তারা আসবে দূর-দুরান্তের পথ [৫০] অতিক্রম করে যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলোয় উপস্থিত হতে পারে ।” (আল-হাজ্জঃ ২৭)
[৫০] পথ শব্দের মূলে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, কুরআনেও বলা হয়েছে যার অর্থ হল প্রশস্ত রাস্তা বা পথ।