৫৮/১. অধ্যায়ঃ
জিম্মীদের নিকট থেকে জিযইয়াহ গ্রহন এবং হারবীদের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি।
আর আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ তোমরা যুদ্ধ করতে থাক আহ্লে কিতাবের ঐ লোকদের বিরুদ্ধে, যারা ঈমান আনে না আল্লাহর প্রতি এবং শেষ দিনের প্রতি, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম বলে মনে করে না, এবং যাদেরকে কিতাব দান করা হয়েছে তাদের মধ্যে যারা অনুসরণ করেনা প্রকৃত সত্য দ্বীন, যে পর্যন্ত না তারা বশ্যতা স্বীকার করে স্বহস্তে জিযইয়াহ প্রদান করে। (আত্-তাওবাহ ২৯)আয়াতে উল্লেখিত ---- শব্দের মূল হচ্ছে ------ অর্থ হলো অভাবগ্রস্ত ----------- এর অর্থ সে অমুক হতে অধিক অভাবগ্রস্ত। এ শব্দটি ---- ধাতু হতে নিষ্পন্ন নয়। ইয়াহূদী, খ্রিস্টান, অগ্নিপূজক ও আজমীদের নিকট হতে জিযইয়াহ গ্রহন।ইব্নু ‘উইয়াইনাহ (রহঃ) (‘আবদুল্লাহ) ইব্নু আবূ নাজীহ্ (রহঃ) হতে বলেন যে, আমি মুজাহিদ (রহঃ) –এর নিকট জিজ্ঞেস করলাম, এর কারণ কি যে, সিরিয়াবাসীদের উপর চার দীনার এবং ইয়ামান বাসীদের উপর এক দীনার করে জিযইয়াহ গ্রহন করা হয়। তিনি বললেন, তা স্বচ্ছলতার প্রেক্ষিতে ধার্য করা হয়েছে। [১][১] জিযইয়াহ্র তাৎপর্যঃ কুফর ও শির্ক হল আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহের শাস্তি মৃত্যুদন্ড। কিন্তু আল্লাহ নিজের অসীম রাহমাত গুণে শাস্তির এই কঠোরতা হ্রাস করে ঘোষণা করেন যে, তারা যদি ইসলামি রাষ্ট্রের অনুগত প্রজারূপে ইসলামী আইন-কানুনকে মেনে নিয়ে থাকতে চায় তবে তাদের থেকে সামান্য জিযইয়াহ কর নিয়ে মৃত্যুদন্ড থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হবে এবং ইসলামী রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে তাদের জান মালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। শর’ঈয়াতের পরিভাষায় এটাকে জিযইয়াহ (কর) বলে।
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ عَمْرًا، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا مَعَ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ وَعَمْرِو بْنِ أَوْسٍ، فَحَدَّثَهُمَا بَجَالَةُ، سَنَةَ سَبْعِينَ ـ عَامَ حَجَّ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ بِأَهْلِ الْبَصْرَةِ ـ عِنْدَ دَرَجِ زَمْزَمَ قَالَ كُنْتُ كَاتِبًا لِجَزْءِ بْنِ مُعَاوِيَةَ عَمِّ الأَحْنَفِ، فَأَتَانَا كِتَابُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَبْلَ مَوْتِهِ بِسَنَةٍ فَرِّقُوا بَيْنَ كُلِّ ذِي مَحْرَمٍ مِنَ الْمَجُوسِ. وَلَمْ يَكُنْ عُمَرُ أَخَذَ الْجِزْيَةَ مِنَ الْمَجُوسِ. حَتَّى شَهِدَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَهَا مِنْ مَجُوسِ هَجَرٍ.
‘আমর (ইব্নু দীনার) (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি জাবির ইব্নু যায়দ ও ‘আমর ইব্নু আউস (রহঃ) সহ যমযমের সিঁড়ির নিকট উপবিষ্ট ছিলাম, হিজরী সত্তর সনে যে বছর মুসআব ইব্নু যুবায়র (রাঃ) বসরাবাসীদের নিয়ে হাজ্জ আদায় করেছিলেন। তখন বাজালাহ্ তাদের উভয়কে এ হাদীস বর্ণনা করেন, আমি আহনাফের চাচা জাযই ইবনু মু’আবিয়াহ (রাঃ) -এর লেখক ছিলাম। আমাদের নিকট ‘উমার ইব্নু খাত্তাব (রাঃ)–এর পক্ষ হতে তাঁর মৃত্যুর এক বছর আগে একখানি পত্র আসে যে, যে সব অগ্নিপুজক মাহরামদের [১] বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ তাদের আলাদা করে দাও। আর ‘উমার (রাঃ) অগ্নিপূজকদের নিকট হতে জিযইয়াহ গ্রহন করতেন না।
[১] ---- (মাহরাম) যাদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ।