৮৪/১. অধ্যায়ঃ
আল্লাহ্র বাণীঃ এরপর কাফ্ফারা দশজন দরিদ্রকে খাওয়ানো-(সূরা আল-মায়িদা ৫/৮৯)।
যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হল, তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা হচ্ছেঃ “ফিদিয়া-এর মধ্যে সওম, সদকা অথবা কুরবানী করা।” (আল-বাকারা ২/১৯৬) ইব্নু ‘আব্বাস, ‘আত্বা ও ইকরামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, কুরআন মাজীদে যেখানে (আরবী) (অথবা, অথবা) শব্দ আছে কুরআনের অনুসারীদের জন্য সেখানে যে কোন একটি পন্থা গ্রহণের অধিকার রয়েছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’ব (রাঃ)-কে ফিদিয়া আদায়ের ব্যাপারে যে কোন একটি পন্থা গ্রহণের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، قَالَ أَتَيْتُهُ يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " ادْنُ ". فَدَنَوْتُ فَقَالَ " أَيُؤْذِيكَ هَوَامُّكَ ". قُلْتُ نَعَمْ. قَالَ " فِدْيَةٌ مِنْ صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ ". وَأَخْبَرَنِي ابْنُ عَوْنٍ عَنْ أَيُّوبَ قَالَ صِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ، وَالنُّسُكُ شَاةٌ، وَالْمَسَاكِينُ سِتَّةٌ.
কা’ব ইব্নু উজরা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হাযির হলাম। তখন তিনি বললেনঃ কাছে এসো। তখন আমি তাঁর কাছে গেলাম। তখন তিনি বললেনঃ তোমাকে কি তোমার উকুন কষ্ট দিচ্ছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ সওম অথবা সদকা অথবা কুরবানী করে ফিদিয়া আদায় কর। ইব্নু আউন আইউব থেকে আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, সওম তিন দিন, কুরবানী একটি বক্রী আর মিস্কীনের সংখ্যা হচ্ছে ছয়। [৮৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৫১)
[৮৩] শপথ ভঙ্গের কাফ্ফারা হল দশজন মিস্কিনকে খানা খাওয়ানো অথবা তিন দিন সিয়াম পালন অথবা একটি ছাগল কুরবানী (সাদাক্বাহ) করা। (ফাতহুল বারী)
৮৪/২. অধ্যায়ঃ
আর ধনী ও গরীব কখন কার উপর কাফ্ফারা ওয়াজিব হয়।
আল্লাহ্র বাণীঃ আল্লাহ তোমাদের জন্য নিজেদের কসমের বাধ্যবাধকতা থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন, আল্লাহ তোমাদের মালিক-মনিব-রক্ষক, আর তিনি সবর্জ্ঞাতা, মহা প্রজ্ঞার অধিকারী-(সূরা আল-বাকারা ৬৬/১-২)