৪২/১. অধ্যায়ঃ
পানি পান সম্পর্কে।
মহান আল্লাহর বাণীঃ “আর আমি প্রাণবান সবকিছু সৃষ্টি করলাম পানি হতে, তবুও কি তারা ঈমান আনবে না?” (আম্বিয়া ৩০)। আল্লাহ তা’আলা আরো ইরশাদ করেছেন, “তোমরা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে কি তোমরা চিন্তা করেছ? তোমরাই কি তা মেঘ হতে নামিয়ে আন, না আমি তা বর্ষণ করি? আমি ইচ্ছা করলে তা লবণাক্ত করে দিতে পারি। তবুও কেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না?” (ওয়াক্বিয়াহ ৬৮-৭০)। কিছু লোকের মতে পানি খায়রাত করা ও ওসীয়াত করা জায়েয, তা বণ্টন করা হোক বা না হোক। .............. লবণাক্ত .............. মেঘ।
৪২/০০. অধ্যায়ঃ
পানি পান সম্পর্কে।
কতক লোক মত প্রকাশ করেন যে, পানি বণ্টিত হোক বা না হোক তা সদাকা, দান ও ওসীয়াত করা জায়িয। ‘উসমান (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, রূমার কূপটি কে কিনবে? তারপর তাতে বালতি দ্বারা পানি তোলার অধিকার তার ততটুকু থাকবে, যতটুকু সাধারণ মুসলমানের থাকবে (অর্থাৎ কূপটি কিনে জনসাধারণের জন্য ওয়াক্ফ করে দিবে)। এ কথার পর উসমান (রাঃ) কূপটি কিনে নেন (এবং ওয়াক্ফ করে দেন)।
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ أُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِقَدَحٍ فَشَرِبَ مِنْهُ، وَعَنْ يَمِينِهِ غُلاَمٌ أَصْغَرُ الْقَوْمِ، وَالأَشْيَاخُ عَنْ يَسَارِهِ فَقَالَ " يَا غُلاَمُ أَتَأْذَنُ لِي أَنْ أُعْطِيَهُ الأَشْيَاخَ ". قَالَ مَا كُنْتُ لأُوثِرَ بِفَضْلِي مِنْكَ أَحَدًا يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَأَعْطَاهُ إِيَّاهُ.
সাহ্ল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট একটি পেয়ালা আনা হল। তিনি তা হতে পান করলেন। তখন তাঁর ডান দিকে ছিল একজন বয়ঃকনিষ্ঠ বালক আর বয়স্ক লোকেরা ছিলেন তাঁর বাম দিকে। তিনি বললেন, হে বালক! তুমি কি আমাকে অবশিষ্ট (পানিটুকু) বয়স্কদেরকে দেয়ার অনুমতি দিবে? সে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আপনার নিকট থেকে ফযীলত পাওয়ার ব্যাপারে আমি আমার চেয়ে অন্য কাউকে প্রাধান্য দিব না। অতঃপর তিনি তা তাকে প্রদান করলেন।