আল্লাহ্দ্রোহী ও ধর্মত্যাগীদেরকে তাওবার প্রতি আহ্বান ও তাদের সাথে যুদ্ধ
৮৮/১. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি আল্লাহ্র সঙ্গে শিরক করে তার গুনাহ এবং দুনিয়া ও আখিরাতে তার শাস্তি। আল্লাহ্ বলেনঃ নিশ্চয়ই শির্ক বিরাট জুল্ম- (সূরা লুক্বমান ৩১/১৩)। তুমি আল্লাহ্র শরীক স্থির করলে তোমার কর্ম তো বিফল হবে এবং তুমি হবে ক্ষতিগ্রস্ত (সূরা আয্-যুমার ৩৯/৬৫)।
সহিহ বুখারী : ৬৯১৮
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৬৯১৮
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ {الَّذِينَ آمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ} شَقَّ ذَلِكَ عَلَى أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَالُوا أَيُّنَا لَمْ يَلْبِسْ إِيمَانَهُ بِظُلْمٍ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّهُ لَيْسَ بِذَاكَ أَلاَ تَسْمَعُونَ إِلَى قَوْلِ لُقْمَانَ {إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ}
আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুল্ম দ্বারা কলুষিত করেনি... (সূরা আন‘আম ৬/৮২)। তখন তা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবাদের কাছে গুরুতর মনে হলো। তারা বললেন, আমাদের মাঝে এমন কে আছে যে তার ঈমানকে জুল্ম দ্বারা কলুষিত করে না। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তা অবশ্যই এমনটা নয়, তোমরা কি লুকমানের কথা শ্রবণ করনি? শিরকই বিরাট জুল্ম (সীমালঙ্ঘন)- (সূরা লুক্বমান ৩১/১৩)।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬৪৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৫০)
সহিহ বুখারী : ৬৯১৯
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৬৯১৯
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ ح و حَدَّثَنِي قَيْسُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا سَعِيدٌ الْجُرَيْرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَكْبَرُ الْكَبَائِرِ الإِشْرَاكُ بِاللهِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ وَشَهَادَةُ الزُّورِ وَشَهَادَةُ الزُّورِ ثَلاَثًا أَوْ قَوْلُ الزُّورِ فَمَا زَالَ يُكَرِّرُهَا حَتَّى قُلْنَا لَيْتَهُ سَكَتَ
আবূ বাক্রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সবচেয়ে কঠিন কবীরা গুনাহ্ হচ্ছে আল্লাহ্র সাথে শরীক করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া। মিথ্যা সাক্ষ্য কথাটি তিনবার বললেন। অথবা বলেছেন; মিথ্যা বক্তব্য। কথাটি বারবার বলতে থাকলেন, এমন কি আমরা আকাঙ্ক্ষা করতে লাগলাম, হায় যদি তিনি নীরব হয়ে যেতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- , ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৫১)