৮৪/১০. অধ্যায়ঃ
কসম ভঙ্গ করার পূর্বে এবং পরে কাফ্ফারা আদায় করা। [৮৭]
[৮৭] শপথ ভঙ্গের পূর্বে ও পরে কাফফারা আদায় সম্পর্কে ইমামদের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে। কাফফারা আদায়ের তিনটি অবস্থা (১) শপথের পূর্বে কাফফারা দিলে ইমামদের সর্বসম্মতিক্রমে তা আদায় হবে না। (২) শপথ করে শপথ ভঙ্গের পরে কাফফারা আদায় করলে সর্বসম্মতিক্রমে তা আদায় হবে। (৩) শপথের পরে এবং তা ভঙ্গের পূর্বে কাফ্ফারা আদায় নিয়ে ইমামদের মাঝে মতভেদ রয়েছে; (ক) জামহুর উলামাদের মত হল, কাফ্ফারা আদায় হয়ে যাবে। (খ) আহলুর রায়ের (ইমাম আবু হানীফা) নিকট আদায় হবে না। ইমাম শাফেয়ীর নিকট সিয়াম পালন ব্যতীত অন্য কাফ্ফারা আদায় হয়ে যাবে। তবে মতানৈক্য থাকলেও জামহুরের মতই হাদীসের অনুকূলে। (ফাতহুল বারী)
সহিহ বুখারী : ৬৭২২
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৬৭২২
مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ بْنِ فَارِسٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ تَسْأَلْ الإِمَارَةَ فَإِنَّكَ إِنْ أُعْطِيتَهَا مِنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا وَإِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ مَسْأَلَةٍ وُكِلْتَ إِلَيْهَا وَإِذَا حَلَفْتَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَيْتَ غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَأْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَكَفِّرْ عَنْ يَمِينِكَ تَابَعَهُ أَشْهَلُ بْنُ حَاتِمٍ عَنْ ابْنِ عَوْنٍ وَتَابَعَهُ يُونُسُ وَسِمَاكُ بْنُ عَطِيَّةَ وَسِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ وَحُمَيْدٌ وَقَتَادَةُ وَمَنْصُورٌ وَهِشَامٌ وَالرَّبِيعُ
‘আবদুর রাহ্মান ইব্নু সামুরা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তুমি নেতৃত্ব চেও না। কেননা, চাওয়া ছাড়া যদি তোমাকে তা দেয়া হয় তাহলে তোমাকে তাতে সাহায্য করা হবে। আর যদি চাওয়ার পর তা তোমাকে দেয়া হয়, তবে তা তোমার দায়িত্বেই ছেড়ে দেয়া হবে (অর্থাৎ এর ভাল মন্দের দায়িত্ব তোমারই থাকবে)। তুমি যখন কোন বিষয়ে কসম কর আর অন্যটির মাঝে কল্যাণ দেখতে পাও, তখন যেটার মাঝে কল্যাণ সেটাই কর। আর তোমার কসমের কাফ্ফারা আদায় করে দাও। (৬৬২২)আশহাল ইব্নু হাতিম, ইব্নু আউন থেকে এবং উস্মান ইব্নু আমার-এর অনুসরণ করেছেন এবং ইউনুস, সিমাক ইব্নু আতিয়্যা, সিমাক ইব্নু হারব্, হুমায়দ, ক্বাতাদাহ্, মানসুর, হিশাম ও রাবী’ উক্ত বর্ণনায় ইব্নু আউন-এর অনুসরণ করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৬৭)