৮৩/২৫. অধ্যায়ঃ
যখন কেউ কোন খাদ্যকে হারাম করে নেয়। [৭৭]
[৭৭] (আরবী) “যদি কেউ কোন খাবার বা পানীয়কে নিজের উপর হারাম করে নেয় তবে তা হারাম হিসাবে গণ্য হবে না। কিন্তু যদি শপথ করে হারাম করে নেয় তবুও হারাম গণ্য হবে না। তবে শপথ ভঙ্গের কারণে তার উপর শপথের কাফ্ফারা অপরিহার্য হবে। (ফাতহুল বারী)এবং আল্লাহ্র বাণীঃ হে নবী! আল্লাহ্ যা তোমাদের জন্য হালাল করেছেন তা তুমি কেন হারাম করছ? (এর দ্বারা) তুমি তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি পেতে চাও, (আল্লাহ্ তোমার এ ত্রুটি ক্ষমা করে দিলেন কেননা) আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু। আল্লাহ্ তোমাদের জন্য নিজেদের কসমের বাধ্যবাধতা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন, আল্লাহ্ তোমাদের মালিক-মনিব-রক্ষক, আর তিনি সর্বজ্ঞাতা, মহা প্রজ্ঞার অধিকারী- (সূরাহ্ আত্ তাহরীম ৬৬/১-২)। এবং আল্লাহ্র বাণীঃ পবিত্র বস্তুরাজি যা আল্লাহ্ তোমাদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন সেগুলোকে হারাম করে নিও না- (সূরাহ্ আল-মায়িদাহ ৫/৮৭)।
সহিহ বুখারী : ৬৬৯১
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৬৬৯১
الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ زَعَمَ عَطَاءٌ أَنَّهُ سَمِعَ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ يَقُولُ سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَزْعُمُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَمْكُثُ عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَيَشْرَبُ عِنْدَهَا عَسَلاً فَتَوَاصَيْتُ أَنَا وَحَفْصَةُ أَنَّ أَيَّتَنَا دَخَلَ عَلَيْهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلْتَقُلْ إِنِّي أَجِدُ مِنْكَ رِيحَ مَغَافِيرَ أَكَلْتَ مَغَافِيرَ فَدَخَلَ عَلَى إِحْدَاهُمَا فَقَالَتْ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ لاَ بَلْ شَرِبْتُ عَسَلاً عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَلَنْ أَعُودَ لَهُ فَنَزَلَتْ {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللهُ لَكَ} {إِنْ تَتُوبَا إِلَى اللهِ} لِعَائِشَةَ وَحَفْصَةَ {وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلَى بَعْضِ أَزْوَاجِهِ حَدِيثًا} لِقَوْلِهِ بَلْ شَرِبْتُ عَسَلاً و قَالَ لِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى عَنْ هِشَامٍ وَلَنْ أَعُودَ لَهُ وَقَدْ حَلَفْتُ فَلاَ تُخْبِرِي بِذَلِكِ أَحَدًا
আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সময় যাইনাব বিন্ত জাহাশ (রাঃ)-এর কাছে অবস্থান করছিলেন এবং তাঁর কাছে মধু পান করেছিলেন। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি এবং হাফসাহ (রাঃ) পরস্পরে পরামর্শ করলাম যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দু’জনের মধ্যে যার কাছেই আগে আসবেন আমরা তাঁকে বলব, আপনার মুখ থেকে মাগাফীরের গন্ধ পাচ্ছি। আপনি কি মাগাফীর খেয়েছেন? এরপর তিনি কোন একজনের ঘরে প্রবেশ করলেন। তখন তিনি তাঁকে ঐ কথাটা বললেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জবাব দিলেন, না, আমি তো যাইনাব বিন্ত জাহাশের কাছে মধু পান করেছি। এরপরে আর কক্ষনো এটা করব না। তখনই এ আয়াত অবতীর্ণ হলঃ يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللهُ لَكَ إِنْ تَتُوبَا إِلَى اللهِ ‘‘তোমরা উভয়ে যদি আল্লাহর কাছে তাওবাহ কর’’ এখানে সম্বোধন ‘আয়িশাহ ও হাফসাহ (রাঃ)-এর প্রতি। আর وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ নাবী যখন তাঁর কোন স্ত্রীর কাছে কথাকে গোপন করেন- এ আয়াতটি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা بَلْ شَرِبْتُ عَسَلاً বরং আমি মধু পান করেছি-এর সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। ইব্রাহীম ইবনু মূসা (রহ.) হিশাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি কসম করেছি কাজটি আমি আর কক্ষনো করব না।’’ তুমি এ বিষয়টি কারো কাছে প্রকাশ করো না।[১] [৪৯১২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৩৪)
[৭৮] আল্লাহ্ যা হালাল করেছেন, কাউকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে তা হারাম করা যাবে না। আর আল্লাহ্ ব্যতিত অন্য কেউ এ ক্ষমতাও রাখে না।