৮৩/২২. অধ্যায়ঃ
যখন কেউ তরকারী খাবে না বলে কসম করে, তারপর রুটির সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে খায়। আর কোন্ জিনিস তরকারীর অন্তর্ভুক্ত।
সহিহ বুখারী : ৬৬৮৮
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৬৬৮৮
قُتَيْبَةُ عَنْ مَالِكٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ قَالَ قَالَ أَبُو طَلْحَةَ لِأُمِّ سُلَيْمٍ لَقَدْ سَمِعْتُ صَوْتَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ضَعِيفًا أَعْرِفُ فِيهِ الْجُوعَ فَهَلْ عِنْدَكِ مِنْ شَيْءٍ فَقَالَتْ نَعَمْ فَأَخْرَجَتْ أَقْرَاصًا مِنْ شَعِيرٍ ثُمَّ أَخَذَتْ خِمَارًا لَهَا فَلَفَّتْ الْخُبْزَ بِبَعْضِهِ ثُمَّ أَرْسَلَتْنِي إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَذَهَبْتُ فَوَجَدْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ وَمَعَهُ النَّاسُ فَقُمْتُ عَلَيْهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَرْسَلَكَ أَبُو طَلْحَةَ فَقُلْتُ نَعَمْ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِمَنْ مَعَهُ قُومُوا فَانْطَلَقُوا وَانْطَلَقْتُ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ حَتَّى جِئْتُ أَبَا طَلْحَةَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ قَدْ جَاءَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسُ وَلَيْسَ عِنْدَنَا مِنْ الطَّعَامِ مَا نُطْعِمُهُمْ فَقَالَتْ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ فَانْطَلَقَ أَبُو طَلْحَةَ حَتَّى لَقِيَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو طَلْحَةَ حَتَّى دَخَلاَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم هَلُمِّي يَا أُمَّ سُلَيْمٍ مَا عِنْدَكِ فَأَتَتْ بِذَلِكَ الْخُبْزِ قَالَ فَأَمَرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ الْخُبْزِ فَفُتَّ وَعَصَرَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ عُكَّةً لَهَا فَأَدَمَتْهُ ثُمَّ قَالَ فِيهِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا شَاءَ اللهُ أَنْ يَقُولَ ثُمَّ قَالَ ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ فَأَذِنَ لَهُمْ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا ثُمَّ خَرَجُوا ثُمَّ قَالَ ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ فَأَذِنَ لَهُمْ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا ثُمَّ خَرَجُوا ثُمَّ قَالَ ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ فَأَكَلَ الْقَوْمُ كُلُّهُمْ وَشَبِعُوا وَالْقَوْمُ سَبْعُونَ أَوْ ثَمَانُونَ رَجُلاً
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার আবূ ত্বলহা (রাঃ) উম্মু সুলায়ম (রাঃ)-কে বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দুর্বল আওয়াজ শুনতে পেলাম, যার ফলে আমি বুঝলাম তিনি ক্ষুধার্ত। তোমার কাছে কি কিছু আছে? উম্মু সুলায়ম (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ। তখন তিনি যবের কয়েকটি রুটি বের করলেন। এরপর তাঁর ওড়নাটি নিলেন এবং এর একাংশে রুটিগুলি পেঁচিয়ে নিলেন। আনাস (রাঃ) বলেন, এরপর তিনি আমাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পাঠিয়ে দিলেন। আমি গিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মাসজিদে পেলাম। এবং কতগুলো লোক তাঁর সঙ্গে ছিল। আমি তাঁদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাকে কি আবূ ত্বলহা পাঠিয়েছে? আমি বললাম, জি হ্যাঁ। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সঙ্গীদের বললেন, উঠ, (আবূ ত্বলহার কাছে যাও)। তখন তাঁরা আবূ ত্বলহার নিকট গেলেন। আমি তাদের আগে আগে যেতে লাগলাম। শেষে আবূ ত্বলহার কাছে এসে উপস্থিত হলাম এবং তাকে এ ব্যাপারে জানালাম। তখন আবূ ত্বলহা (রাঃ) বলল, হে উম্মু সুলায়ম! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তো আমাদের কাছে এসেছেন কিন্তু আমাদের কাছে তো এমন কোন খাবার নেই যা তাদের খেতে দিতে পারি। উম্মু সুলায়ম (রাঃ) বলল, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলই (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশী জানেন। আবূ ত্বলহা (রাঃ) বেরিয়ে এলেন এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ ত্বলহা (রাঃ) উভয়েই সামনাসামনি হলেন এবং দুজনেই একসঙ্গে ঘরে প্রবেশ করলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে উম্মু সুলায়ম! তোমার কাছে যা আছে তাই নিয়ে এসো। তখন উম্মু সুলায়ম (রাঃ) ঐ রুটিগুলি তাঁর সামনে পেশ করলেন। রাবী বলেন, এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐ রুটিগুলি ছিঁড়ার জন্য নির্দেশ করলেন। তখন রুটিগুলি টুকরা টুকরা করা হল। উম্মু সুলায়ম (রাঃ) তার ঘি-এর পাত্র থেকে ঘি বের করলেন এবং তাতে মেশালেন। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার উপর আল্লাহ্র ইচ্ছানুযায়ী পাঠ করলেন এবং বললেনঃ দশজন লোককে অনুমতি দাও। তিনি তাদেরকে অনুমতি দিলেন। তখন তারা সবাই আহার করলেন, এমনকি সবাই তৃপ্ত হয়ে সেখান থেকে বের হলেন। এরপর তিনি আবার বললেনঃ (আরও) দশজনকে অনুমতি দাও। তখন তাদেরকে অনুমতি দেয়া হল। এভাবে তারা সবাই আহার করলেন, এমনকি সবাই তৃপ্ত হয়ে সেখান থেকে বের হলেন। এরপর আবারো তিনি বললেনঃ আরও দশজনকে আসতে দাও। দলের লোকসংখ্যা ছিল সত্তুর বা আশি জন। [৭৪](আধুনিক প্রকাশনী- ৬২২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৩১)
[৭৪] নবীগণ তাঁদের নবুওতের প্রমাণ স্বরূপ আল্লাহ্র নিকট হতে মু’জিযা লাভ করে থাকেন- যা নবী ছাড়া অন্য মানুষের জন্য লাভ করা অসম্ভব।