৮১/৭. অধ্যায় :
দুনিয়ার শোভা ও তার প্রতি আসক্তি থেকে সতর্কতা
সহিহ বুখারী : ৬৪২৭
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৬৪২৭
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ أَكْثَرَ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمْ مَا يُخْرِجُ اللَّهُ لَكُمْ مِنْ بَرَكَاتِ الأَرْضِ ". قِيلَ وَمَا بَرَكَاتُ الأَرْضِ قَالَ " زَهْرَةُ الدُّنْيَا ". فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ هَلْ يَأْتِي الْخَيْرُ بِالشَّرِّ فَصَمَتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ يُنْزَلُ عَلَيْهِ، ثُمَّ جَعَلَ يَمْسَحُ عَنْ جَبِينِهِ فَقَالَ " أَيْنَ السَّائِلُ ". قَالَ أَنَا. قَالَ أَبُو سَعِيدٍ لَقَدْ حَمِدْنَاهُ حِينَ طَلَعَ ذَلِكَ. قَالَ " لاَ يَأْتِي الْخَيْرُ إِلاَّ بِالْخَيْرِ، إِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ، وَإِنَّ كُلَّ مَا أَنْبَتَ الرَّبِيعُ يَقْتُلُ حَبَطًا أَوْ يُلِمُّ، إِلاَّ آكِلَةَ الْخَضِرَةِ، أَكَلَتْ حَتَّى إِذَا امْتَدَّتْ خَاصِرَتَاهَا اسْتَقْبَلَتِ الشَّمْسَ، فَاجْتَرَّتْ وَثَلَطَتْ وَبَالَتْ، ثُمَّ عَادَتْ فَأَكَلَتْ، وَإِنَّ هَذَا الْمَالَ حُلْوَةٌ، مَنْ أَخَذَهُ بِحَقِّهِ وَوَضَعَهُ فِي حَقِّهِ، فَنِعْمَ الْمَعُونَةُ هُوَ، وَمَنْ أَخَذَهُ بِغَيْرِ حَقِّهِ، كَانَ الَّذِي يَأْكُلُ وَلاَ يَشْبَعُ ".
আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি তোমাদের জন্য এ ব্যাপারেই সর্বাধিক আশংকা করছি যে, আল্লাহ্ তোমাদের জন্য যমীনের বারাকাতসমূহ প্রকাশিত করে দেবেন। জিজ্ঞেস করা হলো, যমীনের বারাকাতসমূহ কী? তিনি বললেনঃ দুনিয়ার চাকচিক্য। তখন এক ব্যক্তি তাঁর কাছে বললেন, কল্যাণ কি অকল্যাণ নিয়ে আসবে? তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছুক্ষণ নীরব থাকলেন, যাতে আমরা ধারণা করলাম যে, তাঁর উপর ওয়াহী নাযিল হচ্ছে। এরপর তিনি তাঁর কপাল থেকে ঘাম মুছে জিজ্ঞেস করলেন, প্রশ্নকারী কোথায়? সে বলল, আমি। আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) বলেন, যখন এটি প্রকাশ পেল, তখন আমরা প্রশ্নকারীর প্রশংসা করলাম। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কল্যাণ কেবল কল্যাণই বয়ে আনে। নিশ্চয়ই এ ধনদৌলত সবুজ সুমিষ্ট। অবশ্য বসন্ত যে সবজি উৎপাদন করে, তা ভক্ষণকারী পশুকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় অথবা মৃত্যুর নিকটবর্তী করে, তবে যে প্রাণী পেট ভরে খেয়ে সূর্যের দিকে তাকিয়ে জাবর কাটে, মল-মূত্র ত্যাগ করে এবং আবার খায় (এর অবস্থা ভিন্ন)। এ পৃথিবীর ধনদৌলত তেমন সুমিষ্ট। যে ব্যক্তি তা সৎভাবে গ্রহণ করবে এবং সৎভাবে ব্যয় করবে, তা তার খুবই উপকারী হবে। আর যে তা অন্যায়ভাবে গ্রহণ করবে, সে ঐ ব্যক্তির মত যে খেতে থাকে কিন্তু পরিতৃপ্ত হয় না। [৭] [৯২১; মুসলিম ১২/৪১, হাঃ ১০৫২, আহমাদ ১১১৫৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮৪)
[৭] হাদীসটি হতে জানা যায় :(১) বক্তার চারপাশে শ্রোতাদের বসা এবং পার্থিব কোন বিষয়ের প্রতিযোগিতা থেকে ভীতি প্রদর্শন ।(২) জটিল কোন বিষয়ে জ্ঞানী ব্যক্তিকে প্রশ্ন করা এবং বিরোধ নিরসনের জন্য প্রমাণ চাওয়া ।(৩) রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি তার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ওয়াহীর অপেক্ষা করতেন ।(৪) যদি কোন বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণার প্রয়োজন হয় তবে সে ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করে উত্তর দেয়া পরিহার করা । (ফাতহুল বারী)