৯/২০. অধ্যায়ঃ
‘ইশা ও আতামাহ-এর বর্ণনা এবং যিনি এতে কোনো আপত্তি করেন না।
[১] ইশার সালাত দেরী করে আদায় করেছেন এর জন্য (اَخَّرُ الْعَشَاءَ)না বলে (اَعْتَمَ) শব্দটি ব্যবহার করেছেন। যাতে বর্ণনায় ইশা ও আতামা বলার ইঙ্গিত পাওয়া যায় । অর্থাৎ তিনি তার বর্ণনায় ইশা ও আতামা দু’টো শব্দই ব্যবহার করেছেন।[২] শেষ ইশা বলে ইশার সালাতকেই বুঝানো হয়েছে। কেননা, কোন কোন ক্ষেত্রে মাগরিবকেও ইশা বলা হয়।আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন যে, মুনাফিকদের জন্য সবচেয়ে কষ্টকর সালাত হল ‘ইশা ও ফজর। তিনি আরও বলেছেন যে, তারা যদি জানতো, আতামা (ইশা) ও ফজরে কি কল্যাণ নিহিত আছে। ইমাম বুখারী (রহঃ)বলেন, ‘ইশা শব্দ ব্যবেহার করাই উত্তম। কেননা, আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ “ইশা সালাতের পর”- (সূরাহ্ আন-নূর ২৪/৫৮)।আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমরা পালাক্রমে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর এখানে ‘ইশার সালাতের সময় যেতাম। একবার তিনি তা দেরী করে আদায় করেন। ইবনু ‘আব্বাস ও ‘আয়িশা (রাঃ) হতে (এরূপ) বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘ইশা দেরী করে আদায় করেন। বর্ণনাকারীদের কেউ কেউ বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আতামাহকে দেরী করে আদায় করেন। জাবির (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘ইশার সালাত আদায় করলেন। আবূ বারযা (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘ইশার সালাত বিলম্বে আদায় করতেন। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শেষ ‘ইশা বিলম্বে আদায় করলেন। ইবনু উমর, আবূ আইয়ূব ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাগরিব ও ‘ইশার সালাত আদায় করেন।
সহিহ বুখারী : ৫৬৪
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৫৬৪
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ سَالِمٌ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ صَلَّى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً صَلاَةَ الْعِشَاءِ ـ وَهْىَ الَّتِي يَدْعُو النَّاسُ الْعَتَمَةَ ـ ثُمَّ انْصَرَفَ فَأَقْبَلَ عَلَيْنَا فَقَالَ " أَرَأَيْتُمْ لَيْلَتَكُمْ هَذِهِ فَإِنَّ رَأْسَ مِائَةِ سَنَةٍ مِنْهَا لاَ يَبْقَى مِمَّنْ هُوَ عَلَى ظَهْرِ الأَرْضِ أَحَدٌ ".
‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক রাতে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিয়ে ‘ইশার সালাত আদায় করেন, যে সালাতকে লোকেরা ‘আতামা’ বলে থাকে। অতঃপর তিনি ফিরে আমাদের দিকে মুখ করে বললেন, আজকের এ রাত সম্পর্কে তোমরা জান কি? এ রাত হতে নিয়ে একশ’ বছরের শেষ মাথায় আজ যারা ভূপৃষ্ঠে আছে তাদের কেউ অবশিষ্ট থাকবে না।