৭২/১২. অধ্যায়ঃ
মহান আল্লাহ্র ইরশাদঃ তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার হালাল করা হয়েছে . . .. . . .. . . .. . । (সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/৯৬)
‘উমার (রাঃ) বলেছেন, (আরবী) যা শিকার করা হয়, আর (আরবী) সমুদ্র যাকে নিক্ষেপ করে। আবূ বাক্র (রাঃ) বলেছেনঃ মরে যা ভেসে উঠে তা হালাল।ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ (আরবী) সমুদ্রে প্রাপ্ত মৃত জানোয়ার খাদ্য, তবে তন্মধ্যে যেটি ঘৃণিত সেটি ব্যাতীত। বাইন জাতীয় মাছ ইয়াহূদীরা খায় না, আমরা খাই।আবূ শুরায়হ (রাঃ) যিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবী তিনি বলেছেনঃ সমুদ্রের সব জিনিসই যবাহকৃত বলে গণ্য। ‘আত্বা (রহঃ) বলেছেনঃ (সমুদ্রের) পাখি সম্পর্কে আমার মত সেটিকে যবহ করতে হনে। ইবনু জুরায়জ (রহঃ) বলেন, আমি ‘আত্বা (রহঃ)-কে খাল, বিল, নদী-নালা ও জলাশয়ের শিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলামঃ এগুলো কি সমুদ্রের শিকারের অন্তর্ভুক্ত? তিনি উত্তর দিলেনঃ হাঁ। তারপর তিনি এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ “একটি সুমিষ্ট, সুস্বাদু, সুপেয়; অন্যটি লবণাক্ত, বিস্বাদ। তথাপি তোমরা সকল (প্রকার পানি) থেকে তাজা গোশত আহার কর।” (সূরাহ ফাত্বির ৩৫/১২) হাসান ভোঁদড়ের চামড়ায় নির্মিত ঘোড়ার গদির উপর আরোহণ করেছেন। শা’বী (রহঃ) বলেছেনঃ আমার পরিবারের লোকেরা যদি ব্যাঙ খেত, তাহলে আমি তাদের তা খাওয়াতাম। হাসান (রহঃ) কচ্ছপ খাওয়াকে দোষের মনে করতেন না। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ সমুদ্রের সব ধরনের শিকার খেতে পার, যদিও তা কোন ইয়াহূদী কিংবা খৃস্টান কিংবা অগ্নিপূজক শিকার করে থাকে। আবূ দারদা (রাঃ) বলেনঃ মাছ ও সূর্যের তাপ শরাবকে পাক করে।
সহিহ বুখারী : ৫৪৯৪
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৫৪৯৪
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو قَالَ سَمِعْتُ جَابِرًا يَقُوْلُ بَعَثَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَ مِائَةِ رَاكِبٍ وَأَمِيرُنَا أَبُو عُبَيْدَةَ نَرْصُدُ عِيرًا لِقُرَيْشٍ فَأَصَابَنَا جُوعٌ شَدِيدٌ حَتّٰى أَكَلْنَا الْخَبَطَ فَسُمِّيَ جَيْشَ الْخَبَطِ وَأَلْقَى الْبَحْرُ حُوتًا يُقَالُ لَهُ الْعَنْبَرُ فَأَكَلْنَا نِصْفَ شَهْرٍ وَادَّهَنَّا بِوَدَكِه„ حَتّٰى صَلَحَتْ أَجْسَامُنَا قَالَ فَأَخَذَ أَبُو عُبَيْدَةَ ضِلَعًا مِنْ أَضْلاَعِه„ فَنَصَبَه“ فَمَرَّ الرَّاكِبُ تَحْتَه“ وَكَانَ فِينَا رَجُلٌ فَلَمَّا اشْتَدَّ الْجُوعُ نَحَرَ ثَلاَثَ جَزَائِرَ ثُمَّ ثَلاَثَ جَزَائِرَ ثُمَّ نَهَاه“ أَبُو عُبَيْدَةَ.
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের তিনশ’ সাওয়ার পাঠালেন- আমাদের সেনাপতি ছিলেন আবূ ‘উবাদাহ (রাঃ)। উদ্দেশ্য ছিল আমরা যেন কুরাইশদের একটি কাফেলার অপেক্ষা করি। তখন আমাদের অত্যান্ত ক্ষিধে পেল। এমন কি আমরা ............ (গাছের পাতা) খেতে আরম্ভ করলাম। ফলে এ বাহিনীর নামকরণ করা হয় “জায়শুল খাবত”। তখন সমুদ্র আম্বর নামক একটি মাছ পাড়ে নিক্ষেপ করে। আমরা এটি অর্ধমাস আহার করলাম। আমরা এর চর্বি তেল রুপে গায়ে মাখতাম। ফলে আমাদের শরীর সতেজ হতে উঠে। আবূ ‘উবাইদাহ (রাঃ) মাছটির পাঁজরের কাঁটাগুলোর একটি খাড়া করে ধরলেন, তখন একজন আশ্বারোহী তার নিচ দিয়ে অতিক্রম করে গেল। আমাদের মধ্যে (কায়েস ইবনু না’দ) এক ব্যাক্তি ছিলেন, খাদ্যাভাব তখন ভীষণ আকার ধারণ করেছিল। তখন তিনি তিনটি উট যবাহ করেন। তারপর আরো তিনটি যবহ করেন। এরপর আবূ ‘উবাইদাহ (রাঃ) তাঁকে নিষেধ করলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৮৫)