৭০/২৭. অধ্যায়ঃ
পূর্ববর্তী মনীষীগণ তাঁদের বাড়ীতে ও সফরে গোশ্ত এবং অন্যান্য যেসব খাদ্য সঞ্চিত রাখতেন।
আবূ বাক্রের কন্যা ‘আয়িশা ও আসমা (রাঃ) বলেনঃ আমরা নবী (সাঃ) ও আবু বাক্রের জন্য (হিজরতের প্রাক্কালে) পথের খাবার তৈরি করে দিয়েছিলাম।
সহিহ বুখারী : ৫৪২৩
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৫৪২৩
خَلاَّدُ بْنُ يَحْيٰى حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ عَابِسٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ أَنَهٰى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ تُؤْكَلَ لُحُومُ الأَضَاحِيِّ فَوْقَ ثَلاَثٍ قَالَتْ مَا فَعَلَه“ إِلاَّ فِي عَامٍ جَاعَ النَّاسُ فِيهِ فَأَرَادَ أَنْ يُطْعِمَ الْغَنِيُّ الْفَقِيرَ وَإِنْ كُنَّا لَنَرْفَعُ الْكُرَاعَ فَنَأْكُلُه“ بَعْدَ خَمْسَ عَشْرَةَ قِيلَ مَا اضْطَرَّكُمْ إِلَيْهِ فَضَحِكَتْ قَالَتْ مَا شَبِعَ آلُ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم مِنْ خُبْزِ بُرٍّ مَأْدُومٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ حَتّٰى لَحِقَ بِاللهِ وَقَالَ ابْنُ كَثِيرٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ عَابِسٍ بِهَذَا.
‘আবিস (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করলামঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি কুরবানীর গোশ্ত তিন দিনের অধিক সময় খেতে নিষেধ করেছেন? তিনি বললেনঃ সেই বছরেই কেবল নিষেধ করেছিলেন, যে বছর মানুষ অনাহারের কবলে পড়েছিল। তিনি চেয়েছিলেন যেন ধনীরা গরীবদের খাওয়ায়। আমরা তো বকরীর পায়াগুলো তুলে রাখতাম এবং পনের দিন পর তা খেতাম। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলঃ কিসে আপনাদের এগুলো খেতে বাধ্য করত? তিনি হেসে বললেনঃ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ্র সঙ্গে মিলিত হবার পূর্ব পর্যন্ত তাঁর পরিবার পরিজন এক নাগাড়ে তিনদিন তরকারীসহ গমের রুটি পেট ভরে খাননি। অন্য সনদে ইবনু কাসীর বলেছেন, সুফিয়ান (রহঃ) ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আবিস সূত্রে উক্ত হাদীসটি আমার কাছে বর্ণনা করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯১৬)