৭০/১৭. অধ্যায়ঃ
সিলক ও যব প্রসঙ্গে
সহিহ বুখারী : ৫৪০৩
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৫৪০৩
يَحْيٰى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ إِنْ كُنَّا لَنَفْرَحُ بِيَوْمِ الْجُمُعَةِ كَانَتْ لَنَا عَجُوزٌ تَأْخُذُ أُصُولَ السِّلْقِ فَتَجْعَلُه“ فِي قِدْرٍ لَهَا فَتَجْعَلُ فِيهِ حَبَّاتٍ مِنْ شَعِيرٍ إِذَا صَلَّيْنَا زُرْنَاهَا فَقَرَّبَتْه“ إِلَيْنَا وَكُنَّا نَفْرَحُ بِيَوْمِ الْجُمُعَةِ مِنْ أَجْلِ ذ‘لِكَ وَمَا كُنَّا نَتَغَد‘ى وَلاَ نَقِيلُ إِلاَّ بَعْدَ الْجُمُعَةِ وَاللهِ مَا فِيهِ شَحْمٌ وَلاَ وَدَكٌ.
সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জুমু’আর দিন আসলে আমরা খুবই খুশী হতাম। এক বৃদ্ধা আমাদের জন্য সিলক (শালগম জাতীয় এক প্রকার সুস্বাদু সবজী)-এর মূল তুলে তা তাঁর হাঁড়িতে চড়িয়ে দিতেন। তারপর এতে অল্প কিছু যব ছেড়ে দিতেন। [৩৯] সলাতের পর আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এ খাবার আমাদের সম্মুখে হাজির করতেন। এ কারণেই জুমু’আহর দিন আসলে আমরা খুব খুশী হতাম। আমরা সকালে আহার ও বিশ্রাম গ্রহণ করতাম না জুমু’আহর পর ব্যতীত। আল্লাহর কসম! সে খাদ্যে কোন চর্বি থাকত না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৯৮)
[৩৯] যব খাওয়ার গুরুত্ব ও তাৎপর্যঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে সাধারণ যবের রুটি খাওয়া হত, আর সেই রুটির শক্তি দ্বারা সাহাবায়ে কেরাম সমগ্র বিশ্বে ইসলামের পতাকা উড্ডীন করেছেন।আধুনিক গবেষণা অনুযায়ী যব এক প্রকার বলবর্ধক খাদ্য। এটা পুরাতন আমাশয় রোগ ও কোষ্ট কাঠিন্য নিঃশেষ করে। প্রশান্তি দান করে। দুধে পাকালে উন্নত মানের বল বর্ধক খাবারে পরিণত হয়। আমেরিকাতে হৃদ রুগীদেরকে শুধু যবের খাদ্য পরিবেশন করা হয়, এবং বিয়ার নামক বন্ধ কৌটার মধ্যে এটা সচরাচর পাওয়া যায়।শিশু রোগ বিশেষ করে শিশুদের লিভার ফেল হয়ে গেলে তার যবের খাদ্য খুবই উপরারী। গ্রীসে যখন অলিম্পিক খেলা আরম্ভ হত তখন খেলোয়াড়দের শক্তি বৃদ্ধির জন্য বিশেষ খাবার হিসেবে “যব” কে নির্বাচন করা হত।