৬৮/৫২. অধ্যায়ঃ
নিভৃতেবাস করার পরে মাহ্রের পরিমাণ, অথবা নির্জনবাস ও স্পর্শ করার পূর্বে ত্বলাক্ব দিলে স্ত্রীর মাহ্র এবং কিভাবে নির্জনবাস প্রমাণিত হবে সে প্রসঙ্গে
সহিহ বুখারী : ৫৩৪৯
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৫৩৪৯
عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ قُلْتُ لِابْنِ عُمَرَ رَجُلٌ قَذَفَ امْرَأَتَه“ فَقَالَ فَرَّقَ نَبِيُّ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَخَوَيْ بَنِي الْعَجْلاَنِ وَقَالَ اللهُ يَعْلَمُ أَنَّ أَحَدَكُمَا كَاذِبٌ فَهَلْ مِنْكُمَا تَائِبٌ فَأَبَيَا فَقَالَ اللهُ يَعْلَمُ أَنَّ أَحَدَكُمَا كَاذِبٌ فَهَلْ مِنْكُمَا تَائِبٌ فَأَبَيَا فَفَرَّقَ بَيْنَهُمَا قَالَ أَيُّوبُ فَقَالَ لِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ فِي الْحَدِيثِ شَيْءٌ لاَ أَرَاكَ تُحَدِّثُه“ قَالَ قَالَ الرَّجُلُ مَالِي قَالَ لاَ مَالَ لَكَ إِنْ كُنْتَ صَادِقًا فَقَدْ دَخَلْتَ بِهَا وَإِنْ كُنْتَ كَاذِبًا فَهُوَ أَبْعَدُ مِنْكَ.
সা’ঈদ ইবনু যুবায়র (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমারকে জিজ্ঞেস করলামঃ যদি কেউ তার স্ত্রীকে অপবাদ দেয়? তিনি বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আজলান গোত্রের এক দম্পতির বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ জানেন তোমাদের দু’জনের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। সুতরাং তোমাদের কেউ কি তাওবাহ করবে? তারা উভয়ে অস্বীকার করল। তিনি আবার বললেনঃ আল্লাহ জানেন তোমাদের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। কাজেই তোমাদের মধ্যে তাওবাহ করতে কে প্রস্তুত? তারা কেউ রাযী হল না। এরপর তিনি তাদের মধ্য বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দিলেন। আইয়ূব বলেনঃ আম্র ইবনু দীনার আমাকে বললেন, হাদীসে আরো কিছু কথা আছে, আমি তা তোমাকে বর্ণনা করতে দেখছি না। রাবী বলেন, লোকটি তখন বলল, আমার মাল (প্রদত্ত মাহ্র) ফেরত পাব না? তিনি বললেনঃ তুমি কোন মাল পাবে না। যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবে তো তুমি তার সাথে সহবাস করেছ। আর যদি মিথ্যাচারী হও, তাহলে মাল ফেরত পাওয়া তো বহু দূরের ব্যাপার।(আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৪৫)