৬৮/৪১. অধ্যায়ঃ
ফাতিমা বিন্ত কায়সের ঘটনা
এবং মহান আল্লাহ্র বাণীঃ “তোমরা তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় কর। তাদেরকে তাদের বাসগৃহ থেকে বের করে দিও না, আর তারা নিজেরাও যেন বের হয়ে না যায়, যদি না তারা স্পষ্ট অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়। এগুলো আল্লাহ্র সীমারেখা। যে কেউ আল্লাহ্র সীমারেখা লঙ্ঘন করে, সে নিজের উপরই যুল্ম করে। তোমরা জান না, আল্লাহ হয়তো এরপরও (স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমঝোতার) কোন উপায় বের করে দিবেন ------------(‘ইদ্দাতকালে) নারীদেরকে সেভাবেই বসবাস করতে দাও যেভাবে তোমরা বসবাস কর তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী........ আল্লাহ কষ্টের পর আরাম দিবেন।” (সূরাহ আত-ত্বলাক্ব ৬৫/১-৭)
সহিহ বুখারী : ৫৩২১
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৫৩২১
إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ يَحْيٰى بْنِ سَعِيدٍ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ وَسُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّه“ سَمِعَهُمَا يَذْكُرَانِ أَنَّ يَحْيٰى بْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ طَلَّقَ بِنْتَ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ الْحَكَمِ فَانْتَقَلَهَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ فَأَرْسَلَتْ عَائِشَةُ أُمُّ الْمُؤْمِنِيِنَ إِلٰى مَرْوَانَ بْنِ الحَكَمِ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ اتَّقِ اللهَ وَارْدُدْهَا إِلٰى بَيْتِهَا قَالَ مَرْوَانُ فِي حَدِيثِ سُلَيْمَانَ إِنَّ عَبْدَ الرَّحْمٰنِ بْنَ الْحَكَمِ غَلَبَنِي وَقَالَ الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَوَمَا بَلَغَكِ شَأْنُ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ قَالَتْ لاَ يَضُرُّكَ أَنْ لاَ تَذْكُرَ حَدِيثَ فَاطِمَةَ فَقَالَ مَرْوَانُ بْنُ الحَكَمِ إِنْ كَانَ بِكِ شَرٌّ فَحَسْبُكِ مَا بَيْنَ هَذَيْنِ مِنَ الشَّرِّ.
কাসিম ইবনু মুহাম্মাদ ও সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
যে, ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ ইবনু আস (রহঃ) ‘আবদুর রহমান ইবনু হাকাম এর কন্যাকে ত্বলাক্ব দিলে ‘আবদুর রহমান তাকে উম্মুল মু’মিনীন 'আয়িশা (রাঃ)- এর কাছে নিয়ে গেলে, তিনি মাদীনাহ্র শাসনকর্তা মারওয়ানের কাছে বলে পাঠালেনঃ আল্লাহকে ভয় কর, আর তাকে তার ঘরে ফিরিয়ে দাও। মারওয়ান বলেন, সুলাইমানের বর্ণনায় ‘আবদুর রহমান আমাকে যুক্তিতে হারিয়ে দিয়েছে। কাসিম ইবনু মুহাম্মাদের বর্ণনায় তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিন্ত কায়সের ঘটনা কি আপনার কাছে পৌঁছেনি? তিনি বললেনঃ ('আয়িশা) ফাতিমাহ বিন্ত কায়সের ঘটনা মনে না রাখলে তোমার কোন ক্ষতি হবে না। মারওয়ান বললেনঃ যদি মনে করেন ফাতিমাহ্কে বের করার পেছনে তার মন্দ আচরণ কাজ করেছে, তবে বলব, এখানে সে মন্দ আচরণ বিদ্যমান আছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮২৬)