৬৮/১২. অধ্যায়ঃ

খুলা‘র [২৭] বর্ণনা এবং ত্বলাক্ব হওয়ার নিয়ম।

মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ “তোমাদের পক্ষে তাদেরকে দেয়া মালের কিছুই ফিরিয়ে নেয়া জায়িয হবে না, কিন্তু যদি তারা উভয়ে আশঙ্কা করে যে তারা আল্লাহ্‌র নির্ধারিত সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না (তাহলে অন্য ব্যবস্থা)। অতঃপর যদি তোমরা (উভয় পক্ষের শালিসগণ) আশঙ্কা কর যে উভয়পক্ষ আল্লাহ্‌র আইনসমূহ ঠিক রাখতে পারবে না, তাহলে উভয়ের প্রতি কোন গুনাহ নেই যদি কোন কিছুর বিনিময়ে স্ত্রী নিজেকে মুক্ত করতে চায়। এগুলো আল্লাহ্‌র আইন, কাজেই তোমরা এগুলোকে লঙ্ঘন করো না, আর যারা আল্লাহ্‌র আইনসমূহ লঙ্ঘন করবে, তারাই যালিম।” (সূরাহ আল-বাক্বারা ২/২২৯)‘উমার (রাঃ) কাযীর অনুমতি ব্যতীত খুলা‘কে বৈধ বলেছেন। ‘উসমান (রাঃ) মাথার বেনী ব্যতীত অন্য সকল কিছুর পরিবর্তে খুলা’ করার অনুমতি দিয়েছেন। তাউস (রহঃ) বলেন, যদি তারা উভয়ে আল্লাহ্‌র সীমা ঠিক না রাখতে পারার আশঙ্কা করে অর্থাৎ সংসার জীবনে তাদের প্রত্যেকের উপর যে দায়িত্ব আল্লাহ অর্পণ করেছেন সে ব্যাপারে । তিনি বোকাদের মাঝে এ কথা বলেননি যে, খুলা ততক্ষণ বৈধ হবে না, যতক্ষণ না মহিলা বলবে আমি জুনবী হয়ে তোমার জন্য গোসল করব না অর্থাৎ যতক্ষণ না মহিলা তাকে সহবাস থেকে বাধা দান করবে।[২৭] খুলা শব্দের অর্থ খুলে ফেলা , মুক্ত করা।যেমন আল্লাহ বলেন, ---------------------- অর্থাৎ “হে মূসা! তুমি তোমার জুতাজোড়া খুলে নাও, কেননা তুমি এখন তুওয়া নামক পবিত্র উপত্যকায় উপস্থিত।খুলা তালাকঃ স্ত্রী যদি বিশেষ কোন কারণে স্বামীর সাথে বসবাস করতে নারায হয় তাহলে স্বামী তার নিকট থেকে অথবা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে বিনিময় গ্রহণ করে স্ত্রীকে পৃথক করে দেয়াকে খুলা তালাক বলা হয়। খুলার ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের সম্মতি থাকতে হবে। যদি স্বামী সম্মতি প্রদান না করে তাহলে স্ত্রী বিচারকের শরণাপন্ন হয়ে তার মাধ্যমে খুলা করবে। স্বামী স্ত্রীকে বিদায়ের অনুমতি দেয়ার পর যদি স্ত্রী পুনরায় উক্ত স্বামীর সংসার করতে চায়, তাহলে এ খুলা তালাকের ক্ষেত্রে স্বামী উক্ত স্ত্রীকে গ্রহণ করতে চাইলে পুনরায় বিয়ের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে।আর যদি অন্যত্র বিবাহ করতে চায়, তাহলে এক হায়েয অতিক্রম করার পর অন্যত্র বিবাহ করতে পারবে। [এ মর্মে ইমাম নাসাঈ হাদীস বর্ণনা করেছেন, দেখুন “সহীহ্‌ নাসাঈ” (৩৪৯৭) এছাড়া দেখুন “ফিকহুস সুন্নাহ্‌” খুলা অধ্যায়]।তার জন্য আল্লাহ বিধান প্রদান করেছেনঃ-------------------------------- “অতঃপর যদি তোমরা (উভয় পক্ষের শালিসগণ) আশঙ্কা কর যে উভয়পক্ষ আল্লাহ্‌র আইনসমূহ ঠিক রাখতে পারবে না, তাহলে উভয়ের প্রতি কোন গুনাহ নেই যদি কোন কিছুর বিনিময়ে স্ত্রী নিজেকে মুক্ত করতে চায়।” (সূরা আল-বাকারাহঃ ২২৯) আর যদি স্বামী বিনা মালে পরিত্যাগ করে তাহলে আরও ভাল।

সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৫২৭৬

مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْمُبَارَكِ الْمُخَرِّمِيُّ حَدَّثَنَا قُرَادٌ أَبُو نُوحٍ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ جَاءَتْ امْرَأَةُ ثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا أَنْقِمُ عَلٰى ثَابِتٍ فِي دِينٍ وَلاَ خُلُقٍ إِلاَّ أَنِّي أَخَافُ الْكُفْرَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَتَرُدِّينَ عَلَيْهِ حَدِيقَتَه“ فَقَالَتْ نَعَمْ فَرَدَّتْ عَلَيْهِ وَأَمَرَه“ فَفَارَقَهَا.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সাবিত ইবনু কায়স ইবনু শাম্মাস (রাঃ)- এর স্ত্রী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর কাছে এসে বললঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি সাবিতের দ্বীন ও চরিত্রের ব্যাপারে কোন দোষ দিচ্ছি না। তবে আমি কুফরীর আশঙ্কা করছি। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কি তার বাগানটি ফিরিয়ে দিতে প্রস্তুত আছ? সে বললঃ হাঁ। অতঃপর সে বাগানটি তাকে (স্বামীকে) ফিরিয়ে দিল। আর রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার স্বামীকে নির্দেশ দিলেন, সে মহিলাকে পৃথক করে দিল।আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৮৩)

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন