৬৭/১০৮. অধ্যায়ঃ

আত্মমর্যাদাবোধ।

সা‘দ ইব্‌নু ‘উবাদাহ (রাঃ) বললেন, আমি যদি অন্য কোন পুরুষকে আমার স্ত্রীর সঙ্গে দেখতে পাই; তাহলে আমি তাকে তরবারির ধারালো দিক দিয়ে আঘাত করব অর্থাৎ হত্যা করব। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবিগণকে বললেন, তোমরা কি সা’দের আত্মমর্যাদাবোধের কারণে আশ্চর্যান্বিত হচ্ছ? (আল্লাহ্‌র কসম!) আমার আত্মমর্যাদাবোধ তার চেয়েও অনেক অধিক এবং আল্লাহ্‌র আত্মমর্যাদাবোধ আমার চেয়েও অনেক অধিক।

সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৫২২৪

مَحْمُودٌ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ قَالَتْ تَزَوَّجَنِي الزُّبَيْرُ وَمَا لَه“ فِي الأَرْضِ مِنْ مَالٍ وَلاَ مَمْلُوكٍ وَلاَ شَيْءٍ غَيْرَ نَاضِحٍ وَغَيْرَ فَرَسِه„ فَكُنْتُ أَعْلِفُ فَرَسَه“ وَأَسْتَقِي الْمَاءَ وَأَخْرِزُ غَرْبَه“ وَأَعْجِنُ وَلَمْ أَكُنْ أُحْسِنُ أَخْبِزُ وَكَانَ يَخْبِزُ جَارَاتٌ لِي مِنَ الأَنْصَارِ وَكُنَّ نِسْوَةَ صِدْقٍ وَكُنْتُ أَنْقُلُ النَّو‘ى مِنْ أَرْضِ الزُّبَيْرِ الَّتِي أَقْطَعَه“ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلٰى رَأْسِي وَهِيَ مِنِّي عَلٰى ثُلُثَيْ فَرْسَخٍ فَجِئْتُ يَوْمًا وَالنَّو‘ى عَلٰى رَأْسِي فَلَقِيتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَمَعَه“ نَفَرٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَدَعَانِي ثُمَّ قَالَ إِخْ إِخْ لِيَحْمِلَنِي خَلْفَه“ فَاسْتَحْيَيْتُ أَنْ أَسِيرَ مَعَ الرِّجَالِ وَذَكَرْتُ الزُّبَيْرَ وَغَيْرَتَه“ وَكَانَ أَغْيَرَ النَّاسِ فَعَرَفَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنِّي قَدْ اسْتَحْيَيْتُ فَمَضٰى فَجِئْتُ الزُّبَيْرَ فَقُلْتُ لَقِيَنِي رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلٰى رَأْسِي النَّو‘ى وَمَعَه“ نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِه„ فَأَنَاخَ لأَ÷رْكَبَ فَاسْتَحْيَيْتُ مِنْه“ وَعَرَفْتُ غَيْرَتَكَ فَقَالَ وَاللهِ لَحَمْلُكِ النَّو‘ى كَانَ أَشَدَّ عَلَيَّ مِنْ رُكُوبِكِ مَعَه“ قَالَتْ حَتّٰى أَرْسَلَ إِلَيَّ أَبُو بَكْرٍ بَعْدَ ذ‘لِكَ بِخَادِمٍ تَكْفِينِي سِيَاسَةَ الْفَرَسِ فَكَأَنَّمَا أَعْتَقَنِي.

আসমা বিন্‌তে আবূ বক্‌র (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন যুবায়র (রাঃ) আমাকে বিয়ে করলেন, তখন তার কাছে কোন ধন-সম্পদ ছিল না, এমন কি কোন স্থাবর জমি-জমা, দাস-দাসীও ছিল না; শুধুমাত্র কুয়ো থেকে পানি উত্তেলনকারী একটি উট ও একটি ঘোড়া ছিল। আমি তাঁর উট ও ঘোড়া চরাতাম, পানি পান করাতাম এবং পানি উত্তোলনকারী মশক ছিঁড়ে গেলে সেলাই করতাম, আটা পিষতাম, কিন্তু ভালো রুটি তৈরি করতে পারতাম না। তাই আনসারী প্রতিবেশী মহিলারা আমার রুটি তৈরিতে সাহায্য করত। আর তারা ছিল খুবই উত্তম নারী। রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুবায়র (রাঃ) - কে একখন্ড জমি দিয়েছিলেন। আমি সেখান থেকে মাথায় করে খেজুরের আঁটির বোঝা বহন করে আনতাম। ঐ জমির দূরত্ব ছিল প্রায় দু‘মাইল। একদিন আমি মাথায় করে খেজুরের আঁটি বহন করে নিয়ে আসছিলাম। এমন সময় রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর সাক্ষাৎ হল, তখন রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর সঙ্গে কয়েকজন আনসারও ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ডাকলেন এবং আমাকে তাঁর উটের পিঠে বসার জন্য তাঁর উটকে আখ্! আখ্! বললেন, যাতে উটটি বসে এবং আমি তাঁর পিঠে আরোহণ করতে পারি। আমি পরপুরুষের সঙ্গে একত্রে যাওয়ার ব্যাপারে লজ্জাবোধ করতে লাগলাম এবং যুবায়র (রাঃ) - এর আত্মসম্মানবোধের কথা আমার মনে পড়ল। কেননা, সে ছিল খুব আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বুঝতে পারলেন, আমি খুব লজ্জাবোধ করছি। সুতরাং তিনি এগিয়ে চললেন। আমি যুবায়ার (রাঃ) - এর কাছে পৌছালাম এবং বললাম, আমি খেজুরের আঁটির বোঝা মাথায় নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর সঙ্গে আমার দেখা হয় এবং তাঁর সঙ্গে কিছু সংখ্যক সহাবী ছিলেন। তিনি তাঁর উটকে হাঁটু গেড়ে বসালেন, যেন আমি তাতে সওয়ার হতে পারি। কিন্তু আমি তোমার আত্মসম্মানের কথা চিন্তা করে লজ্জা অনুভব করলাম। এ কথা শুনে যুবায়ের (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্‌র কসম! খেজুরের আঁটির বোঝা মাথায় বহন করা তাঁর সঙ্গে উট চড়ার চেয়ে আমার কাছে অধিক লজ্জাজনক। এরপর আবূ বক্‌র সিদ্দীক (রাঃ) ঘোড়ার দেখাশুনার জন্য আমার সাহায্যের নিমিত্ত একজন খাদিম পাঠিয়ে দিলেন। এরপরই আমি যেন মুক্ত হলাম। [৩১৫১; মুসলিম ৩৯/১৪, হাঃ ২১৮২, আহমাদ ২৭০০৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৪৪)

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন