৬৭/২৬. অধ্যায়ঃ
“এবং (তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে) তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সাথে সঙ্গত হয়েছ তার পূর্ব স্বামীর ঔরসজাত মেয়ে যারা তোমাদের তত্ত্বাবধানে আছে।” (সূরাহ আন্-নিসা ৪/২৩)
এ প্রসঙ্গে ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, ‘দুখুল’ ‘মাসীস’ ও ‘লিমাস’ শব্দ তিনটির অর্থ হচ্ছে, যৌন মিলন। যে ব্যক্তি বলে যে, স্ত্রীর কন্যা কিংবা তার সন্তানের কন্যা হারামের ব্যাপারে নিজ কন্যার সমান, সে দলীল হিসেবে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর হাদীস পেশ করে। আর তা হচ্ছেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মু হাবীবা (রাঃ)-কে বলেন, তোমরা তোমাদের কন্যাদের ও বোনদের আমার সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব করো না। একইভাবে নাতবৌ এবং পুত্রবধু বিয়ে করা হারাম। যদি কোন সৎ-কন্যা কারো অভিভাবকের আওতাধীন না থাকে তবে তাকে কি সৎ-কন্যা বলা যাবে? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার একটি সৎ কন্যাকে কারো অভিভাবকত্বে দিয়ে ছিলেন এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বীয় দৌহিত্রকে পুত্র সম্বোধন করেছেন।
সহিহ বুখারী : ৫১০৬
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৫১০৬
الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ أَبِيهِ عَنْ زَيْنَبَ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ هَلْ لَكَ فِي بِنْتِ أَبِي سُفْيَانَ قَالَ فَأَفْعَلُ مَاذَا قُلْتُ تَنْكِحُ قَالَ أَتُحِبِّينَ قُلْتُ لَسْتُ لَكَ بِمُخْلِيَةٍ وَأَحَبُّ مَنْ شَرِكَنِي فِيكَ أُخْتِي قَالَ إِنَّهَا لاَ تَحِلُّ لِي قُلْتُ بَلَغَنِي أَنَّكَ تَخْطُبُ قَالَ ابْنَةَ أُمِّ سَلَمَةَ قُلْتُ نَعَمْ قَالَ لَوْ لَمْ تَكُنْ رَبِيبَتِي مَا حَلَّتْ لِي أَرْضَعَتْنِي وَأَبَاهَا ثُوَيْبَةُ فَلاَ تَعْرِضْنَ عَلَيَّ بَنَاتِكُنَّ وَلاَ أَخَوَاتِكُنَّ وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنَا هِشَامٌ دُرَّةُ بِنْتُ أَبِي سَلَمَةَ.
উম্মু হাবীবা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি কি আবূ সুফিয়ানের কন্যার ব্যাপারে আগ্রহী? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তর দিলেন, তাকে দিয়ে আমার কী হবে? আমি বললাম, তাকে আপনি বিয়ে করবেন। তিনি প্রশ্ন করলেন, তুমি কি তা পছন্দ করবে? আমি বললাম, হাঁ। এখন তো আমি একাই আপনার স্ত্রী নই। সুতরাং আমি চাই, আমার বোনও আমার সঙ্গে কল্যাণে অংশীদার হোক। তিনি বললেন, তাকে বিয়ে করা আমার জন্য হালাল নয়। আমি বললাম, আমরা শুনেছি যে, আপনি আবূ সালামার কন্যা দুররাকে বিয়ে করার জন্য পয়গাম পাঠিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন করলেন, উম্মু সালামার কন্যা? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, সে আমার প্রতিপালিতা সৎ কন্যা যদি নাও হতো তবুও তাকে বিয়ে করা আমার জন্য হালাল হতো না। কেননা সুয়াইবিয়া আমাকে ও তার পিতাকে দুধ পান করিয়েছিলেন। সুতরাং বিয়ের জন্য তোমাদের কন্যা বা বোন কাউকে পেশ করো না। লায়স বলেন, হিশাম দুররা বিনত আবী সালামার নাম বলেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৪৭৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৩৪)