৬৫/১০৮/১.অধ্যায়ঃ
পরিচ্ছেদ নাই।
100) سُوْرَةُ وَالْعَادِيَاتِসূরাহ (১০০) : ওয়াল‘আদিয়াতوَقَالَ مُجَاهِدٌ {الْكَنُوْدُ} الْكَفُوْرُ يُقَالُ {فَأَثَرْنَ بِهٰ نَقْعًا} رَفَعْنَا بِهِ غُبَارًا {لِحُبِّ الْخَيْرِ} مِنْ أَجْلِ حُبِّ الْخَيْرِ لَشَدِيْدٌ لَبَخِيْلٌ وَيُقَالُ لِلْبَخِيْلِ شَدِيْدٌ {حُصِّلَ} مُيِّزَ.মুজাহিদ (রহ.) বলেন, الْكَنُوْدُ অকৃতজ্ঞ। فَأَثَرْنَ بِهٰ نَقْعًا -সে সময় ধূলি উৎক্ষিপ্ত করে। لِحُبِّ الْخَيْرِধন-সম্পদের প্রতি ভালবাসার কারণে। لَشَدِيْدٌ মানে অবশ্যই কৃপণ। কৃপণকে আরবী ভাষায় شَدِيْدٌ বলা হয়। حُصِّلَ আলাদা করা হবে।101) سُوْرَةُ الْقَارِعَةِসূরাহ (১০১) : আল-ক্বারি‘আহكَالْفَرَاشِ الْمَبْثُوْثِ} كَغَوْغَاءِ الْجَرَادِ يَرْكَبُ بَعْضُهُ بَعْضًا كَذَلِكَ النَّاسُ يَجُوْلُ بَعْضُهُمْ فِيْ بَعْضٍ كَالْعِهْنِ كَأَلْوَانِ الْعِهْنِ وَقَرَأَ عَبْدُ اللهِ كَالصُّوْفِ.كَالْفَرَاشِ الْمَبْثُوْثِ মানে বিক্ষিপ্ত পতঙ্গের মত। পতঙ্গ যেমন একটি আরেকটির ওপর পড়ে, ঠিক তেমনিভাবে একজন মানুষ আরেকজনের ওপর পড়বে। كَالْعِهْنِ নানা রঙের তুলার ন্যায়। ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ)كَالصُّوْفِ পড়েছেন।102) سُوْرَةُ أَلْهَاكُمْসূরাহ (১০২) : আততাকাসুরوَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ {التَّكَاثُرُ} مِنَ الْأَمْوَالِ وَالأَوْلَادِ.ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেন, التَّكَاثُرُ ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততির আধিক্য।103) سُوْرَةُ وَالْعَصْرِসূরাহ (১০৩) : আল-‘আসরوَقَالَ يَحْيَى الْعَصْرُ الدَّهْرُ أَقْسَمَ بِهِ.বলা হয় الْعَصْرُ কাল বা সময়। আল্লাহ্ তা‘আলা এখানে কালের শপথ করেছেন।104) سُوْرَةُ هُمَزَةٍসূরাহ (১০৪) : আল-হুমাযাহالْحُطَمَةُ} اسْمُ النَّارِ مِثْلُ سَقَرَ وَ لَظَى.الْحُطَمَةُ ‘লাযা’ ও ‘সাকার’ যেমন জাহান্নামের নাম, তেমনি ‘হুতামা’ও একটি জাহান্নামের নাম।105) سُوْرَةُ أَلَمْ تَرَসূরাহ (১০৫) : আলামতারা (ফীল)قَالَ مُجَاهِدٌ {أَلَمْ تَرَ} أَلَمْ تَعْلَمْ قَالَ مُجَاهِدٌ {أَبَابِيْلَ} مُتَتَابِعَةً مُجْتَمِعَةً وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ {مِنْ سِجِّيْلٍ} هِيَ سَنْكِ وَكِلْ.মুজাহিদ বলেন, أَلَمْ تَرَ অর্থাৎ তোমরা কি জাননা?, মুজাহিদ বলেন, أَبَابِيْلَ ঝাঁকে ঝাঁকে ও একত্রিত। ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেন, مِنْ سِجِّيْلٍ শব্দটি سَنْكِ ও كِلْ থেকে আরবীকৃত আরবী শব্দ (এর অর্থ হল পাথর ও মাটির ঢিল)।106) سُوْرَةُ لِإِيْلَافِ قُرَيْشٍসূরাহ (১০৬) : লি ই-লাফি (কুরাইশ)وَقَالَ مُجَاهِدٌ {لِإِيْلَافِ} أَلِفُوْا ذَلِكَ فَلَا يَشُقُّ عَلَيْهِمْ فِي الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ وَآمَنَهُمْ مِنْ كُلِّ عَدُوِّهِمْ فِيْ حَرَمِهِمْ قَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ {لِإِيْلَافِ} لِنِعْمَتِيْ عَلَى قُرَيْشٍ.মুজাহিদ (রহ.) বলেন, لِإِيْلَافِ মানে তারা এ বিষয়ে অভ্যস্ত ছিল। ফলে, শীত ও গ্রীষ্মে তা তাদের জন্য কষ্টকর হয় না। وَاٰمَنَهُمْ আল্লাহ্ তা‘আলা হারামের মাধ্যমে তাদের যাবতীয় শত্রু থেকে নিরাপত্তা দিয়েছেন। ইবনু উআয়না (রহ.) বলেন, لِإِيْلَافِ কুরাইশদের প্রতি আমার নি‘মাতের কারণে।107) سُوْرَةُ الماعونসূরাহ (১০৭) : আল-মা‘উনوقال مُجَاهِدٌ {يَدُعٌ} يَدْفَعُ عنْ حقٍّه، ويُقالُ : هُوَ مِنْ دَعَعْتُ، يُدَعُّوْنَ يُدْفَعُوْنَ. {ساهُوْنَ} لاهُوْنَ. والماعُوْنُ : المَعْرُوْف كلهُ. وقال بَعْضُ العَرَابِ : الماعُوْنُ الماءُ، وقال عِكْرِمَةُ : أعْلَاها الزّّكاةُ المَفْرُوْضَةُ وأدْناها عارِيَّةُ المَتاعِ.মুজাহিদ (রহ.) বলেন, يَدُعٌ সে তাকে হাক না দিয়ে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। বলা হয় এ শব্দটি শব্দ থেকে উদ্ভূত। يُدَعُّوْنَ তাদেরকে বাধা দেয়া হয়। ساهُوْنَ উদাসীন। الماعُوْن সর্বপ্রকার কল্যাণকর কাজ। কোন কোন আরবী ভাষা বিশেষজ্ঞ বলেন, الماعُوْنُ পানি। ‘ইকরামাহ (রাঃ) বলেন, মাউনের অন্তর্ভুক্ত সর্বোচ্চ স্তরের বিষয় হচ্ছে যাকাত প্রদান করা এবং সর্বনিম্ন পর্যায়ের বিষয় হচ্ছে গৃহস্তালির প্রয়োজনীয় ছোট খাট জিনিস ধার দেয়া।108) سورَةُ الكوثرসূরাহ (১০৮) : আল-কাউসারوقال ابنُ عَبَّاسٍ {شانِئَكَ} : عَدّوَّكَ.ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেন, شانِئَكَ তোমার শত্রু।
সহিহ বুখারী : ৪৯৬৪
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৪৯৬৪
آدَمُ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ لَمَّا عُرِجَ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى السَّمَاءِ قَالَ أَتَيْتُ عَلَى نَهَرٍ حَافَتَاهُ قِبَابُ اللُّؤْلُؤِ مُجَوَّفًا فَقُلْتُ مَا هَذَا يَا جِبْرِيْلُ قَالَ هَذَا الْكَوْثَرُ.
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আকাশের দিকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মি‘রাজ হলে তিনি বলেন, আমি একটি নহরের ধারে পৌঁছলাম, যার উভয় তীরে ফাঁপা মোতির তৈরি গম্বুজসমূহ রয়েছে। আমি বললাম, হে জিব্রীল! এটা কী? তিনি বললেন, এটাই (হাওযে) কাউছার। [৩৫৭০] (আ.প্র. ৪৫৯৫, ই.ফা. ৪৬০০)