৬৫/৭৮/১.অধ্যায়ঃ

‘‘সে দিন শিংগায় ফুঁ দেয়া হবে, তখন তোমরা দলে দলে আসবে।’’ (সূরাহ আন্নাবা ৭৮/১৮)

78) سُوْرَةُ النبأ {عَمَّ يَتَسَاءَلُوْنَসূরাহ (৭৮) : আননাবাقَالَ مُجَاهِدٌ {لَا يَرْجُوْنَ حِسَابًا} لَا يَخَافُوْنَهُ {لَا يَمْلِكُوْنَ مِنْهُ خِطَابًا} لَا يُكَلِّمُوْنَهُ إِلَّا أَنْ يَأْذَنَ لَهُمْ {صَوَابًا} حَقًّا فِي الدُّنْيَا وَعَمِلَ بِهِ {لَا يَمْلِكُوْنَ مِنْهُ خِطَابًا} وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ {ثَجاجًا} مُنْصَبًّا. {ألْفافًا} : مُلْتَفَّةً. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : {وَهَّاجًا} مُضِيئًا وَقَالَ غَيْرُهُ {غَسَّاقًا}غَسَقَتْ عَيْنُهُ وَيَغْسِقُ الْجُرْحُ يَسِيْلُ كَأَنَّ الْغَسَاقَ وَالْغَسِيْقَ وَاحِدٌ {عَطَاءًحِسَابًا} جَزَاءً كَافِيًا أَعْطَانِيْ مَا أَحْسَبَنِيْ أَيْ كَفَانِي.মুজাহিদ (রহ.) বলেন, لَا يَرْجُوْنَ حِسَابًا তারা কখনও হিসাবের ভয় করত না। ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেন, ثَجاجًا অবিরাম বর্ষণ। ألْفافًا ঘন সন্নিবিষ্ট। لَا يَمْلِكُوْنَ مِنْهُ خِطَابًا যাদেরকে আল্লাহ্ অনুমতি দিবেন, তাদের ছাড়া তাঁর কাছে আবেদন-নিবেদনের ক্ষমতা কারো থাকবে না। ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেন, وَهَّاجًا উজ্জ্বল, ইবনু ‘আববাস ব্যতীত অন্যরা বলেন, غَسَّاقًا যেমন আরবরা বলে, চোখে পিষ্টি হয়েছে এবং ক্ষত হতে পূঁজ চুয়ে চুয়ে পড়ছে। الْغَسَاقَ এবং الْغَسِيْقَ একই অর্থ বহন করে। عَطَاءً حِسَابًا যথোচিত দান। যেমন বলা হয়, أَعْطَانِيْ مَا أَحْسَبَنِيْ অর্থাৎ সে আমাকে যথেষ্ট দিয়েছে।

সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৪৯৩৫

مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا أَبُوْ مُعَاوِيَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِيْ صَالِحٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا بَيْنَ النَّفْخَتَيْنِ أَرْبَعُوْنَ قَالَ أَرْبَعُوْنَ يَوْمًا قَالَ أَبَيْتُ قَالَ أَرْبَعُوْنَ شَهْرًا قَالَ أَبَيْتُ قَالَ أَرْبَعُوْنَ سَنَةً قَالَ أَبَيْتُ قَالَ ثُمَّ يُنْزِلُ اللهُ مِنْ السَّمَاءِ مَاءً فَيَنْبُتُوْنَ كَمَا يَنْبُتُ الْبَقْلُ لَيْسَ مِنَ الإِنْسَانِ شَيْءٌ إِلَّا يَبْلَى إِلَّا عَظْمًا وَاحِدًا وَهُوَ عَجْبُ الذَّنَبِ وَمِنْهُ يُرَكَّبُ الْخَلْقُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, প্রথম ও দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুৎকারের মধ্যে চল্লিশের ব্যবধান হবে। [আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)]-এর জনৈক ছাত্র বললেন, চল্লিশ বলে-চল্লিশ দিন বোঝানো হয়েছে কি? তিনি বলেন, আমি অস্বীকার করলাম। তারপর পুনরায় তিনি জিজ্ঞেস করলেন, চল্লিশ বলে চল্লিশ মাস বোঝানো হয়েছে কি? তিনি বলেন, এবারও অস্বীকার করলাম। তারপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, চল্লিশ বছর বোঝানো হয়েছে কি? তিনি বলেন, এবারও আমি অস্বীকার করলাম। এরপর আল্লাহ্ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করবেন। এতে মৃতরা জীবিত হয়ে উঠবে, যেমন বৃষ্টির পানিতে উদ্ভিদরাজি উৎপন্ন হয়ে থাকে। তখন শিরদাঁড়ার হাড় ছাড়া মানুষের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পচে গলে শেষ হয়ে যাবে। ক্বিয়ামাতের দিন ঐ হাড়খণ্ড থেকেই আবার মানুষকে সৃষ্টি করা হবে। [৪৮১৪] (আ.প্র. ৪৫৬৬, ই.ফা. ৪৫৭১)

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন