৬৫/৩৬/১.অধ্যায়ঃ
আল্লাহর বাণীঃ আর সূর্য নিজ গন্তব্য স্থানের দিকে চলতে থাকে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ। (সূরাহ ইয়াসীন ৩৬/৩৮)
সূরাহ (৩৫) : মালায়িকাহ (ফাতির)قَالَ مُجَاهِدٌ {الْقِطْمِيْرُ} لِفَافَةُ النَّوَاةِ {مُثْقَلَةٌ} مُثَقَّلَةٌ وَقَالَ غَيْرُهُ {الْحَرُوْرُ} بِالنَّهَارِ مَعَ الشَّمْسِ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ الْحَرُوْرُ بِاللَّيْلِ وَالسَّمُوْمُ بِالنَّهَارِ {وَغَرَابِيْبُ أَشَدُّ} سَوَادٍ الْغِرْبِيْبُ الشَّدِيْدُ السَّوَادِ.মুজাহিদ (রহ.) বলেন, الْقِطْمِيْرُ অর্থ-খেজুরের অাঁটির পর্দা। مُثْقَلَةٌ ভারাক্রান্ত ব্যক্তি। অন্যরা বলেছেন, (আল-হারূর- অর্থ-দিবাভাগে সূর্যের উত্তাপ। ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেছেন, রাতের উত্তাপকে الْحَرُوْرُ এবং দিনের উত্তাপকে السَّمُوْمُ বলা হয়। وَغَرَابِيْبُ أَشَدُّ অধিক কালো।সূরাহ (৩৬) : ইয়াসীনوَقَالَ مُجَاهِدٌ {فَعَزَّزْنَا} شَدَّدْنَا {يَا حَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِ} كَانَ حَسْرَةً عَلَيْهِمْ اسْتِهْزَاؤُهُمْ بِالرُّسُلِ {أَنْتُدْرِكَالْقَمَرَ} لَا يَسْتُرُ ضَوْءُ أَحَدِهِمَا ضَوْءَ الآخَرِ وَلَا يَنْبَغِيْ لَهُمَا ذَلِكَ {سَابِقُ النَّهَارِ} يَتَطَالَبَانِ حَثِيْثَيْنِ {نَسْلَخُ} نُخْرِجُ أَحَدَهُمَا مِنَ الْآخَرِ وَيَجْرِيْ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا {مِنْ مِثْلِهِ} مِنَ الْأَنْعَامِ {فَكِهُوْنَ} مُعْجَبُوْنَ {جُنْدٌ مُحْضَرُوْنَ} عِنْدَ الْحِسَابِ وَيُذْكَرُ عَنْ عِكْرِمَةَ الْمَشْحُوْنِ الْمُوْقَرُوَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ {طَائِرُكُمْ}مَصَائِبُكُمْ {يَنْسِلُوْنَ} يَخْرُجُوْنَ {مَرْقَدِنَا} مَخْرَجِنَا {أَحْصَيْنَاهُ} حَفِظْنَاهُ {مَكَانَتُهُمْ} وَمَكَانُهُمْ وَاحِدٌ.মুজাহিদ (রহ.) বলেন, فَعَزَّزْنَا আমি অধিক শক্তি দিলাম। يَا حَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِ দুনিয়াতে রাসূলদের সঙ্গে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করার ফলে আখিরাতে তাদের অবস্থা দুঃখময় হবে। أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ একটির আলো অন্যটির আলোর উপর কোন প্রভাব ফেলতে পারে না এবং চন্দ্র ও সূর্যের জন্য তা সম্ভব নয়। سَابِقُ النَّهَارِ রাত্র এবং দিন উভয়ই একে অপরের পেছনে অবিরাম গতিতে চলছে। نَسْلَخُ (রাত-দিন) উভয়ের মধ্যে একটিকে আমি অপরটি থেকে সরিয়ে দিই এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে সাঁতার কাটে। مِنْ مِثْلِهِ অনুরূপ চতুষ্পদ জন্তু। فَكِهُوْنَ আনন্দিত। جُنْدٌ مُحْضَرُوْنَ হিসাবের সময় তাদের উপস্থিত করা হবে তাদের বাহিনীরূপে। ইকরামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, الْمَشْحُوْنِবোঝাইকৃত।ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেন, طَائِرُكُمْ তোমাদের বিপদাপদ। يَنْسِلُوْنَ তারা বেরিয়ে আসবে। مَرْقَدِنَا আমাদের বের হবার স্থান। أَحْصَيْنَاهُ হিফাযাত করেছি আমি প্রতিটি বস্তুকে। مَكَانَتُهُمْ এবং مَكَانُهُمْএকই ; তাদের স্থানে।
সহিহ বুখারী : ৪৮০৩
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৪৮০৩
الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا وَكِيْعٌ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ إِبْرَاهِيْمَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَبِيْ ذَرٍّ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ قَوْلِهِ تَعَالَى {وَالشَّمْسُ تَجْرِيْ لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَا} قَالَ مُسْتَقَرُّهَا تَحْتَ الْعَرْشِ.
আবূ যার গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে আল্লাহ্র বাণী ঃ وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেছেন, সূর্যের গন্তব্যস্থল আরশের নিচে। [৩১৯৯] (আ.প্র. ৪৪৩৯, ই.ফা. ৪৪৪০)