৬৫/৪/১. অধ্যায়ঃ
‘‘আর যদি তোমরা ভয় কর যে, ইয়াতীম মেয়েদের ব্যাপারে সুবিচার করতে পারবে না, তবে বিয়ে করে নাও অন্য নারীদের মধ্য থেকে যাকে তোমাদের মনঃপুত হয়।’’ (সূরাহ আন-নিসা ৪/৩)
সূরাহ (৪) : আন-নিসাقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : {يَسْتَنْكِفُ} يَسْتَكْبِرُ. {قِوَامًا} : قِوَامُكُمْ مِنْ مَعَايِشِكُمْ. {لَهُنَّ سَبِيْلًا} يَعْنِي الرَّجْمَ لِلثَّيِّبِ، وَالْجَلْدَ لِلْبِكْرِ. وَقَالَ غَيْرُهُ : {مَثْنَى وَثُلَاثَ وَرُبَاع} يَعْنِي اثْنَتَيْنِ وَثَلَاثًا وَأَرْبَعًا وَلَا تُجَاوِزُ الْعَرَبُ رُبَاعَ.ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেন, يَسْتَنْكِفُ অহঙ্কার করে, قِوَامًا -তোমাদের জীবিকার্জনের মাধ্যম। لَهُنَّ سَبِيْلًا -সাইয়েবা বা বিবাহিতার জন্য প্রস্তর নিক্ষেপ (রজম) আর কুমারীর জন্য বেত্রাঘাত। তিনি ব্যতীত অন্যান্য তাফসীরকারক বলেন, مَثْنَى وَثُلَاثَ وَرُبَاع অর্থাৎ দুই, তিন এবং চার; আরবগণ رُبَاعَ শব্দকে غير منصرف বা অপরিবর্তনশীল শব্দ মনে করে।
সহিহ বুখারী : ৪৫৭৪
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৪৫৭৪
عَبْدُ الْعَزِيْزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنْ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى : {وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لَّا تُقْسِطُوْا فِي الْيَتَامٰى} فَقَالَتْ يَا ابْنَ أُخْتِيْ هَذِهِ الْيَتِيْمَةُ تَكُوْنُ فِيْ حَجْرِ وَلِيِّهَا تَشْرَكُهُ فِيْ مَالِهِ وَيُعْجِبُهُ مَالُهَا وَجَمَالُهَا فَيُرِيْدُ وَلِيُّهَا أَنْ يَتَزَوَّجَهَا بِغَيْرِ أَنْ يُقْسِطَ فِيْ صَدَاقِهَا فَيُعْطِيَهَا مِثْلَ مَا يُعْطِيْهَا غَيْرُهُ فَنُهُوْا عَنْ أَنْ يَنْكِحُوْهُنَّ إِلَّا أَنْ يُقْسِطُوْا لَهُنَّ وَيَبْلُغُوْا لَهُنَّ أَعْلَى سُنَّتِهِنَّ فِي الصَّدَاقِ فَأُمِرُوْا أَنْ يَنْكِحُوْا مَا طَابَ لَهُمْ مِنْ النِّسَاءِ سِوَاهُنَّ قَالَ عُرْوَةُ قَالَتْ عَائِشَةُ وَإِنَّ النَّاسَ اسْتَفْتَوْا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ هَذِهِ الْآيَةِ فَأَنْزَلَ اللهُ : {وَيَسْتَفْتُوْنَكَ فِي النِّسَآءِ} قَالَتْ عَائِشَةُ : وَقَوْلُ اللهِ تَعَالَى فِيْ آيَةٍ أُخْرَى : {وَتَرْغَبُوْنَ أَنْ تَنْكِحُوْهُنَّ} رَغْبَةُ أَحَدِكُمْ عَنْ يَتِيْمَتِهِ حِيْنَ تَكُوْنُ قَلِيْلَةَ الْمَالِ وَالْجَمَالِ قَالَتْ فَنُهُوْا أَنْ يَنْكِحُوْا عَنْ مَنْ رَغِبُوْا فِيْ مَالِهِ وَجَمَالِهِ فِيْ يَتَامَى النِّسَاءِ إِلَّا بِالْقِسْطِ مِنْ أَجْلِ رَغْبَتِهِمْ عَنْهُنَّ إِذَا كُنَّ قَلِيْلَاتِ الْمَالِ وَالْجَمَالِ.
‘উরওয়াহ ইবনু যুবায়র (রহ.) হতে বর্ণিতঃ
বর্ণিত। তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন মহান আল্লাহ্র বাণী وَإِنْخِفْتُمْأَنْلاَتُقْسِطُوافِيالْيَتَامَى সম্পর্কে। তিনি উত্তরে বললেন, হে ভাগ্নে! সে হচ্ছে পিতৃহীনা বালিকা, অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে থাকে এবং তার সম্পত্তিতে অংশীদার হয় এবং তার রূপ ও সম্পদ তাকে (অভিভাবককে) আকৃষ্ট করে। এরপর সেই অভিভাবক উপযুক্ত মাহ্র না দিয়ে তাকে বিবাহ করতে চায়। তদুপরি অন্য ব্যক্তি যে পরিমাণ মাহ্র দেয় তা না দিয়ে এবং তার প্রতি ন্যায়বিচার না করে তাকে বিয়ে করতে চায়। এরপর তাদের পারিবারিক ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ মাহ্র এবং ন্যায় ও সমুচিত মাহ্র প্রদান ব্যতীত তাদের বিয়ে করতে নিষেধ করা হয়েছে এবং তদ্ব্যতীত যে সকল মহিলা পছন্দ হয় তাদেরকে বিয়ে করতে অনুমতি দেয়া হয়েছে। ‘উরওয়া (রহ.) বলেন যে, ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেছেন, এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর লোকেরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে মহিলাদের ব্যাপারে জানতে চাইলে আল্লাহ তা‘আলা অবতীর্ণ করেন وَيَسْتَفْتُونَكَفِيالنِّسَاءِ “এবং লোকেরা আপনার কাছে নারীদের বিষয়ে জানতে চান......”। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্র বাণী অন্য এক আয়াতেতোমরা তাদেরকে বিয়ে করতে আগ্রহ প্রকাশ কর। ইয়াতীম বালিকার ধন-সম্পদ কম হলে এবং সুন্দরী না হলে তাকে বিবাহ করতে আগ্রহ প্রকাশ করো না। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, তাই ইয়াতীম বালিকাদের মাল ও সৌন্দর্যের আকর্ষণে বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে ন্যায়বিচার করলে ভিন্ন কথা। কেননা তারা সম্পদের অধিকারী না হলে এবং সুন্দরী না হলে তাদেরকেও বিবাহ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে না। [২৪৯৪] (আ.প্র. ৪২১৩, ই.ফা. ৪২১৬)