৬৪/৮৪.অধ্যায়ঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত
মহান আল্লাহ্র বাণীঃ নিশ্চয়ই আপনিও মরণশীল আর তারাও মরণশীল। অতঃপর ক্বিয়ামাতের দিনে তোমরা উভয় দলই নিজ নিজ মোকাদ্দমা স্বীয় রবের সামনে পেশ করবে। (সূরাহ আয্-যুমার ৩৯/৩০ - ৩১)
সহিহ বুখারী : ৪৪৫৮
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৪৪৫৮
عَلِيٌّ حَدَّثَنَا يَحْيَى وَزَادَ قَالَتْ عَائِشَةُ لَدَدْنَاهُ فِيْ مَرَضِهِ فَجَعَلَ يُشِيْرُ إِلَيْنَا أَنْ لَا تَلُدُّوْنِيْ فَقُلْنَا كَرَاهِيَةُ الْمَرِيْضِ لِلدَّوَاءِ فَلَمَّا أَفَاقَ قَالَ أَلَمْ أَنْهَكُمْ أَنْ تَلُدُّوْنِيْ قُلْنَا كَرَاهِيَةَ الْمَرِيْضِ لِلدَّوَاءِ فَقَالَ لَا يَبْقَى أَحَدٌ فِي الْبَيْتِ إِلَّا لُدَّ وَأَنَا أَنْظُرُ إِلَّا الْعَبَّاسَ فَإِنَّهُ لَمْ يَشْهَدْكُمْ رَوَاهُ ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর রোগাক্রান্ত অবস্থায় তাঁর মুখে ঔষধ ঢেলে দিলাম। তিনি ইশারায় আমাদেরকে তাঁর মুখে ঔষধ ঢালতে নিষেধ করলেন। আমরা বললাম, এটা ঔষধের প্রতি রোগীদের স্বাভাবিক বিরক্তিবোধ। যখন তিনি সুস্থবোধ করলেন তখন তিনি বললেন, আমি কি তোমাদের ওষুধ সেবন করাতে নিষেধ করিনি? আমরা বললাম, আমরা মনে করেছিলাম এটা ঔষধের প্রতি রোগীর সাধারণ বিরক্তিভাব। তখন তিনি বললেন, 'আব্বাস ব্যতীত বাড়ির প্রত্যেকের মুখে ঔষধ ঢাল তা আমি দেখি। [৯৮] কেননা সে তোমাদের মাঝে উপস্থিত নেই। এ হাদীস ইবনু আবূ যিনাদ …... 'আয়িশাহ (রাঃ) থেকে এবং তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন। [৫৭১২, ৬৮৮৬, ৬৮৯৭; মুসলিম ৩৯/২৭, হাঃ ২২১৩, আহমাদ ২৪৩১৭] (আ.প্র. ৪১০১, ই.ফা. ৪১০৪)
[৯৮] প্রথমতঃ এখানে অতি সামান্য ব্যাপারেও কিসাসের বৈধতা প্রমাণিত হয়। দ্বিতীয়তঃ নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুস্থ ও অসুস্থ সর্বাবস্থাতেই তার নির্দেশ পালনের অপরিহার্যতা সমভাবে প্রযোজ্য।