৬৪/৮৪.অধ্যায়ঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর রোগ ও তাঁর ওফাত
মহান আল্লাহ্র বাণীঃ নিশ্চয়ই আপনিও মরণশীল আর তারাও মরণশীল। অতঃপর ক্বিয়ামাতের দিনে তোমরা উভয় দলই নিজ নিজ মোকাদ্দমা স্বীয় রবের সামনে পেশ করবে। (সূরাহ আয্-যুমার ৩৯/৩০ - ৩১)
সহিহ বুখারী : ৪৪৫০
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৪৪৫০
إِسْمَاعِيْلُ قَالَ حَدَّثَنِيْ سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ أَخْبَرَنِيْ أَبِيْ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَسْأَلُ فِيْ مَرَضِهِ الَّذِيْ مَاتَ فِيْهِ يَقُوْلُ أَيْنَ أَنَا غَدًا أَيْنَ أَنَا غَدًا يُرِيْدُ يَوْمَ عَائِشَةَ فَأَذِنَ لَهُ أَزْوَاجُهُ يَكُوْنُ حَيْثُ شَاءَ فَكَانَ فِيْ بَيْتِ عَائِشَةَ حَتَّى مَاتَ عِنْدَهَا قَالَتْ عَائِشَةُ فَمَاتَ فِي الْيَوْمِ الَّذِيْ كَانَ يَدُوْرُ عَلَيَّ فِيْهِ فِيْ بَيْتِيْ فَقَبَضَهُ اللهُ وَإِنَّ رَأْسَهُ لَبَيْنَ نَحْرِيْ وَسَحْرِيْ وَخَالَطَ رِيْقُهُ رِيْقِيْ ثُمَّ قَالَتْ دَخَلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِيْ بَكْرٍ وَمَعَهُ سِوَاكٌ يَسْتَنُّ بِهِ فَنَظَرَ إِلَيْهِ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَهُ أَعْطِنِيْ هَذَا السِّوَاكَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ فَأَعْطَانِيْهِ فَقَضِمْتُهُ ثُمَّ مَضَغْتُهُ فَأَعْطَيْتُهُ رَسُوْلَ اللهِ فَاسْتَنَّ بِهِ وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى صَدْرِي.
আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
মৃত্যু রোগকালীন অবস্থায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করতেন, আমি আগামীকাল কার ঘরে থাকব। আগামীকাল কার ঘরে? এর দ্বারা তিনি 'আয়িশাহ (রাঃ)-এর ঘরের পালার ইচ্ছা পোষণ করতেন। সহধর্মিণীগণ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যার ঘরে ইচ্ছা অবস্থান করার অনুমতি দিলেন। তখন নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) 'আয়িশাহ (রাঃ)-এর ঘরে ছিলেন। এমনকি তাঁর ঘরেই তিনি ইন্তিকাল করেন। 'আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)আমার জন্য নির্ধারিত পালার দিন আমার ঘরে ইন্তিকাল করেন এবং আল্লাহ তাঁর রূহ কবজ করেন এ অবস্থায় যে, তাঁর মাথা আমার গণ্ড ও সীনার মধ্যে ছিল এবং আমার থুথু (তাঁর থুথুর সঙ্গে) মিশ্রিত হয়ে যায়। তারপর তিনি বলেন, 'আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) তাঁর ঘরে প্রবেশ করল আর তার হাতে একটি মিসওয়াক ছিল যা দিয়ে সে তার দাঁত মাজছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিকে তাকালেন। আমি তখন তাকে বললাম, হে 'আবদুর রহমান! এই মিসওয়াকটি আমাকে দাও; তখন সে আমাকে তা দিয়ে দিল। আমি সেটি চিবিয়ে নরম করে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দিলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলেন, তিনি তখন আমার বুকে হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলেন। [৮৯০;মুসলিম ৪৪/১৩, হাঃ ২৪৪৩] (আ.প্র. ৪০৯৭, ই.ফা. ৪১০০)