৬৪/৩৬. অধ্যায়ঃ
হুদাইবিয়াহ্র যুদ্ধ।
মহান আল্লাহ্র বাণীঃ মু’মিনগণ যখন গাছের তলে আপনার নিকট বাই’আত গ্রহন করল তখন আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন……। (সূরাহ্হ ফাত্হ ৪৮/১৮)
সহিহ বুখারী : ৪১৮৫
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৪১৮৫
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عُبَيْدَ اللهِ بْنَ عَبْدِ اللهِ وَسَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللهِ أَخْبَرَاهُ أَنَّهُمَا كَلَّمَا عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ ح و حَدَّثَنَا مُوْسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ بَعْضَ بَنِيْ عَبْدِ اللهِ قَالَ لَهُ لَوْ أَقَمْتَ الْعَامَ فَإِنِّيْ أَخَافُ أَنْ لَا تَصِلَ إِلَى الْبَيْتِ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ فَحَالَ كُفَّارُ قُرَيْشٍ دُوْنَ الْبَيْتِ فَنَحَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم هَدَايَاهُ وَحَلَقَ وَقَصَّرَ أَصْحَابُهُ وَقَالَ أُشْهِدُكُمْ أَنِّيْ أَوْجَبْتُ عُمْرَةً فَإِنْ خُلِّيَ بَيْنِيْ وَبَيْنَ الْبَيْتِ طُفْتُ وَإِنْ حِيْلَ بَيْنِيْ وَبَيْنَ الْبَيْتِ صَنَعْتُ كَمَا صَنَعَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَسَارَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ مَا أُرَى شَأْنَهُمَا إِلَّا وَاحِدًا أُشْهِدُكُمْ أَنِّيْ قَدْ أَوْجَبْتُ حَجَّةً مَعَ عُمْرَتِيْ فَطَافَ طَوَافًا وَاحِدًا وَسَعْيًا وَاحِدًا حَتَّى حَلَّ مِنْهُمَا جَمِيْعًا.
নাফি’ (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর কোন ছেলে তাঁকে [‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে] বললেন, এ বছর আপনি মক্কায় যাওয়া স্থগিত রাখলে ভাল হত। কারণ আমি আশঙ্কা করছি যে, আপনি বাইতুল্লাহ্য় যেতে পারবেন না। তখন ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে রওয়ানা হয়েছিলাম। পথে কুরাইশ কাফিররা বাইতুল্লাহ্য় যেতে বাধা দিলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কুরবানীর পশুগুলো যবহ করে মাথা কামিয়ে ফেলেন। সাহাবীগণ চুল ছাঁটেন। এরপর তিনি বললেন আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, আমার জন্য ‘উমরাহ করা আমি ওয়াজিব করে নিয়েছি। যদি আমার ও বাইতুল্লাহ্র মধ্যে বাধা সৃষ্টি করা না হয় তাহলে আমি বাইতুল্লাহ্র তাওয়াফ করব। আর যদি আমার ও বাইতুল্লাহ্র মাঝে বাধা সৃষ্টি করা হয় তাহলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা করেছেন আমি তাই করব। এরপর তিনি কিছুক্ষণ পথ চলে বললেন, আমি হাজ্জ এবং ‘উমরাহ্ একই মনে করি। আমি তোমাদেরকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমি আমার হাজ্জকেও ‘উমরাহ্র সঙ্গে আমার জন্য ওয়াজিব করে নিয়েছি। এরপর তিনি উভয়ের জন্য একই তওয়াফ এবং একই সা’য়ী করলেন এবং হাজ্জ ও ‘উমরাহ্র ইহরাম খুলে ফেললেন। [১৬৩৯] (আ.প্র. ৩৮৬৬, ই.ফা. ৩৮৬৯)