৬৪/৩৩. অধ্যায়ঃ
বানূ মুসতালিকের যুদ্ধ। বানূ মুসতালিক খুযা’আর একটি শাখা গোত্র। এ যুদ্ধকে মুরায়সীর যুদ্ধও বলা হয়
ইবনু ইসহাক (রহঃ) বলেছেন, এ যুদ্ধ ৬ষ্ঠ হিজরী সনে সংঘটিত হয়েছিল। মূসা ইবনু ‘উকবাহ (রহঃ) বলেছেন, ৪র্থ হিজরী সনে। নুমান ইবনু রাশিদ (রহঃ) যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, মুরাইসীর যুদ্ধে ইফ্কের ঘটনা ঘটেছিল।
সহিহ বুখারী : ৪১৩৯
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৪১৩৯
مَحْمُوْدٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِيْ سَلَمَةَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ غَزَوْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم غَزْوَةَ نَجْدٍ فَلَمَّا أَدْرَكَتْهُ الْقَائِلَةُ وَهُوَ فِيْ وَادٍ كَثِيْرِ الْعِضَاهِ فَنَزَلَ تَحْتَ شَجَرَةٍ وَاسْتَظَلَّ بِهَا وَعَلَّقَ سَيْفَهُ فَتَفَرَّقَ النَّاسُ فِي الشَّجَرِ يَسْتَظِلُّوْنَ وَبَيْنَا نَحْنُ كَذَلِكَ إِذْ دَعَانَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَجِئْنَا فَإِذَا أَعْرَابِيٌّ قَاعِدٌ بَيْنَ يَدَيْهِ فَقَالَ إِنَّ هَذَا أَتَانِيْ وَأَنَا نَائِمٌ فَاخْتَرَطَ سَيْفِيْ فَاسْتَيْقَظْتُ وَهُوَ قَائِمٌ عَلَى رَأْسِيْ مُخْتَرِطٌ صَلْتًا قَالَ مَنْ يَمْنَعُكَ مِنِّيْ قُلْتُ اللهُ فَشَامَهُ ثُمَّ قَعَدَ فَهُوَ هَذَا قَالَ وَلَمْ يُعَاقِبْهُ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাজদের যুদ্ধে আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে যোগদান করেছি। কাঁটা গাছে ভরা উপত্যকায় প্রচন্ড গরম লাগলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি গাছের নিচে অবতরণ করে তার ছায়ায় বিশ্রাম নিলেন এবং তাঁর তরবারীখানা লটকিয়ে রাখেন। সাহাবীগণ সকলেই গাছের ছায়ায় আশ্রয় নেয়ার জন্য ছড়িয়ে পড়লেন। আমরা এ অবস্থায় ছিলাম, হঠাৎ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের ডাকলেন। আমরা তাঁর নিকট গিয়ে দেখলাম, এক গ্রাম্য আরব তাঁর সামনে বসে আছে। তিনি বললেন, আমি ঘুমিয়েছিলাম। এমন সময় সে আমার কাছে এসে আমার তরবারীখানা নিয়ে উঁচিয়ে ধরল। এত আমি জেগে গিয়ে দেখলাম, সে খোলা তরবারি হাতে আমার মাথার কাছে দাঁড়িয়ে বলছে, এখন তোমাকে আমার থেকে কে রক্ষা করবে? আমি বললাম, আল্লাহ। এতে সে তরবারিখানা খাপে ঢুকিয়ে বসে পড়ল। এ-ই সেই লোক। বর্ণনাকারী জাবির (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে কোন শাস্তি দিলেন না। [২৯১০] (আ.প্র. ৩৮২৭, ই.ফা. . ৩৮৩০)