৬৪/৩২. অধ্যায়ঃ
যাতুর রিকা-র যুদ্ধ
গাতফানের শাখা গোত্র বনু সালাবার অন্তর্ভূক্ত খাসাফার বংশধর মুহারিব গোত্রের সঙ্গে এ যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাখলা নামক স্থানে অবতরণ করেছিলেন। খায়বার যুদ্ধের পর এ যুদ্ধ হয়েছিল। কেননা আবূ মূসা (রাঃ) খায়বার যুদ্ধের পর (হাবশা থেকে) এসেছিলেন।
সহিহ বুখারী : ৪১৩৫
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৪১৩৫
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি নাজ্দ এলাকায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে যদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যুদ্ধ শেষে রসূলল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রত্যাবর্তন করলে তিনিও তার সঙ্গে প্রত্যাবর্তন করলেন। পথিমধ্যে কাঁটা গাছ ভরা এক উপত্যকায় মধ্যহ্নের সময় তাঁদের ভীষণ গরম অনুভূত হল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এখানেই অবতরণ করলেন। লোকজন ছায়াদার বৃক্ষের খোঁজে কাঁটাবনের মাঝে ছড়িয়ে পড়ল। এদিকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি বাবলা গাছের নিচে অবস্থান করে তরবারিখানা গাছে ঝুলিয়ে রাখলেন। জাবির (রাঃ) বলেন, সবেমাত্র আমরা নিদ্রা গিয়েছি। এমন সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে ডাকতে লাগলেন। আমরা তাঁর কাছে উপস্থিত হলাম। তখন তাঁর কাছে এক বেদুঈন বসা ছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি নিদ্রিত ছিলাম, এমতাবস্থায় সে আমার তরবারিখানা হস্তগত করে কোষমুক্ত অবস্থায় তা আমার উপর উঁচিয়ে ধরলে আমি জেগে যাই। তখন সে আমাকে বলল, এখন তোমাকে আমার হাত থেকে কে বাঁচাবে? আমি বললাম, আল্লাহ! দেখ না, এ-ই তো সে বসে আছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে কোন প্রকার শাস্তি দিলেন না। [২৯১০; মুসলিম ৬/৫৭, হাঃ ৮৪৩] (আ.প্র. ৩৮২৫, ই.ফা. ৩৮২৮)