৬৪/৩. অধ্যায়ঃ
বদর যুদ্ধের ঘটনা ও মহান আল্লাহ্র বাণী
মহান আল্লাহ্র বাণীঃ “আর এ তো সুনিশ্চিত যে, আল্লাহ বাদ্র যুদ্ধে তোমাদের সাহায্য করেছিলেন, অথচ তোমরা ছিলে দুর্বল, সুতরাং তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর, যেন তোমরা শুকরগুজারী করতে পার। স্মরণ কর, তুমি মু’মিনদের বলেছিলেঃ তোমাদের জন্য একি যথেষ্ট নয় যে, আসমান হতে অবতীর্ণ হওয়া তিন হাজার মালায়িকাহ দিয়ে তোমাদের রব তোমাদের সাহায্য করবেন? হ্যাঁ, অবশ্যই। যদি তোমরা ধৈর্যধারণ কর এবং তাক্ওয়া অবলম্বন কর; তবে কাফির বাহিনী অতর্কিতে তোমাদের উপর আক্রমণ করলে আল্লাহ পাঁচ হাজার চিহ্নিত মালায়িকাহ দিয়ে তোমাদের সাহায্য করবেন। এটা তো আল্লাহ শুধু এজন্য করেছেন যেন তোমাদের জন্য সুসংবাদ হয়, যাতে তোমাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। আর সাহায্য তো শুধুমাত্র পরাক্রমশালী মহাবিজ্ঞ আল্লাহ্র তরফ হতে হয়ে থাকে। যাতে ধ্বংস করে দেন কাফিরদের কোন দলকে অথবা লাঞ্ছিত করে দেন তাদের, যেন তারা নিরাশ হয়ে ফিরে যায়।” (সূরা আলে ‘ইমরান ৩/১২৩-১২৭)ওয়াহশী (রাঃ) বলেন, বাদ্র যুদ্ধের দিন হাম্যাহ (রাঃ) তু’আয়মা ইব্নু আদী ইব্নু খিয়ারকে হত্যা করেছিলেন। আল্লাহ্র বানীঃ “স্মরণ কর, আল্লাহ্ তোমাদের সঙ্গে ওয়াদা করেছিলেন যে, দু’টি দলের একটি তোমাদের করতলগত হবে।” (সূরা আনফাল ৮/৭)
সহিহ বুখারী : ৩৯৫১
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৩৯৫১
يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ كَعْبٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ كَعْبٍ قَالَ سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ يَقُوْلُ لَمْ أَتَخَلَّفْ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ غَزْوَةٍ غَزَاهَا إِلَّا فِيْ غَزْوَةِ تَبُوْكَ غَيْرَ أَنِّيْ تَخَلَّفْتُ عَنْ غَزْوَةِ بَدْرٍ وَلَمْ يُعَاتَبْ أَحَدٌ تَخَلَّفَ عَنْهَا إِنَّمَا خَرَجَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُرِيْدُ عِيْرَ قُرَيْشٍ حَتَّى جَمَعَ اللهُ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ عَدُوِّهِمْ عَلَى غَيْرِ مِيْعَادٍ
‘আবদুল্লাহ ইব্নু কা’ব (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি কা’ব ইব্নু মালিক (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সব যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন তার মধ্যে তাবূকের যুদ্ধ ব্যতীত অন্য কোন যুদ্ধে আমি অনুপস্থিত ছিলাম না। তবে বদর যুদ্ধে আমি অনুপস্থিত ছিলাম। কিন্তু বদর যুদ্ধে যারা যোগদান করেননি তাদেরকে কোন প্রকার দোষারোপ করা হয়নি। আসলে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরাইশ কাফিলার উদ্দেশ্যেই যাত্রা করেছিলেন। কিন্তু পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা ব্যতীতই আল্লাহ্ তা’আলা তাদের (মুসলিমদের) সঙ্গে তাদের দুশমনদের মুকাবালা করিয়ে দেন। [২৭৫৭] (আ.প্র. ৩৬৬০, ই.ফা. ৩৬৬৩)