৬৩/৪৬. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীবর্গের মদীনা উপস্থিতি
সহিহ বুখারী : ৩৯৩২
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৩৯৩২
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ ح و حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُوْرٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ قَالَ سَمِعْتُ أَبِيْ يُحَدِّثُ حَدَّثَنَا أَبُو التَّيَّاحِ يَزِيْدُ بْنُ حُمَيْدٍ الضُّبَعِيُّ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ لَمَّا قَدِمَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِيْنَةَ نَزَلَ فِيْ عُلْوِ الْمَدِيْنَةِ فِيْ حَيٍّ يُقَالُ لَهُمْ بَنُوْ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ قَالَ فَأَقَامَ فِيْهِمْ أَرْبَعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى مَلَا بَنِي النَّجَّارِ قَالَ فَجَاءُوْا مُتَقَلِّدِيْ سُيُوفِهِمْ قَالَ وَكَأَنِّيْ أَنْظُرُ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى رَاحِلَتِهِ وَأَبُوْ بَكْرٍ رِدْفَهُ وَمَلَا بَنِي النَّجَّارِ حَوْلَهُ حَتَّى أَلْقَى بِفِنَاءِ أَبِيْ أَيُّوْبَ قَالَ فَكَانَ يُصَلِّيْ حَيْثُ أَدْرَكَتْهُ الصَّلَاةُ وَيُصَلِّيْ فِيْ مَرَابِضِ الْغَنَمِ قَالَ ثُمَّ إِنَّهُ أَمَرَ بِبِنَاءِ الْمَسْجِدِ فَأَرْسَلَ إِلَى مَلَا بَنِي النَّجَّارِ فَجَاءُوْا فَقَالَ يَا بَنِي النَّجَّارِ ثَامِنُوْنِيْ حَائِطَكُمْ هَذَا فَقَالُوْا لَا وَاللهِ لَا نَطْلُبُ ثَمَنَهُ إِلَّا إِلَى اللهِ قَالَ فَكَانَ فِيْهِ مَا أَقُوْلُ لَكُمْ كَانَتْ فِيْهِ قُبُوْرُ الْمُشْرِكِيْنَ وَكَانَتْ فِيْهِ خِرَبٌ وَكَانَ فِيْهِ نَخْلٌ فَأَمَرَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِقُبُوْرِ الْمُشْرِكِيْنَ فَنُبِشَتْ وَبِالْخِرَبِ فَسُوِّيَتْ وَبِالنَّخْلِ فَقُطِعَ قَالَ فَصَفُّوْا النَّخْلَ قِبْلَةَ الْمَسْجِدِ قَالَ وَجَعَلُوْا عِضَادَتَيْهِ حِجَارَةً قَالَ قَالَ جَعَلُوْا يَنْقُلُوْنَ ذَاكَ الصَّخْرَ وَهُمْ يَرْتَجِزُوْنَ وَرَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَعَهُمْ يَقُوْلُوْنَ :اللَّهُمَّ إِنَّهُ لَا خَيْرَ إِلَّا خَيْرُ الآخِرَهْ فَانْصُرْ الأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِرَهْ
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মদীনায় আসলেন তখন মদীনার উঁচু এলাকার ‘আমর ইব্নু ‘আউফ গোত্রে অবস্থান করলেন। আনাস (রাঃ) বলেন, সেখানে তিনি চৌদ্দ দিন থাকলেন। এরপর তিনি বানু নাজ্জারের নেতৃস্থানীয় লোকদের কাছে খবর পাঠালেন। তারা সকলেই তরবারি ঝুলিয়ে হাযির হলেন। আনাস (রাঃ) বলেন, সেই দৃশ্য এখনো যেন আমি দেখতে পাচ্ছি। রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সওয়ারীর উপর এবং আবূ বাকর (রাঃ) তাঁর পিছনে উপবিষ্ট রয়েছেন, আর বনু নাজ্জারের নেতাগণ রয়েছেন তাদের পার্শ্বে। অবশেষে আবূ আইউব (রাঃ) - এর বাড়ির চত্বরে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মালপত্র নামালেন। রাবী বলেন, ঐ সময় রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেখানেই সলাতের সময় হত সেখানেই সলাত আদায় করে নিতেন। এবং তিনি কোন কোন সময় ছাগল-ভেড়ার খোঁয়াড়েও সলাত আদায় করতেন। রাবী বলেন, তারপর তিনি মসজিদ তৈরির নির্দেশ দিলেন। তিনি বনী নাজ্জারের নেতাদের ডাকলেন এবং তারা এলে তিনি বললেন, তোমাদের এ বাগানটি আমার নিকট বিক্রি কর। তারা বলল, আল্লাহ্র শপথ, আমরা বিক্রি করব না। আল্লাহ শপথ-এর বিনিময় আল্লাহ্র নিকটই চাই। রাবী বলেন, এখানে কি ছিল, আমি তোমাদের বলছি স্থানে তখন ছিল মুশরিকদের পুরাতন কবর, বাড়ী ঘরের কিছু ভগ্নাবশেষ কয়েকটি খেজুরের গাছ। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর নির্দেশে মুশরিকদের কবরগুলি মিশিয়ে দেয়া হল। ভগ্ন চিহ্ন সমতল করা হল, খেজুর গাছগুলি কেটে ফেলা হল। রাবী বলেন, কাটা খেজুর গাছের কান্ডগুলি মসজিদের কেবলার দিকে এর খুঁটি হিসেবে এক লাইনে স্থাপন করা হল এবং খুঁটির ফাঁকা স্থানে রাখা হল পাথর। তখন সাহাবাগণ পাথর বয়ে আনছিলেন এবং ছন্দ যুক্ত কবিতা আবৃত্তি করছিলেনঃ আর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন তাদের সঙ্গে ছিলেন এবং বলছিলেন,হে আল্লাহ্! আসল কল্যাণ কেবলমাত্র আখিরাতের কল্যাণ।হে আল্লাহ্! তুমি মুহাজির ও আনসারদের সাহায্য কর। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৪২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৪৫)