৬৩/৪৫. অধ্যায়ঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাহাবীদের মদীনায় হিজরত।

‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু যায়দ ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন, যদি হিজরতের ফাযীলাত না হত তবে আমি আনসারদেরই একজন হতাম। আবূ মূসা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি মক্কা হতে হিজরত করছি এমন জায়গায় যেখানে খেজুর বাগান আছে। আমি ভাবলাম, তা হবে ইয়ামামাহ কিংবা হাজার। [১] পরে দেখলাম যে, তা মদীনা-ইয়াস্‌রিব।[১] উক্ত স্থান সম্পর্কে সর্বোত্তম মত হচ্ছে এটি ইয়ামান এর একটি শহর এর নাম (ফাতহুল বারী)।

সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৩৯২৩

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا الْوَلِيْدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يُوْسُفَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ قَالَ حَدَّثَنِيْ عَطَاءُ بْنُ يَزِيْدَ اللَّيْثِيُّ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَبُوْ سَعِيْدٍ قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ عَنْ الْهِجْرَةِ فَقَالَ وَيْحَكَ إِنَّ الْهِجْرَةَ شَأْنُهَا شَدِيْدٌ فَهَلْ لَكَ مِنْ إِبِلٍ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَتُعْطِيْ صَدَقَتَهَا قَالَ نَعَمْ قَالَ فَهَلْ تَمْنَحُ مِنْهَا قَالَ نَعَمْ قَالَ فَتَحْلُبُهَا يَوْمَ وُرُوْدِهَا قَالَ نَعَمْ قَالَ فَاعْمَلْ مِنْ وَرَاءِ الْبِحَارِ فَإِنَّ اللهَ لَنْ يَتِرَكَ مِنْ عَمَلِكَ شَيْئًا

আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একজন বেদুঈন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর কাছে এল এবং তাকে হিজরত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। তিনি বললেন, ওহে! হিজরত বড় কঠিন কাজ। এরপর বললেন, তোমার কি উট আছে? সে বলল, হাঁ। তিনি বললেন, তুমি কি উটের সাদকা আদায় কর? সে বলল, হাঁ। তিনি বললেন, তুমি কি উটনীর দুধ অন্যকে পান করতে দাও। সে বলল, হাঁ। তিনি বললেন, যেদিন পানি পান করানোর উদ্দেশ্যে উটগুলি ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় সেদিন কি তুমি দুধ দোহন করে দান কর? সে বলল, হাঁ। তিনি বললেন, তবে তুমি সমুদ্রের অপর প্রান্ত থেকেই নেক ‘আমাল করতে থাক। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তোমার ‘আমালের কিছুই ঘাটতি করবেন না। [১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৩৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৩৬)

[১] ইসলামের প্রতিকূল অবস্থায় থেকেও যথাসাধ্য আল্লাহ্‌র বিধান পালন করতে পারলে সে স্থান হতে হিজরত ওয়াজিব নয়। উক্ত হাদীসে এরও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, হিজরত সম্পর্কে প্রশ্নকারীর জিজ্ঞাসাটি ছিল মক্কা বিজয়ের পর; কেননা তা বিজয়ের পূর্বে হিজরত প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তির উপর ওয়াজিব ছিল। (ফাতহুল বারী ৭ম খন্ড ৩৩০ পৃষ্ঠা)

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন