৬৩/৪৫. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাহাবীদের মদীনায় হিজরত।
‘আবদুল্লাহ ইব্নু যায়দ ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন, যদি হিজরতের ফাযীলাত না হত তবে আমি আনসারদেরই একজন হতাম। আবূ মূসা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি মক্কা হতে হিজরত করছি এমন জায়গায় যেখানে খেজুর বাগান আছে। আমি ভাবলাম, তা হবে ইয়ামামাহ কিংবা হাজার। [১] পরে দেখলাম যে, তা মদীনা-ইয়াস্রিব।[১] উক্ত স্থান সম্পর্কে সর্বোত্তম মত হচ্ছে এটি ইয়ামান এর একটি শহর এর নাম (ফাতহুল বারী)।
সহিহ বুখারী : ৩৯১১
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৩৯১১
حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ أَقْبَلَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمَدِينَةِ وَهْوَ مُرْدِفٌ أَبَا بَكْرٍ، وَأَبُو بَكْرٍ شَيْخٌ يُعْرَفُ، وَنَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَابٌّ لاَ يُعْرَفُ، قَالَ فَيَلْقَى الرَّجُلُ أَبَا بَكْرٍ فَيَقُولُ يَا أَبَا بَكْرٍ، مَنْ هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْكَ فَيَقُولُ هَذَا الرَّجُلُ يَهْدِينِي السَّبِيلَ. قَالَ فَيَحْسِبُ الْحَاسِبُ أَنَّهُ إِنَّمَا يَعْنِي الطَّرِيقَ، وَإِنَّمَا يَعْنِي سَبِيلَ الْخَيْرِ، فَالْتَفَتَ أَبُو بَكْرٍ، فَإِذَا هُوَ بِفَارِسٍ قَدْ لَحِقَهُمْ، فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا فَارِسٌ قَدْ لَحِقَ بِنَا. فَالْتَفَتَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " اللَّهُمَّ اصْرَعْهُ ". فَصَرَعَهُ الْفَرَسُ، ثُمَّ قَامَتْ تُحَمْحِمُ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مُرْنِي بِمَا شِئْتَ. قَالَ " فَقِفْ مَكَانَكَ، لاَ تَتْرُكَنَّ أَحَدًا يَلْحَقُ بِنَا ". قَالَ فَكَانَ أَوَّلَ النَّهَارِ جَاهِدًا عَلَى نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، وَكَانَ آخِرَ النَّهَارِ مَسْلَحَةً لَهُ، فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَانِبَ الْحَرَّةِ، ثُمَّ بَعَثَ إِلَى الأَنْصَارِ، فَجَاءُوا إِلَى نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمُوا عَلَيْهِمَا، وَقَالُوا ارْكَبَا آمِنَيْنِ مُطَاعَيْنِ. فَرَكِبَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ، وَحَفُّوا دُونَهُمَا بِالسِّلاَحِ، فَقِيلَ فِي الْمَدِينَةِ جَاءَ نَبِيُّ اللَّهِ، جَاءَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم. فَأَشْرَفُوا يَنْظُرُونَ وَيَقُولُونَ جَاءَ نَبِيُّ اللَّهِ، جَاءَ نَبِيُّ اللَّهِ. فَأَقْبَلَ يَسِيرُ حَتَّى نَزَلَ جَانِبَ دَارِ أَبِي أَيُّوبَ، فَإِنَّهُ لَيُحَدِّثُ أَهْلَهُ، إِذْ سَمِعَ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ وَهْوَ فِي نَخْلٍ لأَهْلِهِ يَخْتَرِفُ لَهُمْ، فَعَجِلَ أَنْ يَضَعَ الَّذِي يَخْتَرِفُ لَهُمْ فِيهَا، فَجَاءَ وَهْىَ مَعَهُ، فَسَمِعَ مِنْ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ، فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَىُّ بُيُوتِ أَهْلِنَا أَقْرَبُ ". فَقَالَ أَبُو أَيُّوبَ أَنَا يَا نَبِيَّ اللَّهِ، هَذِهِ دَارِي، وَهَذَا بَابِي. قَالَ " فَانْطَلِقْ فَهَيِّئْ لَنَا مَقِيلاً ". قَالَ قُومَا عَلَى بَرَكَةِ اللَّهِ. فَلَمَّا جَاءَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ، وَأَنَّكَ جِئْتَ بِحَقٍّ، وَقَدْ عَلِمَتْ يَهُودُ أَنِّي سَيِّدُهُمْ وَابْنُ سَيِّدِهِمْ، وَأَعْلَمُهُمْ وَابْنُ أَعْلَمِهِمْ، فَادْعُهُمْ فَاسْأَلْهُمْ عَنِّي قَبْلَ أَنْ يَعْلَمُوا أَنِّي قَدْ أَسْلَمْتُ، فَإِنَّهُمْ إِنْ يَعْلَمُوا أَنِّي قَدْ أَسْلَمْتُ قَالُوا فِيَّ مَا لَيْسَ فِيَّ. فَأَرْسَلَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَقْبَلُوا فَدَخَلُوا عَلَيْهِ. فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا مَعْشَرَ الْيَهُودِ، وَيْلَكُمُ اتَّقُوا اللَّهَ، فَوَاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ إِنَّكُمْ لَتَعْلَمُونَ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ حَقًّا، وَأَنِّي جِئْتُكُمْ بِحَقٍّ فَأَسْلِمُوا ". قَالُوا مَا نَعْلَمُهُ. قَالُوا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَهَا ثَلاَثَ مِرَارٍ. قَالَ " فَأَىُّ رَجُلٍ فِيكُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ ". قَالُوا ذَاكَ سَيِّدُنَا وَابْنُ سَيِّدِنَا، وَأَعْلَمُنَا وَابْنُ أَعْلَمِنَا. قَالَ " أَفَرَأَيْتُمْ إِنْ أَسْلَمَ ". قَالُوا حَاشَا لِلَّهِ، مَا كَانَ لِيُسْلِمَ. قَالَ " أَفَرَأَيْتُمْ إِنْ أَسْلَمَ ". قَالُوا حَاشَا لِلَّهِ، مَا كَانَ لِيُسْلِمَ. قَالَ " يَا ابْنَ سَلاَمٍ، اخْرُجْ عَلَيْهِمْ ". فَخَرَجَ فَقَالَ يَا مَعْشَرَ الْيَهُودِ، اتَّقُوا اللَّهَ، فَوَاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ إِنَّكُمْ لَتَعْلَمُونَ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ، وَأَنَّهُ جَاءَ بِحَقٍّ. فَقَالُوا كَذَبْتَ. فَأَخْرَجَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্র নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মদীনায় এলেন তখন উষ্ট্রে পৃষ্ঠে আবূ বকর (রাঃ) তাঁর পশ্চাতে ছিলেন। আবূ বকর (রাঃ) ছিলেন বয়োজ্যেষ্ঠ [১] ও পরিচিত। আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন জাওয়ান এবং অপরিচিত। তখন বর্ননাকারী বলেন, যখন আবূ বকরের সঙ্গে কারো সাক্ষাৎ হত, সে জিজ্ঞেস করত হে আবূ বকর (রাঃ)! তোমার সম্মুখে উপবিষ্ট ঐ ব্যক্তি কে? আবূ বকর (রাঃ) বলতেন, তিনি আমার পথ প্রদর্শক। রাবী বলেন, প্রশ্নকারী সাধারন পথ মনে করত এবং তিনি সত্যপথ উদ্দেশ্য করতেন। তারপর একবার আবূ বকর (রাঃ) পিছনে চেয়ে হঠাৎ দেখতে পেলেন এক ঘোড় সওয়ার তাদের কাছেই এসে পড়েছে। তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! এই যে একজন ঘোড় সওয়ার আমাদের পিছনে প্রায় কাছে পৌঁছে গেছে। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পিছনের দিকে তাকিয়ে দু’আ করলেন, হে আল্লাহ্! আপনি ওকে পাকড়াও করুন। ততক্ষনাৎ ঘোড়াটি তাকে নীচে ফেলে দিয়ে দাঁড়িয়ে হ্রেষা রব করতে লাগল। তখন ঘোড় সওয়ার বলল, হে আল্লাহর নবী! আপনার যা ইচ্ছা আমাকে আদেশ করুন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি স্বস্থানেই থেমে যাও। কেউ আমাদের দিকে আসতে চাইলে তুমি তাকে বাধা দিবে। বর্ননাকারী বলেন, দিনের প্রথম অংশে ছিল সে নবীর বিরুদ্ধে যুদ্ধকারী আর দিনের শেষাংশে হয়ে গেল তাঁর পক্ষ হতে অস্ত্রধারী। এরপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনার হাররার [২] একপাশে অবতরন করলেন। এরপর আনসারদের খবর দিলেন। তাঁরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর কাছে এলেন এবং উভয়কে সালাম করে বললেন, আপনারা নিরাপদ ও মান্য হিসেবে আরোহণ করুন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ বকর (রাঃ) উটে আরোহন করলেন আর আনসারগন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাঁদেরকে ঘিরে চলতে লাগলেন। মদীনায় লোকেরা বলতে লাগল, আল্লাহ্র নবী এসেছেন, আল্লাহ্র নবী এসেছেন, লোকজন উঁচু স্থানে উঠে তাঁদের দেখতে লাগল। আর বলতে লাগল, আল্লাহ্র নবী এসেছেন, আল্লাহ্র নবী এসেছেন। তিনি সম্মুখ পানে চলতে লাগলেন। শেষে আবূ আইয়ুব (রাঃ) - এর বাড়ির পার্শ্বে গিয়ে অবতরণ করলেন। আবূ আইয়ুব (রাঃ) ঐ সময় তাঁর পরিবারের লোকদের সাথে কথাবার্তা বলছিলেন। ইতোমধ্যে ‘আবদুল্লাহ ইব্নু সালাম তাঁর আগমনের কথা শুনলেন তখন তিনি তাঁর নিজের বাগানে খেজুর সংগ্রহ করছিলেন। তখন তিনি শীঘ্র ফল সংগ্রহ করা হতে বিরত হলেন এবং সংগৃহীত খেজুরসহ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর নিকট হাজির হলেন এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর কিছু কথাবার্তা শুনে নিজ গৃহে ফিরে গেলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমাদের লোকদের মধ্যে কার বাড়ী এখান হতে সবচেয়ে নিকটে? আবূ আইয়ুব (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্র নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! এই তো বাড়ী, এই যে তার দরজা। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তবে চল, আমাদের বিশ্রামের ব্যবস্থা কর। তিনি বললেন, আপনারা দু’জনেই চলুন। আল্লাহ্ বরকত দানকারী। যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বাড়ীতে এলেন তখন আবদুল্লাহ ইব্নু সালাম (রাঃ) আসলেন এবং বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি আল্লাহ্র রসূল; আপনি সত্য নিয়ে এসেছেন। হে আল্লাহ্র রসূল! ইয়াহুদী সম্প্রদায় জানে যে আমি তাদের নেতা এবং আমি তাদের নেতার পুত্র। আমি তাদের মধ্যে বেশি জ্ঞানী এবং তাদের বড় জ্ঞানী সন্তান। আমি ইসলাম গ্রহন করেছি এ কথাটি জানাজানি হওয়ার পূর্বে আপনি তাদের ডাকুন এবং আমার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করুন, আমার সম্পর্কে তাদের ধারনা জ্ঞাত হন। কেননা তারা যদি জানতে পারে যে আমি ইসলাম গ্রহন করেছি, তবে আমার সম্মন্ধে তারা এমন সব অলীক কথা বলবে যা আমার মধ্যে নেই। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (ইয়াহূদী সম্প্রদায়কে) ডেকে পাঠালেন। তারা এসে তার কাছে হাজির হল। রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বললেন, হে ইয়াহূদী সম্প্রদায়, তোমাদের উপর অভিশাপ! তোমরা সেই আল্লাহ্কে ভয় কর, তিনি ছাড়া মাবুদ নেই। তোমরা নিশ্চয় জান যে আমি সত্য রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্য নিয়েই তোমাদের নিকট এসেছি। সুতরাং তোমরা ইসলাম গ্রহন কর। তারা উত্তর দিল, আমরা এসব জানিনা। তারা তিনবার একথা বলল। তারপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে আবদুল্লাহ ইব্নু সালাম (রাঃ) কেমন লোক? তারা উত্তর দিল, তিনি আমাদের নেতা এবং আমাদের নেতার সন্তান। তিনি আমাদের সর্বশ্রেষ্ট আলিম এবং সর্বশ্রেষ্ট আলিমের পুত্র। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তিনি যদি ইসলাম গ্রহন করেন, তবে তোমাদের মতামত কি হবে? তারা বলল আল্লাহ্ হেফাজত করুন। তিনি ইসলাম গ্রহণ করবেন তা কিছুতেই হতে পারে না। তিনি আবার বললেন, আচ্ছা বলতো, যদি তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন তবে তোমরা কী মনে করবে? তারা আবার বলল, আল্লাহ্ হেফাজত করুন, কিছুতেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করতে পারের না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবার বললেন, আচ্ছা বলতো, তিনি যদি মুসলমান হয়েই যান তবে তোমাদের মত কি? তারা বলল, আল্লাহ্ হিফাযত করুন, তিনি মুসলমান হয়ে যাবেন তা কিছুতেই হতে পারে না। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে ইব্নু সালাম! তুমি এদের সামনে বেরিয়ে আস। তিনি বেরিয়ে আসলেন এবং বললেন, হে ইয়াহূদী সম্প্রদায়। আল্লাহ্কে ভয় কর। ঐ আল্লাহ্র কসম, যিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তোমরা নিশ্চয় জান তিনি সত্য রসূল, হক নিয়েই এসেছেন। তখন তারা বলে উঠল, তুমি মিথ্যা বলছ। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে বের করে দিলেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬২৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৬২৭)
[১] প্রকৃতপক্ষে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর বয়স আবূ বাক্রের চেয়ে অধিক ছিল, কিন্তু আবু বক্র (রাঃ)-এর চুল-দাড়ি অধিক সাদা হয়ে গিয়েছিল বলে বাহ্যত নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর চেয়ে আবূ বক্র (রাঃ) - কে বেশী বয়স্ক মনে হত।[২] কঙ্করময় স্থানকে বলা হয়।